নিজস্ব প্রতিবেদক ● বুড়িচং উপজেলার ঐতিহ্যবাহী কংশনগর বাজারের ‘মা’ শিল্পালয় নামের একটি স্বর্নের দোকানে বুধবার গভীর রাতে এক দুঃসাহসিক চুরি সংঘটিত হয়। অজ্ঞাত চোরেরা দোকানের তালা কেটে লোহার তৈরী একটি ৮৬ কেজি ওজনের সিন্দুকসহ অন্যান্য মালামাল চুরি করে নিয়ে যায়।
বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে নাজিরা বাজার সংলগ্ন একটি সিএনজি ফিলিং স্টেশনের পাশে পরিত্যক্ত ঝোপের ভিতর স্থানীয়রা ভাংগা অবস্থায় সিন্দুকটি দেখে এর ভিতর থাকা ভিজিটিং কার্ডে ফোন করে মালিক পক্ষকে অবহিত করলে তারা পুলিশসহ এসে সেটা উদ্ধার করে নিয়ে যায়। দোকান থেকে চুরি যাওয়া স্বর্নালংকারের পরিমান প্রায় ৩০ ভরি বলে ব্যবসায়ী সুত্র নিশ্চিত করেছেন।
মা শিল্পালয়ের মালিক ও স্থানীয় বিভিন্ন ব্যবসায়ী সুত্রে জানা যায়, জেলার বুড়িচং উপজেলার ভারেল্লা উত্তর ইউনিয়নের ঐতিহ্যবাহী কংশনগর বাজারের আবুল কালাম আজাদ ও আলী হোসেনের যৌথ মালিকানাধীন দোকানটি প্রতিদিনের ন্যায় বুধবার সন্ধ্যা ৭ টায় বন্ধ করে চলে যায়। বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ময়নামতি সেনানিবাস সংলগ্ন নাজিরাবাজার এলাকায় সাকুরা ফিলিং স্টেশন নামের একটি প্রতিষ্ঠানের পাশের ঝোপে স্থানীয় লোকজন একটি লোহার তৈরী ভাংগা সিন্দুক দেখতে পেয়ে সেখানে থাকা একটি ভিজিটিং কার্ডে থাকে নাম্বার নিয়ে মোবাইলে ফোন করে। এতে দোকান মালিক তার প্রতিষ্ঠানটির চুরির বিষয়টি অবহিত হয়ে বুড়িচং থানার দেবপুর ফাঁড়ি পুলিশের সহযোগীতায় সেটা উদ্ধার করে নিয়ে আসে।
কংশনগর বাজার জুয়েলারী মালিক সমিতির সভাপতি আব্দুর রহিম সাংবাদিকদের জানান,ঐতিহ্যবাহী এই বাজারের ব্যবসা করা দিন দিন কঠিণ হয়ে পড়ছে। ঐতিহ্যবাহী বাজারটি ৮ জন দারোয়ান রাত্রী কালীন পাহাড়ায় নিযুক্ত থাকে। এর মাঝে কিভাবে দোকানের তালা কেটে প্রায় ৮৬ কেজি ওজনের লোহার সিন্দুকটি চোরেরা চুরি করে নিয়ে গেল সেটা বোধগম্য হচ্ছে না। তিনি আরো বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে এই বাজারের কাউসার শিল্পালয়, ইয়াসমিন জুয়েলার্স, হক ইলেক্ট্রনিক্স, কামাল ব্রাদার্স, আবু’র মুদি দোকান ছাড়াও একটি বিকাশ ও দুটি মোবাইল ফোনের দোকানে দুঃহসাহসিক চুরি হয়। এতে করে বাজারের ব্যবসায়ীরা চরম আতঙ্কে রয়েছে। এরই মাঝে গতকালের চুরি বাজারের ব্যবসায়ীদের ভাবিয়ে তুলেছে। বাজারের জুঁই শিল্পালযের মালিক জুয়েল রানা বলেন, প্রায়ই বাজারের বিভিন্ন দোকানে চুরি হচ্ছে,কিন্তু প্রশাসন থেকে এর প্রতিরোধে কার্যকর কোন ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছেনা।
এদিকে সিন্দুক উদ্ধারের পর পুলিশ কংশনগর বাজারে গিয়ে ঘটনার রাতে নিরাপত্তা পাহাড়ায় থাকা দু’জন প্রহরী ভারেল্লার রামচন্দ্রপুর গ্রামের নুরুল ইসলাম ও কংশনগর গ্রামের সুলতান আহমেদকে ডেকে এনে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে যায়।
বিষয়টি জানতে কংশনগর বাজারের সভাপতি ভারেল্লা উত্তর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুর রবের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি বিষয়টি শুনেছি। এখনো কোন মামলা হযনি। বিগত সময়ের চুরির বিষয়ে বলেন, তখন দুটি মামলা হয়েছিল। সে মামলাগুলোর কেউ সাজা খাটছে, আবার কোনটা বিচারাধীন রয়েছে। দেবপুর ফাঁড়ির ইনচার্জ মঞ্জুরুল কাদের বলেন, আমি ঘটনাস্থলে গিয়েছি, সিন্দুকটি উদ্ধারের সময়ও সেখানে ছিলাম। জিঞ্জাসাবাদের জন্য দু’নিরাপত্তা প্রহরীকে ফাঁড়িতে এনেছি জিজ্ঞাসাবাদের জন্য।
from ComillarBarta.com http://ift.tt/2pdQcUL
April 14, 2017 at 12:32AM
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন