কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে চূড়ান্ত পরীক্ষা দিল বহিস্কৃত শিক্ষার্থী

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) শিক্ষক লাঞ্ছনার ঘটনায় সাময়িক বহিস্কৃত এক শিক্ষার্থী একটি চূড়ান্ত পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করেছেন। বুধবার শিক্ষক লাঞ্ছনার ঘটনায় বহিস্কৃত ব্যবস্থাপনা বিভাগের নবম ব্যাচের শিক্ষার্থী বায়োজিদ ইসলাম (গল্প) একটি চূড়ান্ত পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন। বহিস্কার হওয়ার পর শিক্ষার্থীর চূড়ান্ত পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মাঝে উঠেছে নানা প্রশ্ন।

জানা যায়, বুধবার দুপুর দেড়টা থেকে বিকাল সাড়ে চারটা পর্যন্ত ব্যবস্থাপনা শিক্ষা বিভাগের ১০ম ব্যাচের (২০১৫-২০১৬ শিক্ষাবর্ষ) ২য় সেমিস্টারের ‘ম্যানেজমেন্ট-২’ কোর্সের চূড়ান্ত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এই কোর্সের মান উন্নয়ন পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করেন ৯ম ব্যাচের সাময়িক বহিস্কৃত শিক্ষার্থী বায়জিদ ইসলাম (গল্প)।

বহিস্কৃত শিক্ষার্থী কিভাবে পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করেন এমন প্রশ্নের জবাবে বিভাগের ২০১৫-২০১৬ শিক্ষবর্ষের পরীক্ষা কমিটির সভাপতি কাজী ওমর সিদ্দিকী বলেন, ‘বিভাগ থেকে ঐ শিক্ষার্থীকে বহিস্কারের বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে আমাদেরকে জানানো হয়নি। তাই আমরা তার পরীক্ষা নিয়েছি।’

জানা যায়, ব্যবস্থাপনা শিক্ষা বিভাগের সভাপতি ড. শেখ মকছেদুর রহমানের সম্প্রতি অপারেশন হওয়ায় ২ ফেব্রুয়ারি থেকে ৮ ফেব্রুয়ারি ঐচ্ছিক ছুটিতে ছিলেন। এই সময়ে বিভাগের শিক্ষক ড. আহসান উল্যাহ সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।

তবে তার দায়িত্ব পালনের বিষয়ে কোন অফিস আদেশ ছিল না বলে জানান ড. আহসান উল্যাহ। এদিকে ৮ ফেব্রুয়ারি ড. শেখ মকছেদুর রহমানের ছুটি শেষ হলেও তিনি বিভাগে নিয়মিত ছিলেন না। ফলে রেজিস্ট্রার কার্যালয় থেকে বহিস্কারের চিঠি আসলেও তা খামবদ্ধই থেকে যায়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ব্যবস্থাপনা শিক্ষা বিভাগের সভাপতি ড. শেখ মকছেদুর রহমান বলেন, ‘চিঠি এসেছে কিন্তু বিভাগের স্টাফ মনে করে আমাকে দেয়নি। ভুলক্রমে পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে । প্রশাসনিক আদেশও বহাল থাকবে।’ প্রশাসনিক আদেশ বহাল থাকলে পরীক্ষা কিভাবে নেওয়া হলো এমন প্রশ্নের কোন উত্তর তিনি দেননি।

সাময়িক বহিস্কৃত শিক্ষার্থী ক্লাস ও পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারেন কিনা জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো: মজিবুর রহমান মজুমদার বলেন, ‘সাময়িক বহিস্কার হওয়া শিক্ষার্থী বিভাগের একাডেমিক কোন কার্যক্রমে অংশ নিতে পারেন না।’

বহিস্কৃত ছাত্রের পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ নিয়ে তিনি বলেন, ‘সাময়িক বহিস্কৃত ছাত্রকে একাডেমিক কার্যক্রম থেকে বিরত রাখার দায়িত্ব বিভাগীয় প্রধানের। এবিষয়ে বিভাগীয় প্রধানকেই জবাবদীহি করতে হবে।’

উল্লেখ্য, গত ২৬ জানুয়ারি ব্যবস্থাপনা শিক্ষা বিভাগের ৯ম ব্যাচের (২০১৪-২০১৫ শিক্ষাবর্ষ) শিক্ষার্থী বায়েজিদ ইসলাম (গল্প) লোক প্রশাসন বিভাগের শিক্ষক নাহিদুল ইসলামকে তার স্ত্রীর সামনে লাঞ্ছিত করেন। পরে প্রক্টরিয়াল বডির প্রাথমিক তদন্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে গত ৫ ফেব্রুয়ারি বায়েজিদ ইসলাম গল্পকে সাময়িক বহিস্কার করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।



from Comillar Khabor – Comilla News http://ift.tt/2m2a3oP

March 03, 2017 at 10:53AM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top