ঢাকা, ১২ ফেব্রুয়ারী- ফলো-অন এড়াতে বাংলাদেশকে ৪৮৮ রান করতে হতো। কিন্তু মুশফিকদের ব্যাটিং দৃঢ়তার কারণেই হয়তো ভারত সেই পথে গেল না। ফলো-অনের লক্ষ্য থেকে ১০০ রান দূরে থেকেই শেষ হলো বাংলাদেশের ইনিংস। ভারতের প্রথম ইনিংস থেকে তখন ২৯৯ রানে পিছিয়ে সফরকারীরা। অতিথিদের ইনিংস হারের লজ্জা দেওয়ার ঝুঁকি না নিয়ে বরং বড় ব্যবধানে ম্যাচ জয়ের জন্য দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করল ভারত। লাঞ্চের আগে খেলা হলো মাত্র ১ ওভার। রান এল ১টি। অনেক নাটকীয়তার এই ম্যাচের রং পরিবর্তন হয়েছে ক্ষণে ক্ষণে। এক মুহূর্তেই বিপর্যয়ে পড়ে পরমুহূর্তেই আবারও ঘুরে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ। দলকে লড়াইয়ে ফেরানো সাকিব শেষ পর্যন্ত ৮২ রান করে উইকেট বিলিয়ে দিয়েছেন। সাব্বির উইকেটে এসে কী করেছেন সেটা হয়তো তিনি নিজেও জানেন না। এরপর আবারও মুশফিকের সঙ্গী হয়ে লড়াই করেছেন তরুণ মেহেদী মিরাজ। মিরাজের পর বোলাররা কিছু সময় সঙ্গ দিয়েছেন মুশিকে। দারুণ চাপের মধ্যে মুশফিক পেয়েছেন ক্যারিয়ারের পঞ্চম সেঞ্চুরি। এমতাবস্থায় আরও কত নাটক অপেক্ষা করে রয়েছে কে জানে? তবে একটা বিষয় সকলেই স্বীকার করবেন যে, ভারত দ্বিতীয় ইনিংস খেলতে নামায় আবারও ম্যাচ বাঁচানোর সুযোগ পেল বাংলাদেশ। ম্যাচ পঞ্চম দিন পর্যন্ত গড়ানো একরকম নিশ্চিত হয়ে গেছে। এখন শুধু দরকার ঠাণ্ডা মাথায় টেস্ট মেজাজে খেলে যাওয়া। ভারত চাইবে দ্রুত রান তুলে দ্বিতীয় ইনিংস ঘোষণা করা। এই পরিকল্পনা ভেস্তে দিতে হবে বাংলাদেশি বোলারদের। তা না হলে ঐতিহাসিক টেস্ট থেকে একমাত্র মুশফিকের সেঞ্চুরি ছাড়া আর বলার মত কিছু থাকবে না।
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://ift.tt/2lCfmda
February 12, 2017 at 06:43PM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন