শিবিরের ‘সাথী’ থেকে ‘ছাত্রলীগ সভাপতি’!

কুমিল্লার বার্তা ডেস্ক ● কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি নাজমুল হাসান আলিফ শিবিরের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন বলে অভিযোগ ওঠেছে। বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের একাধিক নেতা এমনটিই অভিযোগ করেছেন। এ ছাড়া কুমিল্লা জেলার শিবিরের শীর্ষ পর্যায়ের এক নেতাও বিষয়টি স্বীকার করেছেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শিবিরের স্থানীয় এক নেতা জানিয়েছেন, ২০১০ সালে মাধ্যমিক পরীক্ষার পর আলিফ শিবিরের সাথী হিসেবে শপথ গ্রহণ করেছিলেন।

তবে আলিফ শিবিরের ‘সাথী’ হিসেবে শপথ নিলেও সাংগঠনিক কার্যক্রমে খুব একটা সক্রিয় ছিলেন না বলেও জানিয়েছেন ওই শিবির নেতা। তিনি বলেছেন, ‘কুমিল্লা গভর্নমেন্ট ল্যাবরেটরি স্কুল থেকে এসএসসি পাশ করার পর সে (আলিফ) ঢাকার নটরডেম কলেজে ভর্তি হয়। এরপর সে আর সংগঠনের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ রাখেনি।’

কুবি ছাত্রলীগ সূত্রে জানা গেছে, ২০১৪ সালে আলিফ কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে মার্কেটিং বিভাগে ৮ম ব্যাচে ভর্তি হন। এরপর ২০১৫ সালের ২৩ জুলাই তাকে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ঘোষণা করা হয়।

কুবি ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতার অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন (২০১৫ সালে) ছাত্রলীগের আহবায়ক মাহমুদুর রহমান মাসুম এর মাধ্যমে আলিফ সভাপতি হয়েছেন। সেসময় তার এই পদ প্রাপ্তির ক্ষেত্রে আর্থিক লেনদেন হয়েছে। এমনকি প্রথমবর্ষের ছাত্র হওয়ার পরও আলিফকে সভাপতি করা হয়।

তবে শিবিরের রাজনীতির সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ অস্বীকার করে একে ষড়যন্ত্র হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন কুবি শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি নাজমুল হাসান আলিফ। রবিবার বিকেলে তিনি বলেছেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের একটি অংশ কমিটি বিলুপ্ত করে নতুন সম্মেলন চাইছে। তাই তারা আমার রাজনৈতিক ক্যারিয়ার নিয়ে নানারকম মিথ্যা প্রচারণা চালাচ্ছে। শিবিরের সঙ্গে কখনও আমার কোনো সংশ্লিষ্টতা ছিল না, এটা আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র।’

তবে আলিফের শিবির সংশ্লিষ্টতাকে ‘ওপেন সিক্রেট’ বলে দাবি করেছেন কুবি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ও সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রূপম দেবনাথ। রবিবার সন্ধ্যায় তিনি বলেছেন, ‘‘আলিফ শিবিরের সাথী ছিল এটা এখন ‘ওপেন সিক্রেট’। এখানে গ্রুপিংয়ের কিছু নেই। কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের সবাই এটাই জানে।’’

অবশ্য কুবি ছাত্রলীগ সভাপতির শিবির সংশ্লিষ্টতা বিষয়ে কোনো তথ্য তাদের কাছে নেই বলে জানিয়েছেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ। রবিবার সন্ধ্যায় তিনি বলেছেন, ‘আমার জানা মতে, ছাত্রলীগের কারো বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযোগ থাকা অসম্ভব। তারপরও যদি এমন কিছু প্রমাণিত হয়, তাহলে আমরা তাৎক্ষণিকভাবে ব্যবস্থা নেব।’

প্রসঙ্গত, বহিরাগতদের দ্বারা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার অভিযোগের ভিত্তিতে ২০১৫ সালের ১৪ ডিসেম্বর আলিফের সভাপতি পদ স্থগিত করেছিল কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। পরবর্তী সময়ে ২০১৬ সালের ৩১ মে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ ও সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইন স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করা হয়। সেই থেকে তিনি পুনরায় কুবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। সুত্রঃ দ্য রিপোর্ট টুয়েন্টিফোর ডটকম



from ComillarBarta.com http://ift.tt/2oN43Ut

April 16, 2017 at 08:18PM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top