কলকাতা, ০৯ ফেব্রুয়ারি- বেপরোয়া গাড়ি চালালে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে দাঁড়িয়ে দেখতে হবে, দুর্ঘটনায় আক্রান্তদের কী ভাবে অস্ত্রোপচার করা হয়। বেপরোয়া গাড়ি চালানো, গাড়ি চালাতে চালাতে মোবাইলে কথা বলা, সিগন্যাল ভাঙা, গতিসীমা ভেঙে গাড়ি চালানোর মতো অপরাধে সংসদীয় কমিটি এ ধরনের শাস্তিরই সুপারিশ করছে। কমিটির মতে, তা হলে বেপরোয়া গাড়ি চালকদের বোধগম্য হবে যে, নিয়ম ভাঙার পরিনাম কী হতে পারে। পথ দুর্ঘটনা রুখতে এবং পরিবহণ সংক্রান্ত নিয়মকানুন ঢেলে সাজতে মোটর ভেহিকল্স আইনে সংশোধন করতে চাইছে নরেন্দ্র মোদী সরকার। সেই বিলে শাস্তি-জরিমানার পাশাপাশি নিয়ম ভাঙার অপরাধে জনসেবার নিদান দেওয়া রয়েছে। যেমন বিদেশে চালু রয়েছে। সেখানে নিয়ম ভাঙলে যে কোনও ধরনের জনসেবায় কাজ করতে পাঠানো হয়। ওই বিল খতিয়ে দেখে কমিটি জানতে চেয়েছিল, এ দেশে কী ধরনের জনসেবা করতে হবে। সড়ক পরিবহণ মন্ত্রক কমিটিকে জানিয়েছে, এই বিষয়টি রাজ্য সরকার ঠিক করবে। কমিটির সুপারিশ, মদ্যপান করে গাড়ি চালানোর সময় দুর্ঘটনায় কারও মৃত্যু হলে চালকের বিরুদ্ধে খুনের মামলা না হলেও, মানুষ হত্যার সমান দণ্ডনীয় শাস্তির ব্যবস্থা হোক। মদ্যপান করে কেউ গাড়ি চালাচ্ছে কি না, তা বুঝতে এখন নিঃশ্বাস বা রক্ত পরীক্ষা করা হয়। কমিটির মতে, রক্ত পরীক্ষার ব্যবস্থায় অনেক ফাঁকফোকর রয়েছে। কারণ মদ্যপান করে গাড়ি চালাতে গিয়ে ধরা পড়ার অনেক পরে রক্তপরীক্ষা হয়। ফলে রক্তে অ্যালকোহলের মাত্রা কমে যায়। নিঃশ্বাস পরীক্ষার যন্ত্রও উন্নতমানের নয়। এ জন্য আন্তর্জাতিক মানের যন্ত্র কেনার সুপারিশ করেছে কমিটি। সাম্প্রতিক অতীতে বেশ কিছু ঘটনায় গাড়ি চালকদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা খুনোখুনি পর্যন্ত গড়িয়েছে। টোল প্লাজার কর্মীদের সঙ্গে বচসাতে গুলি চালানোর ঘটনা ঘটেছে। এই ধরনের ঘটনা রুখতে কমিটির সুপারিশ, পুরসভা এলাকা বা শহুরে এলাকায় গাড়িতে বন্দুক রাখার উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি হোক। কারণ এই এলাকাতেই যানজট বেশি হয়। লাইসেন্সপ্রাপ্ত আগ্নেয়াস্ত্র হলেও তা গাড়িতে রাখা চলবে না। সংসদীয় কমিটির মতে, এখন ভারতের রাস্তায় গতির ঊর্ধ্বসীমা ঘণ্টায় ৮০ কিলোমিটার। অনেক হাইওয়ে ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার গতিতে গাড়ি চালানোর জন্য তৈরি হলেও সেখানে ঊর্ধ্বসীমা ১০০ কিলোমিটারে বেঁধে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এমন অনেক বিদেশি গাড়ি চলছে, যাতে ২৪০ কিলোমিটার পর্যন্ত গতি তোলা যায়। এই গাড়িগুলি ইউরোপ বা আমেরিকার পরিকাঠামো অনুযায়ী তৈরি। কমিটির সুপারিশ, ভারতের পরিকাঠামো অনুযায়ী গতিসম্পন্ন গাড়ি তৈরি নিশ্চিত করতে আইন আনুক সরকার। এই বিলটি নিয়ে অনেক রাজ্যের সঙ্গেই কেন্দ্রের মতভেদ ছিল। আজ মুকুল রায়ের নেতৃত্বাধীন সংসদীয় কমিটির রিপোর্টে বলা হয়েছে, গাড়ির ডিলাররা যে ভাবে কাজ করে, তা নিয়ে অনেক রাজ্যের আপত্তি রয়েছে। কারণ গাড়ির ডিলাররা ক্রেতাদের থেকে লজিস্টিকস বা হ্যান্ডলিং চার্জের নামে বেশি টাকা নেয়, বিলে কম টাকা লেখে, বিমার প্রিমিয়ামে বেশি টাকা নেওয়ার মতো নানা ধরনের বেআইনি কাজ করে। গাড়ির ডিলাররা হলো গাড়ি নির্মাতা সংস্থার প্রতিনিধি। তাই ডিলারদের গাড়ির রেজিস্ট্রেশনের ক্ষমতা দেওয়া হবে কি না, তা রাজ্যের উপর ছেড়ে দেওয়া হোক। রাজ্য সরকার নিজের প্রয়োজনমতো তা ঠিক করবে। এ দিকে আরটিও বা রিজিওনাল ট্রান্সপোর্ট অথরিটিগুলিতে কর্মী সংখ্যা কম। কাজের চাপ অনেক বেশি। তাই এই দফতরগুলি তাই দুর্নীতির আখড়া হয়ে উঠেছে। আর/১৭:১৪/০৯ ফেব্রুয়ারি



from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://ift.tt/2kvfQnC
February 09, 2017 at 11:42PM
09 Feb 2017

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

:) :)) ;(( :-) =)) ;( ;-( :d :-d @-) :p :o :>) (o) [-( :-? (p) :-s (m) 8-) :-t :-b b-( :-# =p~ $-) (b) (f) x-) (k) (h) (c) cheer
Click to see the code!
To insert emoticon you must added at least one space before the code.

 
Top