ঢাকা, ৩০ মার্চ-নারী ডিজে হিসেবে বাংলাদেশে প্রথম তার পথচলা। ডিজের পাশাপাশি শখের বসে করেছেন গান ও অভিনয়। খুব মিষ্টি এবং অসাধারণ ব্যবহারের অধিকারী তিনি। সম্প্রতি হাতিরঝিলে উদ্বোধন করা ওয়াটারফল মিউজিকের কাজও তার করা। কথা বলছিলাম এদেশের জনপ্রিয় ডিজে মাজরিয়া কবির সোনিকার সাথে। প্রতিবেদক: কেমন আছেন? সোনিকা: হুম। ভালো আছি। প্রতিবেদক: আপনার নতুন গানটি সম্পর্কে কিছু বলুন। সোনিকা: আমার নতুন গানটির নাম হচ্ছে ড্যান্স উইথ ইউ। আমার বন্ধু ডিজে আকসের সাথে অনেকদিনের প্ল্যান ছিল আমরা একসাথে একটি গান করব। দুই বছর সময় লেগেছে এই গানটি করতে। কারণ এর মাঝে আমি দুই বছরের বেবি বাম্প নিয়েও গান গেয়েছি। যখন প্রথম এই গানটি রেকর্ড করা হয় সে সময়ের দিকে আমি এভাবেই গান করি। প্রতিবেদক: এই গানটা কী আমরা ইতোমধ্যে আরজে তাজের একটা রেডিও শোতে শুনেছি? সোনিকা: হ্যাঁ। আগে থেকেই আসলে প্ল্যান ছিল যে এই গানটা রেডিওতেই লঞ্চ করব। আগামী মাস থেকে এর মিউজিক ভিডিও নিয়েও কাজ শুরু করব। খুব সম্ভব মে থেকে মিউজিক ভিডিওটি দর্শকরা দেখতে পাবে। প্রতিবেদক: সম্পূর্ণ গানটা কী ইংরেজিতে করা? সোনিকা: না। এর মধ্যে বাংলা, ইংলিশ দুটোই আছে যাতে ইন্টারন্যাশনাল ফ্যান যারা আছেন তারা উপভোগ করতে পারে। আবার বাংলাদেশে যারা ফ্যান আছেন তারাও উপভোগ করতে পারেন। প্রতিবেদক: আপনার কী তাহলে আন্তর্জাতিক মাধ্যমে গান গাওয়ার ইচ্ছা আছে? সোনিকা: অবশ্যই। কারণ আমি যেহেতু ইন্টারন্যাশনাল মানের কাজ করছি, তাই আমার ইচ্ছা আছে ইন্টারন্যাশনাল আর্টিস্টদের সাথে কাজ করার। প্রতিবেদক: সম্প্রতি আর কী কী করা হয়েছে? সোনিকা: গত ২৬সে মার্চ হাতিরঝিলে একটা ওয়াটারফল উদ্বোধন করা হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী বেগম শেখ হাসিনা যেটা উদ্বোধন করলেন। সেটার মিউজিকের দায়িত্ব আমাকে দেওয়া হয়েছিল। প্রতিবেদক: নারী ডিজে হিসেবে পথচলা অবশ্যই কঠিন ছিল। সেই অভিজ্ঞতাগুলো যদি একটু বলতেন। সোনিকা: অবশ্যই। এটা অনেক কঠিন ছিল। সেই অভিজ্ঞতা বলতে, প্রথমত মানুষ বুঝতই না। আমি কী ডিজে করতে আসছি, না গান করতে আসছি এটাই মানুষ বুঝত না। এখন তাও অবশ্য বুঝে। আর প্রথম মেয়ে ডিজে হিসেবে অনেক কাজের চাপ ছিল। কারণ একটার পর একটা ইভেন্টে কাজ আসতেই থাকত। প্রত্যেকেই তাদের অনুষ্ঠানে মেয়ে ডিজে চায় এর কারণ হচ্ছে, মেয়েরা এক্সট্রা গ্ল্যামার যোগ করে। প্রতিবেদক: নারী ডিজে হিসেবে শুরুর দিকে কোনো প্রতিবন্ধকতা ছিল কী? সোনিকা: হ্যাঁ। যেহেতু ইসলামিক দেশ তাই অনেকে বলত, আমি মেয়ে মানুষ, আমি এটা করতে পারব না। আমাকে হুমকিও দেওয়া হয়েছিল। আমাকে আরও বলা হয়েছিল, তোমাকে দেখে বাংলাদেশের সমাজ নষ্ট হবে, তোমাকে দেখে বাংলাদেশের মেয়েরা নষ্ট হবে। এরপর আমি নাকি বাংলাদেশের সংস্কৃতি নষ্ট করছি, ডিজে বাংলাদেশের সংস্কৃতির মধ্যে পড়ে না ইত্যাদি। আর এখন দশটা মেয়ে ডিজে করে তাদের সংসার চালাচ্ছে। আমি মেয়েদের জন্য নতুন কর্মক্ষেত্র তৈরি করেছি। সব জায়গায় এখন মেয়ে ডিজেই নেয়। প্রথমের দিকে আসলে সবকিছুই চ্যালেঞ্জিং থাকে। প্রতিবেদক: হুমকিগুলো কেমন ছিল? আর হুমকির মাধ্যমগুলো কী রকম ছিল? সোনিকা: অনেকভাবেই হুমকিগুলো পেয়েছি। বাসায় এসে হুমকি দিয়ে গেছে যে, আমি বাসায় থাকতে পারব না। প্রোগ্রামে হুমকি দেয়া হয়েছে যে, প্রোগ্রাম শেষে রাতে সে বাসায় থাকতে দেয়া হবে না ইত্যাদি। আমি এরপরও সব হুমকির প্রতিবাদ করে গেছি, বলেছি, আই এ্যাম ডুয়িং নাথিং রং। অনেকে অবশ্য অনেকভাবে সহায়তাও করেছেন। প্রতিবেদক: আপনি তো এখন দেশের বাইরেও বিভিন্ন শোতে জড়িত আছেন। সেগুলো নিয়ে যদি বলতেন। সোনিকা: দেশের বাইরের শো বলতে বিভিন্ন কর্পোরেট শো যেগুলো হয়, সেগুলোতে এখন বাংলাদেশিরাও মোটামুটি যাচ্ছে। আমিও যাই। আমি যখন ডিজে শুরু করেছিলাম, তখন ভারতেও কিন্তু মেয়ে ডিজেরা কেবল তৈরি হচ্ছিলো। যেহেতু বিভিন্ন দেশেও আমার অনেক ফ্যান ছিল, সেহেতু ইন্টারনেটের মাধ্যমে দেশের বাইরে থেকেও আমার অনেক অফার আসতো। ভারত থেকে অফার আসতো, আবার এশিয়ার বিভিন্ন দেশ থেকেও অফার আসতো। প্রতিবেদক: দেশের বাইরে প্রথম শো করতে যাওয়া হয় কীভাবে? সোনিকা: প্রথম দেশের বাইরে অভিজ্ঞতা ছিল থাইল্যান্ডের কোসামতিতে। প্রায় পাঁচ বছর আগের কথা। আমাকে প্রথম যখন অফার করা হয়েছিল তখন সবাই না করছিল যাওয়ার জন্য। তারা ভয় দেখিয়েছিল যে, শুধু গান বাজানোর জন্য একটা মেয়েকে বাংলাদেশ থেকে নিবে কেন? এর পেছনে নিশ্চয়ই অন্য কোনো কারণ রয়েছে। সবার কথা শুনে প্রথম ২ টা শোয়ের ডেট আমি ইচ্ছঅ করে মিস করি জানার জন্য যে, ঐদিনে আসলেই কোনো প্রোগ্রাম হচ্ছে কী না। পরে ওদের প্রোগ্রামের ছবি দেখে বিশ্বাস করি এবং একেবারে শেষ শোয়ের ডেটে গিয়ে গান বাজাই। প্রতিবেদক: দেশের বাইরে প্রথম বাজানোর অভিজ্ঞতা কেমন ছিল? সোনিকা: সেটা আসলে স্বপ্ন সত্যি হওয়ার মতো আনন্দদায়ক ছিল। ঐটা ছিল সমুদ্রের সামনে। সামনে বিশাল সমুদ্র, সী-বীচের