হায়দ্রাবাদ, ১৫ ফেব্রুয়ারি- হায়দ্রাবাদের রাজীব গান্ধী স্টেডিয়ামে ভারতের বিপক্ষে একমাত্র টেস্টে জয়ের জন্য ৪৫৯ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নামা বাংলাদেশ দলীয় ২২৫ রানে ৭ উইকেট হারানোর পর অষ্টম উইকেটে ব্যাটিংয়ে আসেন কামরুল ইসলাম রাব্বি। দারুণ টেস্ট মেজাজে এই টেলএন্ডার খেলেছেন দ্বিতীয় ইনিংসের একেবারে শেষ পর্যন্ত। না কোন বড় শট না কোন ভুল শট। এভাবে ৭০টি বল মোকাবেলা করে অপরাজিত ছিলেন ব্যক্তিগত ৩ রানে। কিন্তু, রাব্বি যখন ব্যাটিংয়ে এসেছেন তখন টাইগারদের জয়ের সম্ভাবনা আক্ষরিক অর্থেই শেষ হয়ে গিয়েছে। ড্রর আশাও তখন ক্ষীণ। কেননা একেতো ম্যাচের পঞ্চম দিনের খেলা চলছিল তার ওপর আবার দ্বিতীয় সেশনের শেষদিক। ঠিক ওই মুহূর্তে জয়ের জন্য মুশফিকদের প্রয়োজন আরও ২৩৩ রান। একেতো টেস্টে অনভ্যস্ত বাংলাদেশ তার উপরে আবার নেই কোন নির্ভরযোগ্য ব্যাটসম্যান। তারপরেও রাব্বির এমন ধীরলয়ে ব্যাটিং সফরকরী দলটিকে অনেকক্ষণ ম্যাচে রেখেছে। ভারতের বিপক্ষে ম্যাচটি ড্র করতেই নাকি একেবারে খাঁটি টেস্ট মেজাজে রাব্বি ব্যাটিং করেছেন, আমার মনে যেটা ওই মুহূর্তে কাজ করছিল সেটা হলো, তাসকিন ও তাইজুল ভালো ব্যাটিং করে। যদি শেষ পর্যন্ত সব উইকেট পড়েও যায় তাহলে তাসকিনকে নিয়ে একঘন্টা খেলা সম্ভব। আমার কথা হলো আমি তখন ৫টা ছয়ও মারতাম তাহলেও জেতার সম্ভাবনা একেবারেই ছিল না। আবার আউট হয়ে গেলে তখনই খেলা শেষ হয়ে যায়। আমার পরিকল্পনা ছিল সময় নষ্ট করা। কারণ আমি জানতাম আমরা জিততে পারবো না। পরিকল্পনা ছিল ম্যাচটা শেষ করা। ভারত থেকে ফিরে বুধবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম চত্বরে গণমাধ্যমকে নিজের ব্যাটিং নিয়ে এমন কথা জানিয়েছেন বাংলাদেশি পেসার। ভারতের বিপক্ষে ম্যাচের প্রথম ইনিংসে কামরুল ইসলাম রাব্বিকে একেবারে শেষে ব্যাটিং করতে দেখা গেলেও দ্বিতীয় ইনিংসে তাকে দেখা গেছে আট নাম্বারে ব্যাটিং করতে। মানে তার উপর টিম ম্যানেজমেন্টের আস্থা আছে। বিষয়টি নিয়ে একমত পোষণ করলেন খোদ রাব্বি নিজেই। আমি প্রথম ইনিংসে নেমেছি ১১ নম্বরে, পরের ইনিংসে ৯ নম্বরে। এটা এই প্রমাণ করে যে আমি ভালো করছি। আর ভালো করেছি বলেই আমার উপরে কোচের একটি বিশ্বাস জন্মেছে। এই বিশ্বাসটা প্লেয়ারদেরও জন্ম নিচ্ছে। যেমন মুশফিক ভাই (মুশফিকুর রহিম) ও সাকিব ভাই (সাকিব আল হাসান) যখন ব্যাটিংয়ে নামবে তাদেরও একটি বিশ্বাস আমার উপরে থাকবে। এই জিনিসটা অবশ্যই দলকে সাহায্য করবে। সবার বিশ্বাস থাকবে শেষের দিকে নেমেও আমি শেষ করে আসতে পারবো। আমার মনও অনেক প্রফুল্ল থাকবে। তাতে করে বোলিংটাও আমি বেশ নির্ভার হয়েই করতে পারবো। দ্বিতীয় ইনিংসে রাব্বি পুরোদস্তুর টেস্ট মেজাজের ব্যাটিং করলেও বল হাতে এই ম্যাচে একেবারেই নিষ্প্রভ ছিলেন। প্রথম ইনিংসে ১৯ ওভার বল করে ১০০ রানে কোন উইকেটের দেখা না পাওয়া এই টাইগার পেসারকে দ্বিতীয় ইনিংসে বল হাতে নামানোই হয়নি। বিষয়টি নিয়ে তিনি নিজেও কিছুটা হতাশ। বোলিংয়ে আমার যেমন পরিকল্পনা ছিল ওভাবে হয়নি। এজন্য হতাশ ছিলাম যে বোলিংটা আরও ভালো করা উচিত ছিল। সেটা যদি আরও ভালো করতে পারতাম তাহলে ওদের রান এত বেশি হতো না। আর রান কম হলে আমরা শেষে আরও ভালো করতে পারতাম এবং ম্যাচের ফলাফলটাও ভিন্ন হতো। রাব্বি যোগ করেন, একজন সব সময়ে ভালো করবে এমন কোনো কথা নেই, হয়তো আমার একটা ম্যাচ ভালো হয়নি। আমি সবে মাত্র টেস্ট খেলা শুরু করলাম। মাত্র ৫টি টেস্ট খেলেছি। সত্যি কথা বলতে প্রতিদিনই শেখার অনেক কিছু আছে। ইংল্যান্ডের সাথে আমার ভুলগুলো শুধরে নিউজিল্যান্ড সিরিজে ভালো পারফর্ম করেছি। তদানুরূপ ভারতের সাথে আমার যে সমস্যাগুলো হয়েছে সেগুলো শুধরে উঠতে পারলে সামনে শ্রীলিঙ্কা সিরিজে দলে থাকতে পারলে আরও ভালোভাবে পারফর্ম করতে পারবো। এফ/১৬:৩৩/১৫ ফেব্রুয়ারি
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://ift.tt/2lgBjSH
February 15, 2017 at 10:38PM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন