বিশ্বনাথে ব্যবসায়ীদের প্রতিবাদ সভায় পুলিশের লাঠিচার্জ-ভাংচুর-গুলি-আহত-ধর্মঘট

01

বিশ্বনাথ ( সিলেট ) প্রতিনিধি :: সিলেটের বিশ্বনাথে শুক্রবার সন্ধ্যায় পুরাণ বাজারের ব্যবসায়ীদের এক প্রতিবাদ সভা চলাকালে থানা পুলিশ কর্তৃক অতর্কিতভাবে লাঠিচার্জ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এসময় ব্যবসায়ী ও পুলিশের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে পুলিশ কয়েক রাউন্ড গুলি করে। পুলিশের বিরুদ্ধে একটি দোকান ভাংচুরের অভিযোগ করেছেন ব্যবসায়ীরা। পুলিশের লাঠিচার্জে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, পথচারী, নিরীহ ব্যবসায়ী’সহ প্রায় ২০ জন আহত হয়েছেন।

এদিকে থানা পুলিশের লাঠিচার্জ ও দোকান ভাংচুরের প্রতিবাদে শনিবার সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ধর্মঘটের ডাক দিয়েছেন বিশ্বনাথ পুরাণ বাজারের ব্যবসায়ীরা। এরপর প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হবে। আর প্রতিবাদ সভা শেষে পরবর্তি কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে ব্যবসায়ী নেতারা স্থানীয় সাংবাদিকদেরকে জানিয়েছেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার আল-হাবিব কমিউনিটি সেন্টারে একটি নোহা গাড়ি নিয়ে পুরাণ বাজারের ব্যবসায়ী ছাতির মিয়ার পুত্রের সাথে লাইটেস স্ট্যান্ডের এক চালকের মধ্যে অনাকাংঙ্খিত ঘটনা ঘটে।

এরই জের ধরে শুক্রবার রাতে লাইটেস স্ট্যান্ডের চালকরা ছাতির মিয়ার দোকানে হামলা করে বলে অভিযোগ উঠে। এর প্রতিবাদে পুরাণ বাজারের ব্যবসায়ীরা নিজেদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে প্রতিবাদ সভা শুরু করেন। এঘটনার জের ধরে বাসিয়া নদীর দক্ষিণ তীরে ব্যবসায়ী ও উত্তর পাড়ে লাইটেস স্ট্যান্ডের শ্রমিকদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছিল।

উভয় পক্ষের মধ্যে অনাকাঙ্খিত ঘটনা এড়াতে এসময় আপোষ-মিমাংশার উদ্যোগ গ্রহণ করেন এলাকার মুরব্বীরা। মুরব্বীরা পরিস্থিতিও প্রায় নিজেদের নিয়ন্ত্রনে নিয়ে এসে ছিলেন। এমন সময় বিশ্বনাথ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মনিরুল ইসলাম পিপিএম’র নেতৃত্বে একদল পুলিশ ব্যবসায়ী ও লাইটেস ষ্ট্যান্ডের চালকদের উপর এলোপাতাড়ি লাঠিচার্জ শুরু করে। কোন কিছু বুজে উঠার আগেই পুলিশের লাঠিচার্জে গুরুত্বর আহত হন বিষয়টি আপোষ-মিমাংশার চেষ্ঠায় চালিয়ে যাওয়া স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, মুরব্বী, পথচারী ও নিরীহ ব্যবসায়ীরা।

বিশ্বনাথ পুরান বাজার বণিক কল্যান সমিতির সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদীন বলেন, ব্যবসায়ীদের এক প্রতিবাদ সভা চলাকালে অতর্কিতভাবে পুলিশ নিরীহ ব্যবসায়ী, পথচারী ও জনপ্রতিনিধির ওপর লাটিচার্জ করে। এতে জনপ্রতিনিধি ও ব্যবসায়ীসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। এসময় পুলিশ একটি ফার্মেসীর গ্লাস ভাংচুর করেছে। এর প্রতিবাদে শনিবার সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ধর্মঘট ও প্রতিবাদ সভার আহবান করা হয়েছে। ওই সভা থেকেই পরবর্তি কর্মসূচী ঘোষণা করা হবে।

বিশ্বনাথ লাইটেস স্ট্যান্ডের সভাপতি আবুল হোসেন বলেন, ব্যবসায়ীদের সঙ্গে চালকদের হওয়া অনাকাংঙ্খিত ঘটনাটি স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও মুরব্বীদের হস্তক্ষেপে প্রায় মিমাংশা হয়ে যায়।

কিন্তু হঠাৎ করে পুলিশ ‘চালক ও ব্যবসায়ীদের’ উপর অতর্কিতভাবে লাঠিচার্জ শুরু করে। এতে জনপ্রতিনিধি, এলাকার মুরব্বী’সহ অনেকেই গুরুত্বর আহত হয়েছেন।

দোকান ভাংচুরের অভিযোগ মিথা দাবী করে বিশ্বনাথ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মনিরুল ইসলাম পিপিএম বলেন, উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনার সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে অনাকাংঙ্খিত ঘটনা এড়াতে জড়ো হয়ে থাকা লোকজনকে সড়িয়ে দেয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে কয়েক রাউন্ড গুলিও ছুড়া হয়।



from সিলেট – দ্যা গ্লোবাল নিউজ ২৪ http://ift.tt/2oKDNuM

April 07, 2017 at 11:48PM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top