জাতিসঙ্ঘে শান্তিরক্ষা বাহিনীর প্রয়োজনীয়তা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত

1211আমেরিকার রাষ্ট্রদূত হিসাবে জাতিসঙ্ঘে নিয়োগ হয়েছেন মাত্র এক সপ্তাহ। এর মধ্যেই জাতিসঙ্ঘের শান্তিরক্ষা বাহিনীর পুনর্গঠন নিয়ে সরব হলেন নিক্কি হ্যালে। বললেন, শান্তিরক্ষার আনুষঙ্গিক পরিকাঠামোকে নতুন করে সাজিয়ে তোলার সময় এসেছে। যেখানে প্রয়োজন সেখানে বাহিনী থাক, আর যেখানে প্রয়োজন নেই, সেখানে বাহিনী রাখা অর্থহীন। এই বিষয়টি জাতিসঙ্ঘকে খুঁটিয়ে দেখারও পরামর্শ দিয়েছেন এই মার্কিন মহিলা কূটনীতিক।

জাতিসঙ্ঘে শান্তিরক্ষা বাহিনীসহ অন্যান্য বিষয়ে বছরে খরচ হয় আট বিলিয়ন মার্কিন ডলারের কাছাকাছি। এখন পর্যন্ত মোট ১৬টি দেশে শান্তিরক্ষা বাহিনী রয়েছে। গত মাসে মার্কিন সেনেটে জাতিসঙ্ঘে শান্তিরক্ষার বিষয়টি ওঠে। সেখানে এই সবকয়টি দেশে বাহিনী রাখার প্রাসঙ্গিকতা নিয়ে আলোচনা হয়।

হ্যালে জানিয়েছেন, মার্কিন সেনেটে বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য তাকে ছাড়পত্র দিয়েছে। তবে শান্তিরক্ষা বাহিনী নিয়ে আমেরিকার এই অবস্থান সম্পর্কে জাতিসঙ্ঘের কোনো শীর্ষ কর্মকর্তা মুখ খোলেননি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দুই কূটনীতিক অবশ্য হ্যালের সাথে তাদের কথপোকথনের সত্যতা স্বীকার করেছেন। তারা এও বলেছেন, এই কথোপকথনের বিষয়টি একেবারে ব্যক্তিগত। বিশদে এ নিয়ে কিছু বলা যাবে না। তবে হ্যালি শান্তিরক্ষা বাহিনীর পুনর্গঠনের প্রস্তাব দিয়েছেন।

জাতিসঙ্ঘের অন্য একটি বিশ্বস্তসূত্র জানাচ্ছে, হ্যালের প্রস্তাবের আগেই শান্তিরক্ষা বাহিনী পুনর্গঠনে প্রাথমিক পর্যায়ে বেশ কয়েকটি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তা হার্ভে ল্যাডসওয়াসের নেতৃত্বে গঠিত হয়েছে একটি ‘স্ট্রাটেজিক অ্যাসেসমেন্ট মিশন’। মিশনের প্রতিনিধিরা নিরাপত্তা পরিষদের আর্জি মেনে আগামী সপ্তাহে হাইতিতে যেতে পারেন বলে জানিয়েছেন জাতিসঙ্ঘের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক। পাশাপাশি তিনি বলেছেন, জটিলতার নিষ্পত্তিতে বাহিনীর প্রয়োজনীয়তা খতিয়ে দেখবেন মিশনের প্রতিনিধিরা। তাদের সুপারিশ মতো জাতিসঙ্ঘ পরবর্তী পদক্ষেপ করবে।

শুধু তাই নয়, জাতিসঙ্ঘের শান্তিরক্ষা বাহিনীর একটি সূত্রের খবর, ইতোমধ্যেই উচ্চ পর্যায়ের কমিটি বাহিনীর পুনর্গঠনে বেশ কয়েকটি সুপারিশ করেছে। সেগুলো সম্পাদন করার প্রক্রিয়াও শুরু হয়ে গেছে। তাতে সবচেয়ে বেশি জোর দেয়া হয়েছে ব্যায় সংকোচনের উপর। শান্তিরক্ষা বাহিনীর কাজকর্মের মধ্যে সমন্বয়ের বিষয়টি পর্যালোচনা করে দেখা হচ্ছে বলে সূত্রটি জানিয়েছে।

বস্তুত, দক্ষিণ সুদানের পরিস্থিতিকে সামনে এনেই শান্তিরক্ষা বাহনী নিয়ে বেশি সরব হয়েছেন হ্যালে। দক্ষিণ সুদানকে উদাহরণ হিসাবে তুলে ধরে তিনি বলেছেন, যুদ্ধ-বিধ্বস্ত এই রাষ্ট্রের সামগ্রিক পরিস্থিতি অত্যন্ত ভয়ঙ্কর। শান্তিরক্ষা বাহিনীর প্রায় এক হাজার ৩০০ সদস্যকে সে দেশে মোতায়েন করা হয়েছে। অথচ, আমরা দেখতে পাচ্ছি, দক্ষিণ সুদানের সরকার বাহিনীর সাথে কোনো সহযোগিতাই করছে না। এর পরই তিনি হাইতি’র প্রসঙ্গে বলেন, হাইতিতে বাহিনীর পাঁচ হাজার সদস্য রয়েছে। এর জন্য বছরে খরচ হচ্ছে তিন কোটি ৪৬ লাখ মার্কিন ডলার। যদি সেখানে প্রয়োজনীয়তা না থাকে তা হলে বাহিনী তুলে নেয়া যেতে পারে।



from যুক্তরাজ্য ও ইউরোপ – দ্যা গ্লোবাল নিউজ ২৪ http://ift.tt/2jNSmf2

February 05, 2017 at 12:48PM
05 Feb 2017

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

:) :)) ;(( :-) =)) ;( ;-( :d :-d @-) :p :o :>) (o) [-( :-? (p) :-s (m) 8-) :-t :-b b-( :-# =p~ $-) (b) (f) x-) (k) (h) (c) cheer
Click to see the code!
To insert emoticon you must added at least one space before the code.

 
Top