মধ্যে মানুষ, আর দারুণ একটা রিসোর্ট। এটার নাম ছিল মিকি বীচ। আমার মনে হচ্ছিল যেন স্বর্গে বাজাচ্ছি। সেখানে আরেকজন নারী ডিজে ছিলেন। সে এসেছিলো অস্ট্রেলিয়ার ক্যানবেরা থেকে। সে আমার মিক্স বাজানো দেখে অবাক হয়ে বেশ প্রশংসাও করেছিল। সব মিলিয়ে অভিজ্ঞতাটা অসাধারণ ছিল। প্রতিবেদক: ডিজেতে বাংলাদেশি সংস্কৃতির বাদ্যযন্ত্র যেমন; ঢোল, খঞ্জনী- এগুলো নিয়ে আসা কী সম্ভব? সোনিকা: হ্যাঁ। এগুলো তো আমরা বাজাচ্ছি। আমরা যখন কোনো বাংলা গানের রিমিক্স করি তখন এই বাদ্যযন্ত্রগুলো বেশি সাপোর্ট করে। আর আমাদের বাংলাদেশি গানগুলো যে তালের, সেই তালের সাথে ঢোলের তাল, খঞ্জনীর তাল- এগুলো ভাল যায়। তো সেক্ষেত্রে আমরা ঐ তালগুলোর সাথে মিল রেখেই রিমিক্স করার চেষ্টা করি। প্রতিবেদক: ডিজে হলেই একটা ওয়েস্টার্ন লুক থাকতে হবে, এটা কী আবশ্যক? সোনিকা: না। কখনই এটা আবশ্যক না। তবে বিয়েতে অনুষ্ঠান করলে আমরা শাড়ি পরি। এই শাড়ি পরে নড়াচড়া করাটা সহজ না। আবার সালোয়ার কামিজ পরলেও দেখা যায়, ড্রেসগুলো সামলিয়ে নড়াচড়া করাটাও কঠিন। ডিজে করার সময় হাতে বাজাই, লাফাই আবার নাচি। এটা একটা ব্যায়ামের মতো বলঅ চলে। তো এজন্য এমন পোশাক পরতে হয় যাতে করে সহজে মুভ করা যায়। এক্ষেত্রে ওয়েস্টার্ন ড্রেসগুলো আমাদের সহজে মুভ করাকে সাপোর্ট করে, এজন্য আমরা ওগুলোই পরি। প্রতিবেদক: অনেকেই বলে যে, পশ্চিমা সংস্কৃতি এদেশের সংস্কৃতিকে গ্রাস করে নিচ্ছে। এ নিয়ে আপনার অভিমত কী এবং এতে কী ডিজেদের কোনো ভূমিকা আছে? সোনিকা: এক্ষেত্রে ডিজেদের ভূমিকা বলতে যদি এমন হতো যে, আমরা শুধু ইংলিশ আর হিন্দি গান বাজাই। তাহলে আমি বলতাম যে, হ্যাঁ, এটা খারাপ। কিন্তু আমাদের চেষ্টা হচ্ছে কীভাবে বাংলা গানকে আন্তর্জাতিকভাবে উপস্থাপন করা যায়। যেমন; ইন্টারন্যাশনাল গানগুলো যে স্টাইলে হচ্ছে, আমরা বাংলা গানগুলোকে সেই স্টাইলেই আমাদের দর্শকদের সামনে উপস্থাপন করছি, যেন বাইরের দেশের দর্শকরা এটা গ্রহণ করতে পারে। যেমন; বাংলা পুরনো যে গানগুলো আছে সেগুলো আমরা নতুন মিউজিক ট্রেন্ডের সাথে তাল মিলিয়ে মানুষকে শোনানোর চেষ্টা করি। এতে করে যেন তারা সেই গানগুলোতে আগ্রহ পায়। আমরা সেই গানগুলোকে হারিয়ে যেতে দেই না। প্রতিবেদক: আমাদের দেশে এখন ডিজে পেশাটাকে কী ক্যারিয়ার হিসেবে নেওয়া যায়? সোনিকা: একশত বার নেওয়া যায়। আমি প্রায় দশ বছর ধরে ডিজে করেই আমার সংসার চালাচ্ছি। যদি ভালো মতো কাজ করা যায়, প্রতি মাসে কমপক্ষে ২ থেকে ৩ লাখ টাকা তো আসেই। কারণ এখন বাংলাদেশে অনেক ইভেন্ট হচ্ছে। খুব সহজেই একজন মানুষ তার পরিবারকে সাপোর্ট দিতে পারে এই ক্যারিয়ারে থেকে। প্রতিবেদক: আমাদের দেশে এর প্রশিক্ষণের জন্য কোনো ব্যবস্থা কী আছে? সোনিকা: শুরুর দিকে যে প্রাথমিক প্রশিক্ষণ, সেটা আছে। আমাদের দেশে ডিজে প্রশিক্ষণকেন্দ্র বলতে একটাই আছে, সেটা হচ্ছে ডিজে রাহাতের গ্যারেজ। আর এর পাশাপাশি সাধারণ মিক্সিংটা তারা শিখতে পারে। কিন্তু এটার পর যদি কেউ সাউন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে চায় সেক্ষেত্রে তাকে বিদেশে যেতে হবে। কারণ ডিজে হিসেবে ক্যারিয়ার গোছাতে চাইলে সাউন্ড এর উপরেও ভাল জ্ঞান থাকার দরকার আছে। এদেশের ডিজে হিসেবে বেশ পরিচিত মুখ সোনিকা। প্রতিবেদক: আপনিও তো একবার দেশের বাইরে চলে গিয়েছিলেন পড়াশোনার জন্য... সোনিকা: আমি দেশের বাইরে বিভিন্ন কোর্স করেছি। যেমন; রিমিক্স গানগুলো কীভাবে সফট্ওয়্যারের মাধ্যমে বানানো যায়, সাউন্ড ডিজাইন ইত্যাদি বিষয়ে। সাউন্ড ডিজাইন বলতে, একটা শোতে একশ জন মানুষের জন্য কীভাবে সাউন্ড ডিজাইন করবো অথবা এক হাজার মানুষের জন্য কীভাবে সাউন্ড ডিজাইন করবো এই ব্যাপারগুলো বোঝায়। তো এগুলো শেখার জন্যই যাওয়া আরকি। প্রতিবেদক: ডিজেতে-ই কেন আসা? সোনিকা: সত্যি কথা বলতে, আমি কখনও কোনোদিন ডিজে হতে চাইনি। আমার ডিজে হওয়ার কখনও স্বপ্ন ছিল না। আমি ডিজে শুরু করছিলাম শুধু পকেট মানির জন্য। একটা পার্টটাইম জবের মতো। আমি যেদিন ডিজে শিখতে গেলাম সেদিন এতো বেশি মানুষের প্রশংসা পেয়েছি যে আমি মুগ্ধ হয়ে যাই। তখনই সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলি যে এটাকেই পেশা হিসেবে নিব। বাংলাদেশে মেয়ে ডিজে তো নেই, হয়তো ভাগ্যক্রমে কিছু একটা হয়ে যেতে পারে। প্রতিবেদক: বাংলাদেশে আপনার একেবারে প্রথম ডিজে প্রোগ্রামের অভিজ্ঞতা কেমন ছিল? সোনিকা: আমি প্রথম ডিজে হিসেবে শো করি গুলশানের স্যাফ্রনে যেটা এখন আর নেই। এটা প্রায় দশ বছর আগের কথা। একটা হলুদে রাহাত ভাইয়ার শো ছিল এটা। রাহাত ভাইয়া আমাকে বললেন যে, তুমি তো এতোদিন অনেক অনেক শিখলা, এখন শো করো। ওটাতেই প্রথম আমাকে গান বাজাতে দিয়েছিল। রাহাত ভাইয়া এমন একজন মানুষ যার সামনে গেলে আজও আমার হাত পা কাঁপে। তার সামনে আমি বাজাতে পারতাম না। তিনি যখন ঐ প্রোগ্রামে আমাকে একটা গান মিক্স করে বাজাতে বললেন, তখন তাকে বললাম, ভাইয়া তুমি সামনে থাকলে আমি পারব না। ভাইয়া বললেন, ঠিক আছে আমি দূরে যাই। আমি আবার বললাম, এমন দূরে যাবা যেন আমি তোমাকে দেখতে না পাই। তিনি চলে গেলেন এবং এরপর আমি গান মিক্স করলাম। গান শেষে ভাইয়া কাছে এসে আমাকে ৫০০ টাকার একটা চকচকা নতুন নোট দিল এবং বললো, এটা তোমার প্রথম কামাই। আমি সেই নোটটা এখনও রেখে দিসি। প্রতিবেদক: পারিবারিক জীবন সম্পর্কে জানতে চাই। সোনিকা: পারিবারিক জীবনে আলহামদুলিল্লাহ্ যতটুকু খুশি থাকব ভাবছিলাম তার চেয়ে একটু বেশিই খুশি আছি। আমার স্বামী, আমার শ্বশুরবাড়ির লোকজন প্রত্যেকেই আমার কাজের প্রশংসা করে এবং আমাকে সবসময় আনুপ্রেরণা দেয়। এরপর আমাদের সংসারে প্রথম সন্তানও এসেছে। আমার জীবনের সব শখ পূরণ হয়ে গেছে। এখন শুধু বাকি রকেটে চড়ে চাঁদে যাওয়া। (হাসি) প্রতিবেদক: আমরা জেনেছি যে, আপনার আম্মুও গান করতেন... সোনিকা: হ্যাঁ। আমার আম্মু আমিনা খাতুন মিনা ১৯৭০ এর দিকে বাংলাদেশ বেতারে গান করতেন। প্রতিবেদক: সেখান থেকে কী গান গাওয়ার উৎসাহ? সোনিকা: হতে পারে। আম্মু সবসময়ই গুনগুন করে গান গায়। দেখা যায়, কাজ করতেছে আর গান গাচ্ছে। তার একটা শখের হারমোনিয়াম ছিল। সেটাতে তিনি গান করতেন। আমি স্কুল থেকে এসে দুপুরে খাওয়ার পর ঐ হারমোনিয়াম নিয়ে বসতাম। আম্মু আমাকে কয়েকটা গান শিখিয়েছিলেন, আমি বেশ কয়েকটা গান হারমোনিয়ামে তুলতেও পারতাম। স্কুলে বিভিন্ন প্রোগ্রামে গানও গেয়েছি। তারপর আমার ইচ্ছা ছিল কোনোদিন হয়তো গান গাবো কিন্তু ডিজে হবো এটা কোনোদিন ভাবিনি। প্রতিবেদক: আপনি তো অভিনয়ও করেছেন। সামনে কী সিনেমা করার পরিকল্পনা আছে? সোনিকা: আভিনয়টা ছিল শখের বসে করা। আমি সবসময় নিজেকে একটা চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলি। আমি আসলে দেখতে চাই যে, যেটা আমার কখনও করা হয়নি সেটা আমি করতে পারি কিনা। অভিনয়টাও আমার কাছে একটা চ্যালেঞ্জ ছিল, সেটা করা শেষ। গান করারও একটা চ্যালেঞ্জ ছিল, সেটাও করা শেষ। সিনেমা নিয়ে আমি আপাতত আগ্রহী না। কিন্তু আমার হাজবেন্ডের সাথে একটা সিনেমা করার প্ল্যান আছে, তবে সেটা এখন না, ৩-৪ বছর পর। প্রতিবেদক: সময় দেওয়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। সোনিকা: আপনাকেও ধন্যবাদ। আর/১২:১৪/৩০ মার্চ



from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://ift.tt/2o8WSpu
March 30, 2017 at 07:44AM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top