গোরুকে আধারের ধাঁচে নম্বর, সুপ্রিমকোর্টে আবেদন কেন্দ্রের

নয়াদিল্লি, ২৪ এপ্রিলঃ দেশজুড়ে গো-রক্ষকদের তাণ্ডব ঘিরে বিতর্কের মধ্যেই গোরুদের জন্য আদারের ধাঁচে বিশেষ শনাক্তকরণ নম্বর চালু করতে চায় মোদি সরকার। এই মর্মে সুপ্রিমকোর্টে আবেদন করেছে কেন্দ্রীয় সরকার।

শীর্ষ আদালতে কেন্দ্রীয় সরকার আবেদন জানিয়ে বলেছে, দেশের প্রতিটি গোরু ও তার বাছুরের শনাক্তকরণ ও নজরদারির জন্য ইউনিক আইডেন্টিফিকেশন (ইউআইডি) নম্বর চাই। আদালত এই নম্বর চালু করার স্বীকৃতি দিক। এরজন্য ইতিমধ্যে একটি কমিটি গঠন করেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। এই কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতেই আবেদন করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। এই সুপারিশে বলা হয়েছে, গো-রক্ষা ও ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে গোরু পাচার করার জন্য কঠোর নজরদারি চালাতে হবে। দেশের প্রতিটি জেলায় যাতে ৫০০ আশ্রয়হীন গোরুর জায়গা হতে পারে এমন একটি করে সেল্টার হোম বানাতে হবে। এর ফলে দেশে গোরু চোরাচালান কমাতে সুবিধা হবে।

 স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক সূত্রে খবর, প্রত্যেক গোরু-মহিষের কানের ভিতরে একটি করে ’পলিইউরেথান’ ট্যাগ বসানো হবে। এরজন্য ইতিমধ্যেই লাখখানেক টেকনিশিয়ানকে দেশের নানা জায়গায় পাঠানো হয়েছে ৫০ হাজার ট্যাগ দিয়ে। ওই ট্যাগ কখনও খুলে ফেলা ও বিকৃত করা সম্ভব হবে না। ট্যাগটিতে ১২ ডিজিটের একটি নম্বর বসানো আছে। ওই ট্যাগটির মাধ্যমে গোরু-মহিষগুলিকে সময়মতো খুঁজে বের করে প্রয়োজনীয় ভ্যাকসিন দেওয়া যাবে। যাতে অনেক বেশি দুধ পাওয়া যায় এবং তারা বংশবৃদ্ধি করতে পারে। উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও চান ২০২২ সান নাগাদ ডেয়ারির সঙ্গে জড়িত চাষিদের আয় বাড়িয়ে দ্বিগুণ করা। সেই কারণেই এই উদ্যোগ।

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের জনৈক আধিকারিক জানান, ট্যাগগুলি বসানো হয়ে গেলে ট্যাগের নম্বর অনলাইনে দিয়ে একটা ডাটাবেস তৈরি করা হবে। ওই ডাটাবেসকে ভিত্তি করেই তৈরি হবে আধার ধাঁচের নম্বর। নম্বরটি কম্পিউটারে ফেললে তাতে গোরু-মহিষ মালিকের বিস্তারিত তথ্য ও শনাক্তকরণ নম্বর পাওয়া যাবে।



from Uttarbanga Sambad http://ift.tt/2paANVY

April 24, 2017 at 11:04PM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top