সাংবাদিকদের নৈশভোজ বয়কটের ঘোষণা ট্রাম্পের

hমিডিয়ার সঙ্গে চলমান তিক্ততা অব্যাহত রাখতে চান যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি হোয়াইট হাউস করেসপনডেন্টস অ্যাসেসিয়েশনের নৈশভোজে অংশ নেবেন না বলে জানিয়ে সেই বার্তাই আবারও দিলেন। এর আগের দিন শুক্রবার কয়েকটি সংবাদ সংস্থাকে হোয়াইট হাউসে ঢুকতে না দেওয়ার রেশ কাটতে না কাটতেই গত শনিবার ট্রাম্পের তরফে এ ঘোষণা এলো।

জমকালো এই অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের পাশাপাশি বিশিষ্টজন ও রাজনীতিবিদরা অংশ নিয়ে থাকেন। গত শনিবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট এক টুইটে বলেন, ‘এ বছর হোয়াইট হাউস করেসপনডেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের ডিনারে যাচ্ছি না। সবার মঙ্গল কামনা করছি, সেই সঙ্গে দুর্দান্ত একটি সন্ধ্যা কাটবে বলেই আমি বিশ্বাস করি। ’

হোয়াইট হাউসে ঢোকার পর থেকেই সাংবাদিকদের সঙ্গে বৈরিতার মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন ট্রাম্প। মার্কিন প্রেসিডেন্টের বিভিন্ন পদক্ষেপের সমালোচনা করা সংবাদ মাধ্যমকে যেমন তিনি নিয়মিত তিরস্কার করে আসছেন, তেমনি হোয়াইট হাউসকেও ক্রমেই ‘সংরক্ষিত এলাকা’ হিসেবে পরিচিত করে তুলছেন নানা পদক্ষেপের মধ্য দিয়ে। গত কয়েক দিনে তিনি সাংবাদিকদের ‘গণশত্রু’, ‘বিরোধী দল’, ‘ভুয়া খবর পরিবেশক’ বলে অভিহিত করেন।

শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের কয়েকটি প্রধান সংবাদ সংস্থাকে হোয়াইট হাউসে প্রেস ব্রিফিংয়ে ঢুকতে দেয়নি ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন। এর মধ্যে সিএনএন, দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস, দ্য লসঅ্যাঞ্জেলেস টাইমসের মতো মার্কিন পত্রিকার পাশাপাশি বিবিসির মতো বিদেশি সংবাদ মাধ্যমও রয়েছে। যার সমালোচনায় সরব হতে দেখা যায় হোয়াইট হাউস করেসপনডেন্টস অ্যাসোসিয়েশনকে (ডাব্লিউএইচসিএ)। সাংবাদিকদের নৈশভোজের আয়োজনও এই সংগঠনটিই করে থাকে। ১৯২১ সাল থেকে এই বার্ষিক নৈশভোজের প্রথা চলছে। এই নৈশভোজে বরাবরই প্রেসিডেন্টরা উপস্থিত থাকেন। এ অনুষ্ঠান থেকে সাংবাদিকদের জন্য বৃত্তির তহবিল সংগ্রহ করা হয়। সংগঠনের সভাপতি জেফ ম্যাসন এক টুইটে জানান, পরিকল্পনা অনুসারেই অনুষ্ঠান করবেন তাঁরা। ম্যাসন আরো বলেন, নৈশভোজে অংশ নেবেন কি না তা ট্রাম্পের ব্যাপার। কিন্তু হোয়াইট হাউসের সংবাদদাতারা নিজেদের দায়িত্ব পালন করে যাবেন। ট্রাম্প প্রশাসনের ব্যাপারে তাঁরা সত্য খবরই জানাবেন। এর আগেও সাংবাদিকরা তাই করেছেন। ওয়াশিংটনে ২৯ এপ্রিল ওই নৈশভোজ হওয়ার কথা রয়েছে।

তবে ট্রাম্পের মন্তব্যের প্রতিবাদে এরই মধ্যে কয়েকটি সংবাদ সংস্থা ওই নৈশভোজ বয়কটের ঘোষণা দিয়েছে।



from যুক্তরাজ্য ও ইউরোপ – দ্যা গ্লোবাল নিউজ ২৪ http://ift.tt/2l1Cm9H

February 27, 2017 at 09:49AM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top