ওসমানীনগর প্রথম উপজেলা নির্বাচন ইলিয়াসপত্নী লুনা বিএনপি প্রার্থীদের কাছে যেন সোনার হরিণ!

4-3

মোঃ আবুল কাশেম, বিশ্বনাথ ( সিলেট ) প্রতিনিধি :: সিলেটের ওসমানীনগরের প্রথম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে উপজেলা জুড়ে উৎসব মূখর পরিবেশ বিরাজ করছে। নির্বাচন কমিশন কর্তৃক আগামী ৬ মার্চ উপজেলা নির্বাচনের তারিখ ঘোষনার পর থেকে উপজেলার হাট-বাজার থেকে শুরু করে গ্রাম অঞ্চলে এখন বইছে নির্বাচনী আমেজ। দলীয় প্রতিকে প্রথম বারের মতো নির্বাচন অনুষ্টিত হওয়ায় উপজেলার আওয়ামী লীগ ও বিএনপির যোগ্য প্রার্থীদের পাশাপাশি শুধু মাত্র নিজ নেতৃত্বের জানান দিতে আওয়ামীলীগ, বিএনপির ও অঙ্গ সংগঠনের একাধিক নেতা-কর্মীরা প্রার্থী হিসেবে দলীয় মনোনয়ন চাইবেন বলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করে যাচ্ছেন।

নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা যায়, ওসমানীনগর উপজেলা পরিষদের নির্বাচনের মনোনয়ন জমা দানের শেষ তারিখ ৯ ফেব্রুয়ারি। প্রার্থী যাচাই-বাছাই ১০ ফেব্রুয়ারি এবং প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ১৭ ফেব্রুয়ারি এবং ভোট গ্রহন ৬ মার্চ। উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে কন্দ্রে করে বিভিন্ন রাজনৈতিক ও স্বতন্ত্র সম্ভাব্য প্রার্থী এবং সমর্থকদের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ দেখা দিয়েছে। ৮টি ইউনিয়ন নিয়ে নব-গঠিত ওসমানীনগর উপজেলা।

এদিকে, শনিবার রাতে ওসমানীনগর উপজেলা বিএনপির উদ্যোগে ইলিয়াসপত্নী তাহসিনা রুশদি লুনার অনুপস্থিতিতে তার সিলেটস্থ উপশহর বাসায় নির্বাচনের প্রার্থী বাছাইয়ের লক্ষে এক জরুরী সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে বলে সূত্রে জানাগেছে। সভায় আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী বাছাই কমিটি গঠন করা হয়।

এতে কমিটির প্রধান হলেন-নিখোঁজ বিএনপি নেতা ইলিয়াস আলীর স্ত্রী তাহসিনা রুশদি লুনা, সদস্য উপজেলা বিএনপির সাবেক আহবায়ক চেরাগ আলী, উপজেলা বিএনপির সভাপতি সৈয়দ মোতাহির আলী, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এসপিএম ফখর উদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহ মো. ইয়াহইয়া।
এই প্রথম বারের মতো দলীয় প্রতিকে ওসমানীনগরে প্রথম উপজেলা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এতে দলীয় মনোনয়ন পেতে চেয়ারম্যান প্রার্থীরা দৌড়ঝাপ শুরু করেছেন। দলীয় মনোনয়ন পেতে প্রার্থীরা দলের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছেন। প্রবাসী অধ্যুষিত এলাকায় হওয়ায় আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে অংশ নিতে প্রবাসী চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীরা দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার জন্য দেশে আসতে শুরু করেছেন।

ওসমানীনগরের উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে বইছে উপজেলা নির্বাচনী হাওয়া। নির্বাচনকে সামনে রেখে আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি এ পর্যন্ত প্রায় অর্ধশতাধিক প্রার্থীরা মাঠে প্রচারনা চালিয়ে যাচ্ছেন। দলীয় প্রতিকে স্থানীয় নির্বাচন হওয়ায় এসকল প্রার্থীরা জেলা ও কেন্দ্রীয় সিনিয়র নেতাদের কাছে জোর লবিং শুরু করেছেন। তাদের জন্য দলীয় মনোনয়ন লাভই যেন প্রথম চ্যালেঞ্জ হয়ে দাড়িয়েছে। এমন বড় চ্যালেঞ্জে মনোনয়ন পেতেই বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীদের কাছে নিখোঁজ বিএনপি নেতা ইলিয়াস আলীর স্ত্রী তাহসিনা রুশদি লুনা যেন এখন সোনার হরিণের মতো! সর্বশেষ কার কপালে দলীয় প্রতিক ধানের শীষের মনোনয়ন রয়েছে তাহা এখনই বলা সম্ভব হচ্ছেনা। ধানের শীষের প্রতিক পেতে প্রতিদিন চেয়ারম্যান প্রার্থীরা ইলিয়াসপত্নী তাহসিনা রুশদি লুনার সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছেন। কেউ কেউ আবার লুনার ঢাকাস্থ বাসভবনে গিয়ে প্রার্থীরা হওয়ার ঘোষনা দিয়ে আসছেন।

এবারের নির্বাচনে বিএনপি সমর্থিত প্রবাসী প্রার্থীরাও সুদূর প্রবাস থেকে ইলিয়াসপত্নী তাহসিনা রুশদি লুনার সঙ্গে ফোনে প্রতিনিয়ত যোগাযোগ রাখছেন। ইলয়াসপত্নী র আর্শিবাদ পেলেই প্রার্থী হওয়া যাবে এমন মনোভাব নিয়ে কাজ করছেন প্রার্থীরা। বিএনপির দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশীরা হলেন-জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি মঈনুল হক চৌধুরী, উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ইমরান রব্বানী, যুক্তরাজ্য বিএনপি নেতা এম এ রকিব, ভাইস চেয়ারম্যান উপজেলা ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক কাজী নুরুল হক, সহ-সাধারণ সম্পাদক গয়াছ মিয়া, বিএনপি নেতা আবদুল্লাহ মিছবা, আবদুর রব আল মামুন, আলী আছকর ফয়েজ, ছাত্রদলের যুগ্ম-আহবায়ক জুয়েল আহমদ।

এব্যাপারে তাহসিনা রুশদি লুনা বলেন, অনেকেই প্রার্থী হওয়ার বিষয়টি মোবাইল ফোনে অবহিত করেছেন। তৃণমূল নেতাকর্মীর ভিত্তিত্বে নির্বাচনে প্রার্থী দেয়া হবে। প্রার্থীদের তালিকা সংগ্রহন করে কেন্দ্রে প্রেরণ করা হবে। কেন্দ্রীয় বিএনপির মতামতের ভিত্তিত্বে চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানের নাম ঘোষনা করা হবে।



from সিলেট – দ্যা গ্লোবাল নিউজ ২৪ http://ift.tt/2lbxGh2

February 06, 2017 at 09:09PM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top