মুম্বাই, ২৭ মার্চ- দুজনের বন্ধুত্ব বেশ গভীর, এমনটাই শোনা যেত এতদিন। তাহলে কী এমন হল, যে করণ জোহরের উপর রেগে গেলেন ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন? কেউ বলছেন, অ্যায় দিল হ্যায় মুশকিলএর পর থেকেই নাকি দুজনের সম্পর্কটা বিগড়েছে। করণ নাকি ছবির সাফল্যে আনন্দে আত্মহারা হয়ে ঐশ্বরিয়াকে প্রস্তাব দিয়েছিলেন ফের একসঙ্গে কাজ করার। কিন্তু সে ছবি করে শ্বশুরবাড়ির কম ধাক্কা সামলাতে হয়নি ঐশ্বরিয়াকে। রণবীরের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ দৃশ্যে অভিনয় করায় রীতিমতো চটেছিল বচ্চন-পরিবার। শ্বাশুড়ি জয়া বচ্চন তো নাম না করে একহাত নিয়েই নিয়েছিলেন বৌমাকে। বলেছিলেন, আগেকার ছবি-নির্মাতাদের কাছে কাজটা ছিল শিল্প। এখন সবটাই ব্যবসা! ভালোবাসার খোলাখুলি বহিঃপ্রকাশটাকে স্মার্টনেস হিসেবে দেখা হয়। লজ্জাশরম নামের কোনো জিনিসই নেই! অমিতাভ শেষের দিকে ঐশ্বরিয়ার একটু-আধটু প্রশংসা করলেও প্রচারের আগাগোড়া সময়টাই মুখে কুলুপ এঁটেছিলেন। ছবিটা দেখতেও চাননি তাঁরা। করণ জোহরের স্পেশ্যাল স্ক্রিনিংয়ের আমন্ত্রণ ফিরিয়ে দিয়েছিলেন। ঐশ্বরিয়া পরিবারের সকলের জন্য যে স্ক্রিনিংয়ের আয়োজন করেছিলেন, সেখানেও অমিতাভ আর জয়াকে দেখা যায়নি এমনকী! তবে সবচেয়ে আঘাতটা দিয়েছিলেন বোধহয় অভিষেকই। ছবি মুক্তি পাওয়ার পরেও সঙ্গে সঙ্গে দেখে উঠতে পারেননি। কারণ? নিজের ফুটবল টিমের সঙ্গে ট্রাভেল করছিলেন অভিনেতা! যদিও বলেছিলেন, ছবির স্ক্র্যাচ দেখে ঐশ্বর্যাকে অসাধারণ লেগেছে তাঁর। সব মিলিয়েই বোধহয় শিক্ষা হয়েছিল ঐশ্বরিয়ার। করণের সঙ্গে ফের কাজের প্রস্তাব তাই ফিরিয়ে দিয়েছিলেন। তখন থেকেই করণ এবং ঐশ্বরিয়ার বন্ধুত্বে ভাটা পড়েছে। আবার শোনা যাচ্ছে, ঐশ্বরিয়ার বাবার অন্ত্যেষ্টিতে করণ যাননি বলেই খারাপ লেগেছে নায়িকার। দুই ছেলেমেয়ে যশ আর রুহিকে নিয়ে আপাতত ব্যস্ত রয়েছেন করণ। তাই কোথাওই যাওয়া হচ্ছে না তাঁর। কিন্তু কৃষ্ণরাজ রাই অসুস্থ থাকাকালীন করণ হাসপাতালে তাঁকে দেখতে গিয়েছিলেন। ফোনেও সমানে যোগাযোগ রেখেছেন অভিষেক এবং ঐশ্বরিয়ার সঙ্গে। ঐশ্বরিয়া নিজে যেখানে বাচ্চাকে এক মুহূর্ত কাছ ছাড়া করতে চান না, সেখানে আরেকজন বাবার এই অসুবিধাটুকু কি বোঝার কথা নয় তাঁর? সূত্র: এবেলা আর/১২:১৪/২৭ মার্চ
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://ift.tt/2nkA6Zi
March 27, 2017 at 06:24AM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন