করকাতা, ০৮ ফেব্রুয়ারি- এক কংগ্রেস বিধায়ককে সাসপেন্ড করা নিয়ে হাতাহাতির ঘটনা ঘটল ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভায়। বুধবার সম্পত্তি ভাঙচুর সম্পর্কিত বিল পাশ করা নিয়ে বিধানসভার অধিবেশন চলাকালীনই হুলস্থুল বেধে যায়। এদিন সকালে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে ওয়েষ্ট বেঙ্গল মেনটেনেন্স অফ পাবলিক অর্ডার (অ্যামেন্ডমেন্ট) বিল, ২০১৭ বা সম্পত্তি ভাঙচুর সম্পর্কিত বিলটি অধিবেশনে পেশ করার সময় প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে একে কালা আইন বলে তার বিরোধীতা করেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা ও কংগ্রেস বিধায়ক আবদুল মান্নান। এসময় বিধানসভার স্পীকার বিমান ব্যানার্জি ওই কংগ্রেস বিধায়ককে আলোচনার জন্য অপেক্ষা করতে বলেন। কিন্তু স্পীকারের সেই নির্দেশ অমান্য করায় আবদুল মান্নানকে এদিনের মতো সভা ত্যাগ করতে বলেন কিন্তু ওই কংগ্রেস সাংসদের বেপোরায়া মনোভাবের কারণে পরে তাকে সাসপেন্ড করেন স্পীকার। আর সাসপেন্ড হওয়ার পরই ওয়েলে বসে পড়েন আবদুল মান্নান। এসময় তাকে জোর করে অধিবেশনের বাইরে বের করে দেওয়ার চেষ্টা করেন বিধানসভার নিরাপক্তা কর্মীরা (মার্শাল)। এসময়ই নিরাপক্তা কর্মীদের সাথে হাতাহাতি বেধে যায় কংগ্রেসের বিধায়কদের। আর সেই হাতাহাতির মাঝে পড়েই বিধানসভার মধ্যেই অসুস্থ হয়ে পড়েন আবদুল মান্নান। সাথে সাথে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় এসএসকেএম হাসপাতালে। ওই ঘটনার প্রতিবাদে যৌথভাবে সভার অধিবেশন ওয়াকআউট করেন কংগ্রেস ও বাম বিধায়করা। হট্টগোল চলাকালিন সময়ে কংগ্রেস বিধায়ক প্রতিমা রজককে মারধর করা হয় বলেও অভিযোগ। এমনকী নিরাপত্তা কর্মীরা তার শ্লীলতাহানি করেন বলেও অভিযোগ করেন তিনি। এদিকে সম্পত্তি ভাঙচুর সম্পর্কিত বিল নিয়ে বিরোধীদের হট্টগোলের মধ্যেই ধ্বনি ভোটেই শেষ পর্যন্ত ওই বিল পাশ হয়ে যায়। শুধু তাই নয়, এদিন বিধানসভায় যেভাবে ভাঙচুর করা হয়েছে, সেই বিষয়টিও ওই বিলের মধ্যেই পড়বে বলে স্পষ্ট ভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়েছ পরে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি প্রশ্ন তুলে জানান বিরোধীরা কেন এই বিলের বিরোধীতা করছে? কারণ তারা শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে বিশ্বাসী নয়। তারা শুধুমাত্র সরকার এবং সাধারণ মানুষের সম্পত্তি ধ্বংসে বিশ্বাসী। আমরা এটা হতে দেবো না। আর/১০:১৪/০৮ ফেব্রুয়ারি
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://ift.tt/2kTfY19
February 09, 2017 at 04:49AM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন