ঢাকা: আমেরিকার ৪৫তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রার্থী হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের নাম চমক ছিল বিশ্বের জন্য। চমকটি ভিন্নমাত্রা পায় যখন সবাইকে অবাক করে দিয়ে ধনাঢ্য ব্যবসায়ী ডোনাল্ড ট্রাম্প আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হন।
২০ জানুয়ারি আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হিসেবে হোয়াইট হাউজে দায়িত্ব গ্রহণ করেন তিনি। আজ ২৯ এপ্রিল হোয়াইট হাউজে তার ১০০ দিন পূর্ণ হলো।
“আমি গাড়ি চালানো খুব পছন্দ করি। কিন্তু এখন আমাকে আর গাড়ি চালাতে দেয়া হয় না। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হিসেবে আমি যখন হোয়াইট হাউজ থেকে বের হই তখন আমাকে লিমুজিন বা এসইউভি গাড়িতে করে যেতে হয়। গাড়িতে চালকের আসনে বসতে না পারাটা খুব মিস করি।” নিজের শততম দিনে এমনটি জানালেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
তিনি আরো বলেন, “আমি আমার আগের জীবনকে ভালোবাসি। আমার অনেককিছু করার ছিল। কিন্তু এখন আমার আগের জীবনের চেয়ে অনেক বেশি কাজ। আমি ভেবেছিলাম এটা আরো সহজ হবে। এখন তা মনে হচ্ছে না। প্রেসিডেন্টের কাজ এত কঠিন আগে বুঝিনি।
ট্রাম্প বলেন, আগের জীবনে গোপনীয়তা রক্ষায় অভ্যস্ত ছিলাম না। এখন জীবন কতটা সংকীর্ণ হয়ে গেছে তা ভেবে বিস্মিত হই। এখন ২৪ ঘণ্টাই সিক্রেট সার্ভিসের সুরক্ষার মধ্যে থাকতে হয়।
নিজের বর্তমান অবস্থা বোঝাতে ট্রাম্প বলেন, আমি আসলে একটি খোলসের মধ্যে বন্দী। কারণ আমার এতবেশি নিরাপত্তা যে, আমি কোথাও স্বাধীনভাবে যেতেও পারছি না।
হিলারিকে হারানোর ৫ মাস পর এবং দায়িত্ব গ্রহণের একশ দিনেও ট্রাম্পের মনে নির্বাচনের রেশ রয়ে গেছে। রিপাবলিকান প্রার্থী ট্রাম্প তার ওভাল অফিসের ডেস্কে রাখা মানচিত্রের দিকে নির্দেশ করে বলেন, ‘যেসব এলাকায় আমরা জয় পেয়েছি, মানচিত্রে সেসব এলাকা লাল চিহ্নিত করে রাখা হয়েছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘এটা বেশ ভালো। এই লাল চিহ্নিত এলাকাগুলো অবশ্যই আমাদের।’
উত্তর কোরিয়া প্রসঙ্গে বলেন, বিষয়টি আমেরিকার জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে আমাদের বড় আকারের সংঘাত বেধে যাওয়ার একটা আশঙ্কা রয়েছে। তবে আমরা বিষয়টি কূটনৈতিকভাবেই সমাধানের পক্ষে, কিন্তু তা অত্যন্ত কঠিন। উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উন সম্পর্কে ট্রাম্প বলেন, এই নেতা তুলনামূলক অল্প বয়সে দেশের ভার নিয়েছেন।
নিজেদের মিত্র দক্ষিণ কোরিয়ায় ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষাব্যবস্থা বসাতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। এ বিষয়ে ট্রাম্প বলেন, তিনি চান দক্ষিণ কোরিয়া এই ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষাব্যবস্থার খরচ বহন করুক। তার হিসাব অনুযায়ী, এজন্য খরচ হবে প্রায় ১ শ কোটি মার্কিন ডলার।
from যুক্তরাজ্য ও ইউরোপ – দ্যা গ্লোবাল নিউজ ২৪ http://ift.tt/2qpYzwk
April 29, 2017 at 06:42PM
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Click to see the code!
To insert emoticon you must added at least one space before the code.