মহিউদ্দিন মোল্লা ● কুমিল্লা জেলার তিন সহস্রাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এক তৃতীয়াংশের মধ্যে শহীদ মিনার নেই। শিক্ষার্থীদের ভাষা শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে ফুল দিতে হয় কলা গাছ বা কাঠের শহীদ মিনারে কিংবা দূরের স্কুল কলেজে গিয়ে।এর ফলে ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস ও গুরুত্বও অনুধাবন করতে পারছে না শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষা অফিসের সূত্রে জানা গেছে, কুমিল্লা জেলায় ২ হাজার ৮৬টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৫৬৯টি উচ্চ বিদ্যালয়, ৩৭৮টি মাদ্রাসা, ১৫৫টি কলেজ রয়েছে। কলেজ ও উচ্চ বিদ্যালয়গুলোর অধিকাংশে শহীদ মিনার থাকলেও প্রাথমিক বিদ্যালয় ও মাদ্রাসার বেশির ভাগে শহীদ মিনার নেই। বিশেষ করে কুমিল্লা নগরীর গুলবাগিচা মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পুরাতন চৌধুরীপাড়া রেয়াজ উদ্দিন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও হোচ্ছা মিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার নেই।
নগরীর রেয়াজ উদ্দিন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আছমা আক্তার বলে, বইতে শহীদ মিনারের কথা পড়েছি। আমাদের স্কুলে কোনও শহীদ মিনার নেই।
রেয়াজ উদ্দিন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আয়েশা আক্তার বলেন, স্কুলে শহীদ মিনার করার মতো আমাদের বাজেট নেই। স্কুল ম্যানেজিং কমিটি একটি শহীদ মিনার নির্মাণের বিষয়ে আলোচনা করেছেন।
হোচ্ছা মিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক একেএম জাহাঙ্গীর আলম বলেন, এ স্কুলে একটি শহীদ মিনার ছিল। ৭/৮ বছর আগে মাঠ সংস্কারের সময় সেটি সরিয়ে দেওয়া হয়। জেলা পরিষদে একটি শহীদ মিনার নির্মাণের আবেদন জানানো হয়েছে। আশা করছি আমরা দ্রুত একটি শহীদ মিনার নির্মাণ করতে পারবো।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. নুরুল ইসলাম বলেন, প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার নির্মাণের জন্য কোনও বাজেট দেওয়া হয় না। যে স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সামর্থ আছে সেখানে শহীদ মিনার নির্মিত হয়েছে।
জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. আবদুল মজিদ বলেন, শহীদ মিনার নির্মাণের জন্য সরকার নির্দেশনা পাঠিয়েছে, আমরা তা প্রতিষ্ঠানগুলোতে পাঠিয়ে দিয়েছি। কিছু প্রতিষ্ঠান এখনও শহীদ মিনার নির্মাণ করেনি। সেখানেও আমরা কথা বলে শহীদ মিনার নির্মাণের ব্যবস্থা করবো।
from Comillar Barta™ http://ift.tt/2lymivd
February 20, 2017 at 04:59PM
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Click to see the code!
To insert emoticon you must added at least one space before the code.