বিশ্বনাথ ( সিলেট ) প্রতিনিধি :: বিশ্বনাথে ‘বাসিয়া নদী’ পুনঃখননের জন্য উপজেলা সদরে নদীর দুই তীরে থাকা অসংখ্য অবৈধ স্থাপনার (পাকা দালান) অংশ ছেড়ে (প্রায় সাড়ে ৩শত মিটার) দিয়ে বুধবার (১৫ ফেব্রুয়ারী) সার্ভে করেছে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড (বাপাউবো)’র ঢাকা থেকে আগত ট্রাস্টফোর্স দল। সার্ভের কাজ হলেও এব্যাপারে কিছুই জানেন না উপজেলার স্থানীয় প্রশাসন। তাহলে কি এবারও নদীর তীরে গড়ে উঠা অবৈধ স্থাপনাগুলো অক্ষত থেকেই খনন কাজ সম্পন্ন হবে ? দখলদারা কি এতই শক্তিশালী যে শেষ পর্যন্ত তাদের অবৈধ স্থাপনা বহাল তবিয়তে থাকবে ?
এদিকে, অবৈধ দখলদাররা অত্যন্ত শক্তিশালী ও প্রভাবশালী হওয়ার কারণে সার্ভে করা হলেও উচ্ছেদ হয়নি দুই তীরে থাকা অসংখ্য অবৈধ স্থাপনা এমনটি ধারণা উপজেলার সর্বস্থরের মানুষের। অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ না করলে ও সঠিকভাবে বাসিয়া নদীর পুনঃখনন কাজ সম্পন্ন না হলে ভবিষ্যতে ‘দখলে আর দূষণে’ বাসিয়া নদী বিলীন হয়ে যাবে বলে আশংঙ্খা করছেন অনেকেই।
বাসিয়া নদী পুনঃখননের জন্য বুধবার বাপাউবো’র ট্রাস্টফোর্স দলের কর্মকর্তাদের করা সার্ভের ব্যাপারে কিছুই জানেন না বলে জানিয়েছেন বিশ্বনাথের ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) আবদুল হক।
দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় জনশ্রুতি থাকা ‘অবৈধ স্থাপনাগুলো রক্ষা’র জন্য অবৈধ দখলদাররা ৩ কোটি টাকার ফান্ড গঠন করেছেন’ সংবাদটি উপজেলাবাসীর কাছে সত্য বলে বিশ্বাস হতে শুরু করেছে ‘ওই সাড়ে ৩শত মিটার’ অংশ ছেড়ে সার্ভের করার কারণে। অন্যদিকে নদীর তীরের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ না হলে এবং সঠিক মাপে নদীর উপজেলা পরিষদের সামনের অংশ (পূর্ব হতে পশ্চিম দিকের) থেকে নদী প্রথম দিকে পুরো অংশ পুনঃখনন কাজ শুরু না হলে বিশ্বনাথবাসী আবারও আন্দোলেনের ডাক দিবেন বলেও জানা গেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ১২ নভেম্বর বাসিয়া নদীর ৭ কিলোমিটার অংশ পুনঃখননের কাজ পাওয়া ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের সাথে নিয়ে নদীর পূর্ব দিক (উপজেলা পরিষদের সামনের অংশ) থেকে প্রাথমিক পর্যায়ে মাপ দেন বাপাউবো সিলেট’র উপ-প্রকৌশলী দিপক চন্দ্র দাশ। সে মাপের সময় স্থাপনকৃত খুঁটি এখনও যথাস্থানে বিদ্ধমান রয়েছে। তারপরও গতকাল বুধবার বাপাউবো’র ট্রাস্টফোর্স দলের কর্মকর্তারা সার্ভের সময় পূর্ব দিকের ওই সাড়ে ৩শত মিটার অংশ ছেড়ে দিয়ে সার্ভে করেন। এসময়ও ট্রাস্টফোর্স দলের সাথে ছিলেন বাপাউবো’র উপ-প্রকৌশলী দিপক চন্দ্র দাশ।
স্থানীয় প্রশাসনকে অবহিত করেই নদী পুনঃখননের সব কাজ করা হচ্ছে দাবি করে এবং নদীর ওই ‘৩শত মিটার’ অংশ ছেড়ে সার্ভে করার ব্যাপারে বাপাউবো সিলেট’র প্রকৌশলী মুহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম বলেন, গত বছর ১৮ কিলোমিটার পুনঃখনন হওয়া অংশের ৩শত মিটার অংশ পুনঃখনন হয়নি। এবছর নতুন করে ৭ কিলোমিটার অংশ পুনঃখননের টেন্ডার হয়। যে কারণে নতুন টেন্ডার হওয়া অংশেই সার্ভে করেন বাপাউবো’র ট্রাস্টফোর্স দলের কর্মকর্তারা। গত বছরের অবশিষ্ট থাকা ওই ৩শত মিটার অংশেও পুনঃখনন কাজ সম্পন্ন করার জন্য আমরা প্রচেষ্ঠা চালিয়ে যাচ্ছি। তবে ওই অংশে থাকা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা না হলে, সে অংশ পুনঃখনন কাজ করা সম্ভব হবে না।
from সিলেট – দ্যা গ্লোবাল নিউজ ২৪ http://ift.tt/2lQwzzQ
February 15, 2017 at 09:12PM
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন