ইসলামাবাদ, ০৫ মার্চ- দীর্ঘ আট বছর পর পাকিস্তানের মাটিতে ক্রিকেটের বড় কোন আসর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। ২০০৯ সালের ৩ মার্চ শ্রীলংকান ক্রিকেট দলের উপর সন্ত্রাসী হামলার পর পাকিস্তানের মাটিতে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ম্যাচ খেলার ব্যাপারে অপারগ ছিলেন অধিকাংশ দেশের ক্রিকেটাররাই। নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে দেশটিতে খেলতে যায়নি কোন দল। এর ৬ বছর পর ২০১৫ সালে জিম্বাবুয়ে দল পাকিস্তান সফর করলেও বাকি দলগুলো পাকিস্তান যাওয়ার ব্যাপারে আপত্তি জানায়। তাই দেশের মাটিতে ক্রিকেটকে ফিরিয়ে আনতে উঠে পরে লেগে যায় পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। দীর্ঘ অপেক্ষার পর আজ (৫ মার্চ রবিবার) পাকিস্তান সুপার লিগের (পিএসএল) ফাইনাল ম্যাচটি হবে লাহোরে। লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় রাত ৯ টায় মুখোমুখি হবে পিএসএলের এবারের আসরের দুই ফাইনালিস্ট দল পেশোয়ার জালমি এবং কোয়েটা গ্ল্যাডিয়েটর্স। এদিকে ফাইনালে অংশ নিতে দুই ফাইনালিস্ট দলের খেলোয়াড়রা ইতিমধ্যে লাহোর পৌঁছে গেছে। এমনকি বাংলাদেশের উইকেট রক্ষক ব্যাটসম্যান আনামুল হক বিজয়ও এই ম্যাচে কোয়েটা গ্ল্যাডিয়েটর্সের হয়ে খেলতে এখন পাকিস্তানে অবস্থান করছেন। কোয়েটার বাকি বিদেশি খেলোয়াড় যেমন কেভিন পিটারসেন,লুক রাইট, রাইলি রুশোরা পাকিস্তান যেতে রাজি না হাওয়ায় ফাইনালের জন্য নতুন বিদেশি খেলোয়াড়দের দলে ভিড়িয়েছে সরফরাজ আহমেদের দল। এদের মধ্যে ইংল্যান্ডের জ্যাড ড্যারেনব্যাচ, দক্ষিণ আফ্রিকার রিচার্ড লেভি, জিম্বাবুয়ের গ্রায়েম ক্রেমার ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিসমার সানতোকিরাও রয়েছেন। অন্যদিকে পেশোয়ার জালমির মালিক জাভেদ আফ্রিদি নিশ্চিত করেছেন যে তার দলের বিদেশি খেলোয়াড়রা সবাই পাকিস্তানের মাটিতে ফাইনাল খেলতে ইচ্ছা পোষণ করেছেন। তবে দলের তারকা অলরাউন্ডার শহিদ আফ্রিদিকে এই ম্যাচে ইনজুরির কারনে পাচ্ছে না দলটি। শুক্রবার রাতে করাচির বিপক্ষে ম্যাচে পোলার্ডের ক্যাচ ধরতে গিয়ে আঙুল ফেটে যায় আফ্রিদির। রক্তাক্ত হাত নিয়ে মাঠ ছাড়েন তিনি। ১২টি সেলাই দিতে হয়েছে, সুস্থ হতে কমপক্ষে দুই সপ্তাহ লাগবে। তাই ফাইনাল খেলা হচ্ছে না তার। স্বভাবতই হতাশায় পুড়ছেন আফ্রিদি। তিনি জানান নিজেদের দর্শকের সামনে ফাইনালটা খেলতে চেয়েছিলাম। কিন্তু কিছু বিষয় থাকে যা আমাদের কারও হাতে থাকে না। ফাইনালের টিকিট পেতে হলে এলিমেনেটরে কোয়েটার কাছে নাটকীয় ১ রানে হারের পর দ্বিতীয় এলিমেনেটরে করাচীকে হারাতেই হত আফ্রিদি-স্যামিদের। আর সেই ম্যাচে গেইল-মালিকদের সহজেই হারিয়ে ফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করে জালমি বাহিনী। এবারের ফাইনালিস্ট দুই দলে খেলেছেন বাংলাদেশের তিন খেলোয়াড়। সাকিব আল হাসান ও তামিম ইকবাল খেলেন পেশোয়ার জালমিতে। আর মাহমুদুল্লাহ খেলেছেন কোয়েটার হয়ে। কিন্তু শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বাংলাদেশের টেস্ট সিরিজের কারণে ফাইনালের আগেই তারা ফিরে আসেন। সফলভাবে ফাইনালটি আয়োজন করতে ইতিমধ্যে পাকিস্তান বোর্ড এবং সরকার থেকে সব রকমই ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। শুধু পুলিশ নয়, লাহোর শহরে সার্বক্ষণিক সেনাবাহিনীও টহল দিচ্ছে। শহরে সব মার্কেট বন্ধ রাখা হয়েছে। সন্দেহভাজন মনে হলেই গ্রেফতার করা হচ্ছে। এছাড়া হেলিকপ্টারও টহল দিচ্ছে। পিসিবি চাচ্ছে এই ফাইনাল শান্তিপূর্ণভাবে শেষ করে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ফিরিয়ে আনতে। পেশোয়ার জালমি (সম্ভাব্য): কামরান আকমল, ডেভিড মালান, মারলন স্যামুয়েলস, ড্যারেন স্যামি, মোহাম্মদ হাফিজ, খুশদিল শাহ, ক্রিস জর্ডান, হাসান আলী, ওয়াহাব রিয়াজ, মোহাম্মদ আসগর, শোয়েব মাকসুদ। কোয়েটা গ্ল্যাডিয়েটরস (সম্ভাব্য): আহমেদ শেহজাদ, আনামুল হক বিজয়, জ্যাড ড্যারেনব্যাচ, গ্রাহাম ক্রিমার, রিচার্ড লেভি, ক্রিসমার সানতোকি, সরফরাজ আহমেদ, আনোয়ার আলী, মোহাম্মদ নওয়াজ, হাসান খান, আসাদ শফিক। এফ/১৬:৪০/০৫মার্চ
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://ift.tt/2lNcOJL
March 05, 2017 at 10:34PM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন