খবরটা ইশান্ত শর্মা, বিরাট কোহলি, ডেভিড ওয়ার্নারদের মতো ক্রিকেটারদের জন্য দুঃসংবাদই বটে। এখন থেকে অখেলোয়াড়সুলভ আচরণ করলে ক্রিকেটারদের মাঠ থেকে বের করে দিতে পারবেন আম্পায়াররা। কেবল তাই নয়, এ জন্য ওভারকর্তনহ ৫ রানের পেনাল্টিও ভোগ করতে হবে দলকে। মাঠের শৃঙ্খলা বজায় রাখতে এমন আইনই করতে যাচ্ছে মেরিলেবোন ক্রিকেট ক্লাব (এমসিসি)। ব্যাটের ক্ষেত্রেও নতুন আইন আসতে যাচ্ছে ক্রিকেটবিশ্বে। এখন থেকে আর ইচ্ছেমতো মাপের ব্যাট ব্যবহার করতে পারবেন না ব্যাটসম্যানরা। ওয়ার্নার-গেইলের মতো ব্যাটসম্যান, যাঁরা খুব ভারী ও বাহারি ব্যাট ব্যবহার করতে স্বচ্ছন্দ বোধ করেন, ব্যাপারটা তাঁদের জন্য মোটেও সুখকর নয়। সৌরভ গাঙ্গুলী, রিকি পন্টিং, রডনি মার্শ ও কুমার সাঙ্গাকারার মতো কিংবদন্তি ক্রিকেটারদের নিয়ে গড়া কমিটি ক্রিকেটের বেশ কিছু নিয়মকানুন বদলানোর পক্ষে মত দিয়েছেন। এর মধ্যে রয়েছে ব্যাটের আকার নির্ধারণ, আম্পায়ারদের ক্ষমতা বৃদ্ধি, মানকড় আউট বাতিল, হ্যান্ডেল দ্য বল ও বাউন্সিং ব্যাটের ক্ষেত্রে নিয়ম পরিবর্তন। নতুন নিয়মমতে, মাঠে কোনো খেলোয়াড় অখেলোয়াড়সুলভ আচরণ করলে তাঁকে মাঠের বাইরে পাঠিয়ে দেওয়ার ক্ষমতা দেওয়া হচ্ছে আম্পায়ারের হাতে। তবে এখানে কয়েকটি পর্যায় রয়েছে। বেশি আবেদন করলে অথবা আম্পায়ারের সিদ্ধান্তের সঙ্গে একমত পোষণ না করলে আম্পায়ার প্রাথমিকভাবে সতর্ক করবেন সেই দলকে। এ ক্ষেত্রে ৫ রানের মাশুল গুনতে হবে দায়ীকে। যদি কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে কোনো খেলোয়াড়ের দিকে বল ছুড়ে মারে, সে ক্ষেত্রেও ৫ রানের জরিমানা গুনতে হবে, যা অপর দলের রানের সঙ্গে যোগ হবে। কোনো খেলোয়াড় বা আম্পায়ারকে হুমকি-ধমকি বা শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার ঘটনা ঘটলে রানসহ ওভারকর্তন করতে পারবেন আম্পায়াররা। এমনকি সেই খেলোয়াড়কে আউট ঘোষণা করে মাঠ থেকে বেরও করে দিতে পারবেন আম্পায়ার। এর আগে ২০১৫ সালে ব্যাটের আকার কমানোর প্রস্তাব করেন তখনকার আইসিসির ক্রিকেট কমিটির চেয়ারম্যান অনিল কুম্বলে। বিষয়টি ইতিবাচকভাবেই নেয় আইসিসি। তখনই মেরিলেবোন ক্রিকেট ক্লাবকে ব্যাটের আকার নির্ধারণ করার দায়িত্ব দেয় ক্রিকেটের সর্বোচ্চ সংস্থা। নতুন নিয়ম অনুযায়ী ক্রিকেট ব্যাটের আকার প্রস্থে ১০৮, গভীরতায় ৬৭ ও প্রান্তসীমায় ৪০ মিলিমিটারের বেশি হবে না। বর্তমানে ওয়ার্নারের ব্যাটের আকার প্রস্তাবিত আকারের চেয়ে অনেক বেশি। গত ডিসেম্বরে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট ৮৫ মিমি গভীরতার ব্যাট দিয়ে খেলেন ওয়ার্নার। বদলে যাচ্ছে মানকড় আউটের নিয়মও। প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী, বোলাররা বল করতে এসে বল না ছুড়ে নন-স্ট্রাইকিং প্রান্তের ব্যাটসম্যানকে আউট করতে পারতেন। রানআউট করার অদ্ভুত নিয়মকে মানকড় আউট বলা হয়। ১৯৪৭ সালের ডিসেম্বরে অস্ট্রেলিয়া সফরে গিয়ে ভারতের ভিনু মানকড় দুবার অস্ট্রেলিয়ার বিল ব্রাউনকে এভাবে আউট করেছিলেন। তাঁর নামে এই আউটের নামকরণ করা হয়। তবে এখন থেকে বল না ছোড়া পর্যন্ত রানআউট করতে পারবেন না বোলার। ক্রিকেট আইন অনুযায়ী, যদি কোনো ব্যাটসম্যান ফিল্ডিং দলের অনুমতি ছাড়া ব্যাট বাদে কেবল হাত দিয়ে বল স্পর্শ করে বা ধরে ফিল্ডারের কাছে ফেরত পাঠায় বা স্টাম্পে লাগতে পারে, এমন বলের দিক পরিবর্তন করে তবে ফিল্ডিং দলের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তাঁকে আউট দিতে পারেন আম্পয়ার। এখন থেকে হ্যান্ডেল দ্য বল নামে কোনো আউট থাকবে না ক্রিকেট অভিধানে। তার পরিবর্তে অবস্ট্রাক্টিং দ্য ফিল্ড-এর নিয়ম প্রযোজ্য হবে। এফ/১৭:১০/০৭মার্চ
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://ift.tt/2lRZTpn
March 07, 2017 at 11:09PM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন