হায়দরাবাদ, ১১ এপ্রিল- গুজরাত লায়ন্সকে চিয়ার করতে গ্যালারিতে হাজির ছিলেন এই সুন্দরী। ইনি কে জেনে নিন! রবিবার ধুন্ধুমার ম্যাচে খেলা ছিল গুজরাত লায়ন্স বনাম সানরাইজার্স হায়দরাবাদ-এর। মাঠের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি খেলার রেশ দেখা গেল গ্যালারিতেও। বাইশ গজে ডেভিড ওয়ার্নার, মোজেস হেনরিক্স যখন ব্যাটে আগুন ঝড়াচ্ছেন তখন গ্যালারিতেও একচিলতে উত্তাপ। আসলে গ্যালারিতে সুরেশ রায়নার দলকে সারাক্ষণই চিয়ার করতে দেখা গেল এক সু্ন্দরীকে। যে রহস্যময়ীর সঙ্গে সেলফি তুলতে দেখা গেল গুজরাত ফ্র্যাঞ্চাইজির মালিক কেশব বনসলকেও। কে ইনি? ইনি মুস্কান শেঠী। তিনি খেলেন পোকার। দেশের প্রথম পেশাদার পোকার খেলোয়াড় মুস্কান বেড়ে উঠেছেন দিল্লিতে। টিভিতে পোকার দেখে ক্রমশ আগ্রহ জন্মায় এই খেলার প্রতি। ইউরোপ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে জনপ্রিয়তা থাকলেও ভারতে পোকারের সেই জনপ্রিয়তা বা পরিকাঠামো নেই। তবে এসব কিছুই বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি মুস্কানের পোকার-প্রীতিতে। এক সর্বভারতীয় দৈনিককে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মুস্কান জানিয়েছেন, শৈশবে অনেকেই কার্টুন কিংবা গেমস চ্যানেল সার্ফ করেন। আমিও করতাম। পোকার দেখতে চাইতাম না। সেইসময় তিনি টেনিস খেলতে চেয়েছিলেন। তবে প্রথমে পোকার খেলায় বিতৃষ্ণা থাকলেও ক্রমশই পোকার নিয়ে আগ্রহ জন্মাতে থাকে মুস্কানের। এই সাক্ষাৎকারেই মুস্কানকে বলতে শোনা গিয়েছে, আমার বয়স তখন ২০। তখন ফেসবুকে স্রেফ মজা পাওয়ার জন্য পোকার খেলতাম। আস্তে আস্তে খেলাটার প্রতি আকর্ষণ জন্মায়। প্রত্যেকবার যখন অনলাইনে খেলা শুরু করতাম, তখনই টেবিল পুরোপুরি পরিষ্কার করতাম। যাতে খেলাটা সিরিয়াসলি খেলতে পারি। শুধু পোকার খেলোয়াড় হিসেবেই নয়, মুস্কানের পরিচিতি রয়েছে সমাজকর্মী হিসেবেও। তাঁর মা শুরু করেছিলেন এক এনজিও, তাঁর নামেই মুস্কান ফাউন্ডেশন। যারা প্রতিবন্ধীদের নিয়ে কাজ করে। মা মারা যাওয়ার পর মুস্কানের কাঁধেই দায়িত্ব বর্তায় এনজিও চালানোর জন্য। তিনি সাগ্রহে সেই দায়িত্ব বহন করে চলেছেন। বিভিন্ন পোকার টুর্নামেন্ট জেতার পর প্রাপ্ত অর্থ তিনি দান করেন এই এনজিও-তেই। পাশাপাশি তিনি একজন নিখাদ পশুপ্রেমীও। সারমেয়-প্রীতি শৈশব থেকেই। আইফোনে ডগিডু অ্যাপ তাঁরই মস্তিষ্কপ্রসূত। এত পরিচয়ের ভিড়েও তিনি দিনের শেষে একজন পোকার খেলোয়াড়। তাই তিনি বলেন, যারা স্বপ্ন দেখতে ভালবাসে, তাদেরই পোকার খেলা উচিত। আমি অন্য খেলাও বেছে নিতে পারতাম। তবে পোকার আমাকে বেছে নিয়েছে। মুস্কানের হাসিতেও অবশ্য বাজিমাত করতে পারেনি গুজরাত। হাড্ডাহাড্ডি ম্যাচে ৯ উইকেটে জেতে প্রতিপক্ষ সানরাইজার্স। পরের ম্যাচে মুস্কানের উপস্থিতিতে সুরেশ রায়নাদের ভাগ্য ফেরে কিনা, সেটাই আপাতত দেখার। আর/১০:১৪/১১ এপ্রিল
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://ift.tt/2ovNf42
April 12, 2017 at 04:34AM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন