ঢাকা, ১৩ ফেব্রুয়ারি- জাতীয় দলের ক্রিকেটার আরাফাত সানির বিরুদ্ধে পরপর তিনটি জামিন অযোগ্য মামলা করেছেন তার স্ত্রী দাবিদার নাসরিন সুলতানা। এসব মামলা নিয়ে দিশেহারা সানির পরিবার। তার পরিবার মামলাগুলো আপস-মীমাংসা করতে চায়। এ নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে কয়েক দফা বৈঠকও হয়েছে। বৈঠকে সানির পরিবার প্রস্তাব দিয়েছে স্ত্রীর মর্যাদা ছাড়া অন্য কোনা উপায়ে মামলা মীমাংসা করতে। অন্যদিকে নাসরিন চায় স্ত্রীর মর্যাদা। তবে বৈঠেকের ফলাফল শূন্য। রোববার আরাফাত সানিকে ঢাকা সিএমএম আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় তিনি বলেন, আর কতদিন এভাবে থাকবো। মামলা নিয়ে কিছু একটা করতে হবে নাসরিন সুলতানার সঙ্গে। অপরদিকে সানির স্ত্রী দাবিদার নাসরিন সুলতানা বলেন, মামলা নিয়ে আরাফাত সানির পরিবারের সঙ্গে কয়েক দফা বৈঠক হয়েছে। তারা এখন সমঝোতায় আসতে চায়। তারা স্ত্রীর মর্যাদা ছাড়া অন্য কোনোভাবে আপস-মীমাংসা করতে চাচ্ছে। এতে আমি রাজি না। তিনি আরও বলেন, সানির বিরুদ্ধে মামলা করেছি স্ত্রীর মর্যাদা পাওয়ার জন্য। আমাকে স্ত্রীর মর্যাদা দিলে মামলাগুলো মীমাংসা করবো। রোববার সানিকে ঢাকার সিএমএম আদালতে হাজির করে মামলা সুষ্ঠু তদন্তের জন্য সাতদিনের রিমান্ড আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদপুর থানার পুলিশ কর্মকর্তা মাসুদুর রহমান। অন্যদিকে তার আইনজীবী মুরাদুজ্জামান মুরাদ রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেন। শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম সরাফুদজ্জামান আনছারী উভয় আবেদন নামঞ্জুর করে সানিকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এ নিয়ে তিনি দুই মামলায় কারাগারে আটক। গত ২২ জানুয়ারি রাজধানীর আমিনবাজার এলাকা থেকে আরাফাত সানিকে গ্রেফতার করে মোহাম্মদপুর থানা পুলিশ। তথ্যপ্রযুক্তি আইনের মামলা আরাফাত সানির সঙ্গে ওই তরুণীর ২০১৪ সালের ৪ ডিসেম্বর বিয়ে হয়। গত বছরের ১২ জুন আরাফাত সানি দুজনের কিছু ব্যক্তিগত ছবি ও ওই তরুণীর কিছু আপত্তিকর ছবি ফেসবুকের ম্যাসেঞ্জারে পাঠান। ছবি পাঠিয়ে আরাফাত সানি ওই তরুণীকে হুমকি দেন। পরে আবার ২৫ নভেম্বর ওই তরুণীকে আপত্তিকর ছবি পাঠিয়ে হুমকি দেন আরাফাত সানি। এ ঘটনায় ওই তরুণী বাদী হয়ে ৫ জানুয়ারি রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানায় তথ্যপ্রযুক্তি আইনে একটি মামলা করেন। এ মামলার জামিন শুনানির জন্য ১৫ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য রয়েছে। যৌতুকের মামলা ২০ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করার অভিযোগে গত ২৩ জানুয়ারি ঢাকা সিএমএম আদালতে আরাফাত সানির বিরুদ্ধে দ্বিতীয় মামলা দায়ের নাসরিন সুলতানা। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে ৫ এপ্রিলের মধ্যে সানিকে আদালতে হাজিরের নির্দেশ দিয়েছেন। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে তৃতীয় মামলা ১ ফেব্রুয়ারি ২০ লাখ টাকা যৌতুকের জন্য মারধরের অভিযোগে আরাফাত সানি ও তার মায়ের বিরুদ্ধে ঢাকার ৪নং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে তৃতীয় মামলা করেন নাসরিন। আদালত মামলাটি মোহাম্মদপুর থানাকে এজাহার হিসেবে গণ্য করার নির্দেশ দেন। ৮ ফেব্রুয়ারি আরাফাত সানি ও তার মা নার্গিস আক্তারের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলাটি এজাহার হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করে মোহাম্মদপুর থানা। এরপর গত ১২ ফেব্রুয়ারি এ মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়। এফ/০৮:৪২/১৩ ফেব্রুয়ারি
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://ift.tt/2lGlD8D
February 13, 2017 at 02:43PM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন