পাঁচশ কেজি ওজনের এক মিশরীয় মহিলাকে ভারতে এনে চিকিৎসা করানোর ফলে তার ওজন ‘অর্ধেক কমে গেছে’ বলে ডাক্তাররা যে দাবি করছেন – তা ‘মিথ্যে’ বলে বর্ণনা করেছেন ওই নারীর বোন।
সংবাদ মাধ্যমের খবর অনুযায়ী ওই মিশরীয় নারী এমান আবদ এল আতি-কে ‘বিশ্বের সবচেয়ে ভারী মহিলা’ বলা হতো।
এ বছর তাকে ভারতের মুম্বাইয়ে সাইফি হাসপাতালে এনে অস্ত্রোপচার করানো হয়। এর পর গত সপ্তাহে ডাক্তাররা দাবি করেন মিজ আবদ এল আতির ওজন ২৫০ কেজি কমে গেছে।
কিন্তু তার বোন শায়মা সেলিম সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ভিডিও পোস্ট করে দাবি করেন – ডাক্তারদের এ দাবি মোটেও সত্য নয়।
ওই ভিডিওতে শায়মা সেলিম বলেছেন, ডাক্তাররা যত দাবি করছেন তার ওজন তত কমেনি, এবং তার বোন এখনো নড়াচড়া করতে বা কথা বলতে পারেন না।
গত সপ্তাহে মুম্বাইয়ের ডাক্তাররা ভিডিও ফুটেজ প্রকাশ করেন যাতে দেখা যায় যে এমান বিছানার ওপর উঠে বসেছেন, এবং ফেব্রুয়ারি মাসে ওই হাসপাতালে আসার পর থেকে তার ২৫০ কেজি ওজন কমেছে ।
কিন্তু শায়মা বলছেন, মুফাজ্জল লাড়কাওয়ালা নামের যে ডাক্তার তার বোনের অপরেশন করেছেন – তিনি তার আগে ও পরে এমানের ওজন নেন নি। তিনি বলেন, “তার কাছে ওজন কমার কোন প্রমাণ থাকলে তিনি তা হাজির করুন।”
তিনি বলেন, তার বোনের দেহে অক্সিজেনের পরিমাণ স্বাভাবিক নয়। তিনি মুখে খাবার খেতে পারছেন না, টিউবে করে তাকে খাবার দেয়া হচ্ছে।
ড. লাড়কাওয়ালা অবশ্য শায়মার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি এক টুইটে লেখেন, “শায়মা সেলিম আপনি মানবতাকে হত্যা করেছেন। আমি এমানের চিকিৎসা চালিয়ে যাবো।”
হাসপাতালের এক মুখপাত্র বলেছেন, সোমবার মিজ আবদ এল আতির ওজন নেয়া হয়েছে এবং তার ওজন এখন ১৭২ কেজি
from মধ্যপ্রাচ্য ও দূরপ্রাচ্য – দ্যা গ্লোবাল নিউজ ২৪ http://ift.tt/2q0WsQh
April 25, 2017 at 09:39PM
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন