কলকাতা, ২৬ এপ্রিল- মঙ্গলবার থেকে রাজ্যে তিন দিনের সফর বিজেপি সভাপতি অমিত শাহর। তার আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বড় অস্ত্র তুলে দিলেন অমিত শাহর হাতে। রবিবার বিজেপি শাসিত ১৩ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও উপমুখ্যমন্ত্রীদের নিয়ে বৈঠক করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ। সেখানে ঠিক হয়েছে আগামী ২০১৯ সাল পর্যন্ত রাজ্যে রাজ্যে কেন্দ্রীয় প্রকল্পের প্রচার চালাবে বিজেপি। এটাই হবে বিজেপির শক্তি বাড়ানোর অস্ত্র। তবে পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির হাতে আগে থাকতেই রয়েছে দুদুটি বড় অস্ত্র। একটি হল, নারদাকাণ্ড-সহ বিভিন্ন চিটফান্ড ব্যবসায় তৃণমূল কংগ্রেস নেতাদের প্রভাব ও তা নিয়ে সিবিআই মামলা। আর দ্বিতীয় অস্ত্র রাজ্যে মমতা সরকারের বিরুদ্ধে তোলা সংখ্যালঘু তোষণের অভিযোগ। তৃতীয় অস্ত্রটি বিজেপির হাতে তুলে দিলেন খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রবিবার রাষ্ট্রপতি ভবনে দেশের উন্নয়নের নীতি ঠিক করতে নীতি আয়োগের পরিচালন পর্ষদের বৈঠকে বসেন নরেন্দ্র মোদী। সেখানে নীতীশ কুমার, নবীন পট্টনায়ক-সহ প্রায় সব মুখ্যমন্ত্রী হাজির থাকলেও ছিলেন না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও এই রাজ্যের কোনও প্রতিনিধির উপস্থিতি ছাড়াও পশ্চিমবঙ্গ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয় বৈঠকে। কোন কোন ক্ষেত্রে এই রাজ্যে ভাল কাজ হচ্ছে তা যেমন আলোচনায় ছিল তেমনই ছিল এই রাজ্যে কোন কোন বিষয়ে কেন্দ্রকে গুরুত্ব দিতে হবে। কিন্তু সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা বৈঠকে যোগ দিলেও মমতা কেন দিল্লি গেলেন না। নরেন্দ্র মোদীর বিরোধী অনেক মুখ্যমন্ত্রীই তো হাজির ছিলেন। এই প্রশ্ন উঠেছে সর্বত্র। আর সকলেই মনে করছেন একেবারেই রাজনৈতিক কারণে মমতা যোগ দিলেন না প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকে। আর এই অনুপস্থিত থাকাটাকেই ইস্যু করতে চলেছে বিজেপি। অমিত শাহর তিন দিনের সফরের মধ্যেই এই ইস্যু তুলে ধরতে চায় রাজ্য বিজেপি। দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের বক্তব্য, কেন্দ্র রাজ্যের প্রতি আর্থিক বৈষম্য করছে বলে অভিযোগ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু সেই কথাটা বলতে তিনি কেন প্রধানমন্ত্রীর ডাকা বৈঠকে গেলেন না? আসলে ব্ল্যাক মেলের রাজনীতিতে অভ্যস্ত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ লুকোতে চাইছেন। তাই বৈঠক এড়িয়ে গিয়েছেন। উল্লেখ্য, রবিবারের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী সামনেই অনেকে আঞ্চলিক বৈষম্যের কথা তোলেন। তা মেনে নিয়ে মোদী বলেন, অনেক মুখ্যমন্ত্রীই আঞ্চলিক বৈষ্যমের কথা তুলেছেন। আমি এই বিষয়ে একমত। জাতীয় স্তরে ও রাজ্যগুলির মধ্যে বিষয়টিকে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে বিবেচনা করা হবে। ২০২২ সালে স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তিতে তাঁর স্বপ্নের নতুন ভারত গড়তে বিরোধী দলের মুখ্যমন্ত্রীদেরও ডাক দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। দিলীপ ঘোষের আরও বক্তব্য, ওই বৈঠকে না গিয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বুঝিয়ে দিয়েছেন তিনি রাজনীতি করতেই ভালবাসেন। রাজ্যের উন্নয়ন চান না। সেটা চাইলে প্রধানমন্ত্রীর ডাকা বৈঠকে গিয়ে রাজ্যের দাবি দাওয়া তুলে ধরতেন। তাতে রাজ্যবাসীর উপকার হত। এই প্রসঙ্গকে দল ইস্যু করছে কিনা প্রশ্নের উত্তরে দিলীপবাবু বলেন, এটা আর ইস্যু করার কী আছে? এই দলটা যে নিজেদের ভাল ছাড়া আর কিছু করতে পারে না সেটা রাজ্যবাসী বুঝে গিয়েছে। নিজেদের আখের গোছাতে আর দলের আখের গোছাতে এতটাই ব্যস্ত যে রাজ্যের ভালমন্দ নিয়ে ভাবার সময়ই নেই। আর/১২:১৪/২৬ এপ্রিল
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://ift.tt/2qbzLbx
April 26, 2017 at 06:50AM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন