মানুষের থেকে আমায় দূরে সরাতে পারবে নাঃ মুখ্যমন্ত্রী

শিলিগুড়ি, ২৮ এপ্রিলঃ আমায় মেরে ফেলতে পারে, কিন্তু মানুষের থেকে দূরে সরাতে পারবে না। বৃহস্পতিবার রাতে সুকনায় সাংবাদিকদের সঙ্গে এক ঘরোয়া আলোচনায় বিজেপি-কে এভাবেই ফের চ্যালেঞ্জ জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মাদারিহাটের জনসভা শেষে মুখ্যমন্ত্রী বৃহস্পতিবার বিকেলেই হেলিকপ্টারে এসে নামেন সুকনার কাছে ইলা পালচৌধুরি হাইস্কুলের মাঠে। সেখানে স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে কিছুক্ষণ কথা বলে চলে যান সুকনার বনবাংলোয়।

সন্ধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বিজেপি রাজ্যটাকে টুকরো টুকরো করে দিতে চায়। বাংলা থেকে চা পর্ষদের অফিস ওরা অসমে সরিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। বন্ধ চা বাগানগুলি খোলার কোনো উদ্যোগ নেই। কেন্দ্রীয় নীতি বলে আমাদের এখান থেকে কয়লা তুলে নিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু অন্য রাজ্যে তোলা আকরিক লোহা নিয়ে ওদের কোনো নীতি নেই।

এদিন উত্তরবঙ্গে প্রসঙ্গেও বেশকিছু কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী। গজলডোবা সম্পর্কে তিনি বলেন, এটা আমার স্বপ্নের প্রকল্প। সব দপ্তরের ছাড়পত্র নিয়ে আমরা কাজ শুরু করেছি। এখানে বাজেট হোটেল, ২০টি কটেজ হবে। লেকটিকে সাজাব, হেলিপ্যাড হবে। চিলাপাতা সহ উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন বনাঞ্চলে ওয়াক সাফারি চালু করার কথা ভাবছি। পর্যটকরা জঙ্গলের ভিতরে হাঁটতে হাঁটতে জীবজন্তু, গাছপালা দেখবে। তাঁদের সঙ্গে গাইড থাকবে।

শিলিগুড়ি ও পাহাড় প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দপ্তর, এসজেডিএ-র মাধ্যমে গত ছয় বছরে শিলিগুড়িতে রাস্তাঘাট, কমিউনিটি হল অনেক কিছু হয়েছে। বহিরাগতরা ঢুকে শিলিগুড়িকে নষ্ট করছে। এটা কিন্তু সবার দেখা উচিত। পাহাড়ে আমাদের হাতে কোনো পুরসভা নেই। আমাদের কোনো বিধায়ক, সাংসদ নেই। সরাসরি ওখানে কাজের সুযোগ কম। তবু বিভিন্ন উন্নয়ন বোর্ডের মাধ্যমে অনেক কাজ হয়েছে। আর পাহাড়ে যারা ক্ষমতায় আছে তারা কী করছে ?

মুখ্যমন্ত্রী এদিন জানিয়েছেন, শিলিগুড়িতে দুটি কমিউনিটি সেন্টার হচ্ছে। একটি উত্তরবঙ্গ সংবাদের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক সুহাসচন্দ্র তালুকদারের নামে। অপরটি প্রকাশনা জগতে উত্তরবঙ্গে স্মরণীয় মংতুরাম চৌধুরির নামে।

তিস্তার জল নিয়েও মুখ্যমন্ত্রী কেন্দ্রকে দুষছেন। তিনি বলেছেন, তিস্তার জল বাংলাদেশকে দিলে শিলিগুড়ি জল পাবে না। উত্তরবঙ্গের মানুষ জলের জন্য হাহাকার করবে। কেন্দ্র জোর করে তিস্তার জলবণ্টন চুক্তি করতে চাইছে। রাজ্যে নাক গলাচ্ছে।

শুক্রবার সকালে মুখ্যমন্ত্রীর বিশেষ কোনো কর্মসূচি নেই। তবে, পাহাড়ের ভোট নিয়ে তিনি দলের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের সঙ্গে কথা বলতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে। বিকেলে বাগডোগরা থেকে উড়ানে তিনি কলকাতায় ফিরবেন।

 



from Uttarbanga Sambad http://ift.tt/2oCKWxC

April 28, 2017 at 11:02AM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top