নিজস্ব প্রতিবেদক ● প্রতীক নিয়েই প্রচারণায় নেমে পড়েছেন কুমিল্লা সিটি করপোরেশন (কুসিক) নির্বাচনের প্রার্থীরা। দলীয় প্রতীকে প্রথমবারের মতো এই সিটি করপোরেশনে মেয়র নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।
বুধবার বেলা ১১টায় কুমিল্লা নগরীর টাউন হল মিলনায়তনে তিন মেয়র প্রার্থী, সাধারণ কাউন্সিল ও মহিলা সংরক্ষিত প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্ধ করেন রিটার্নিং কর্মকর্তারা।
দ্বিতীয়বারের মতো অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া কুসিক নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রতীক নৌকা পেয়েছেন আঞ্জুম সুলতানা সীমা, বিএনপির নির্বাচনী প্রতীক ধানের শীষ পেয়েছেন কুসিকের প্রথম মেয়র মনিরুল হক সাক্কু।
এছাড়া জাসদের একাংশের (জেএসডি) প্রার্থী শিরিন আক্তার তালা প্রতীক নিয়ে এ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। প্রতীক পেয়েই নৌকার প্রার্থী সীমা দলীয় কার্যালয়ে গিয়ে দলীয় নেতৃবৃন্দকে নিয়ে বৈঠক করেন।
অন্যদিকে বিএনপির প্রার্থী সাক্কু দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে নগরীর বিষ্ণুপুর এলাকায় প্রচারে বের হন।
প্রতীক বরাদ্দ পেয়েই প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বীর বিরুদ্ধে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ এনেছেন বিএনপির প্রার্থী সাক্কু। তিনি বলেন, সরকারদলীয় প্রার্থী প্রতীক বরাদ্দ হওয়ার আগেই মিছিল, সমাবেশ করে জনগণের কাছে ভোট চাইছেন। নির্বাচন কমিশন এ বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।
তবে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সীমা। তিনি বলেন, তার প্রতিদ্বন্দ্বী নির্বাচনে পরাজয়ের আশঙ্কায় আগে থেকেই অভিযোগ করে রাখছেন। এসব করে ভোটারদের মন পাওয়া যাবে না বলেও জানিয়ে দেন সীমা।
জানতে চাইলে রিটার্নিং কর্মকর্তা রকিব উদ্দিন মণ্ডল জানান, যারা আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছেন তাদের বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি এবং সতর্কতা নোটিশ দিয়েছি। তিনি বলেন, সব প্রার্থী আমাদের কাছে সমান। আশা করি সব প্রার্থী আমাদের দেয়া নিয়ম কানুন মেনে চলবেন, আচরণবিধি লঙ্ঘন করবেন না। নির্বাচনী প্রচার চলার সময় পুলিশ, জেলা প্রশাসক ও নির্বাচন কর্মকর্তা সব সময় মাঠে থাকবেন। অভিযোগ পাওয়া মাত্রই তদন্তের মাধ্যমে বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান রিটার্নিং কর্মকর্তা।
আগামী ৩০ মার্চ কুমিল্লা সিটি কিরপোরেশন নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এই মহানগরের দুই লাখ সাত হাজার ৫৬৬ ভোটার ভোটাধিকার প্রয়োগ করে নতুন জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত করবেন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার এক লাখ দুই হাজার ৪৪৭ জন এবং নারী ভোটার এক লাখ পাঁচ হাজার ৫৬৬ জন। ৬৫টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ করা হবে ৪২১টি ভোটকক্ষে।
২০১২ সালের ৫ জানুয়ারি নির্দলীয়ভাবে এই সিটি করপোরেশনের প্রথম নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। তবে ওই নির্বাচন বর্জন করেছিল রাজপথের প্রধান বিরোধী দল বিএনপি। তবে দল থেকে পদত্যাগ করে নাগরিক কমিটির প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন বিএনপির প্রার্থী মনিরুল হক সাক্কু। ওই নির্বাচনে তিনি আওয়ামী লীগ সমর্থিত আফজল খানকে সহজেই হারিয়ে মেয়র নির্বাচিত হন। এবার আওয়ামী লীগ প্রার্থী করেছে আফজল খানের মেয়েকে। দ্বিতীয় দফা ভোট হচ্ছে দলীয় প্রতীকে। তাই স্থানীয় সরকারের এ নির্বাচনে এসেছে জাতীয় নির্বাচনের আমেজ।
from Comillar Barta™ http://ift.tt/2nE7CZn
March 15, 2017 at 05:38PM
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন