ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল চিকিৎসা নিতে আসা রোগীর স্বজনের দুর্ব্যবহারের কারণে প্রায় ঘন্টাব্যাপী বন্ধ ছিল জরুরি বিভাগের চিকিৎসা কার্যক্রম। এ সময়ে শিক্ষানবিশ চিকিৎসকেরা হাসপাতালের পরিচালকের পদত্যাগের দাবিতে স্লোগান দেয়।
শনিবার রাতে এ ঘটনা ঘটে। পরে চিকিৎসক নেতা ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়। শনিবার রাত আটটার সময়ে ২০৫ নম্বর ওয়ার্ডের শিশু সার্জারি বিভাগের আসফিনা নামের ছয়মাস বয়সী একটি শিশুকে অপারেশন করে ওয়ার্ডে আনা হয়। তখন ওই শিশুটির স্বজনরা বেডের সামনে ভীড় করে দাড়িয়েছিল।
এ সময়ে সেখানে কর্তব্যরত শিক্ষানবিশ চিকিৎসক ডা. ফারহানা আফরিন ও ডা. শর্মিষ্ঠা দাস শিশুটির স্বজনদের সেখান থেকে চলে যেতে বলেন। আরো বলেন এখানে কি হাট বসিয়েছেন।
এ কথা শোনার পরে শিশুটির নানা ইলেকট্রিক মিস্ত্রি কোরবান আলী জানালার গ্লাস ভেঙ্গে ওই দুই চিকিৎসকদের উপরে হামলা করে। এতে ফারহানার ডান হাতের কব্জি কেটে যায়। এ ঘটনা তাৎক্ষনিকভাবে হাসপাতালের পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মিজানুর রহমানকে অবহিত করেন ওই দুই চিকিৎসক।
ঘটনা শুনে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে চিকিৎসকদের বলেন, ‘আপনারা ঝামেলায় জড়াতে গেলেন কেন?’
এরপর রাত সাড়ে নয়টার সময়ে শিক্ষানবিশ চিকিৎসকরা এসে জরুরি বিভাগের ফটক বন্ধ করে দেয়। ফলে প্রায় ঘন্টাব্যাপী হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসা সেবা কার্যক্রম বন্ধ ছিল। রাত সাড়ে ১০ টার সময়ে বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মিজানুর রহমান এবং উপপরিচালক ডা. খাজা আবদুল গফুর এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ উপপরিদর্শক বাচ্চু মিয়া বলেন, এখন পরিস্থিতি শান্ত হয়েছে। চিকিৎসা কার্যক্রম স্বাভাবিকভাবে চলছে। ডা. ফারহানা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
from ঢাকা – দ্যা গ্লোবাল নিউজ ২৪ http://ift.tt/2kBjEVs
February 05, 2017 at 12:56PM
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Click to see the code!
To insert emoticon you must added at least one space before the code.