নিজস্ব প্রতিবেদক ● সদ্য সমাপ্ত কুমিল্লা সিটি করপোরেশন (কুসিক) নির্বাচনে দুই মেয়র প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত করেছে নির্বাচন কমিশন। তারা হলেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) শিরিন আক্তার (তারা প্রতীক) এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী মেজর (অব.) মামুনুর রশীদ (দেয়াল ঘড়ি)।
কুমিল্লা সিটির মেয়র পদে বিএনপির মনিরুল হক সাক্কু নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন আওয়ামী লীগের আঞ্জুম সুলতানা সীমা।
কুসিক রিটার্নিং কর্মকর্তার অফিস সূত্রে জানা যায়, গত ৩০ মার্চ অনুষ্ঠিত কুসিক নির্বাচনে বিএনপি প্রার্থী মো. মনিরুল হক সাক্কু ধানের শীষ প্রতীকে ৬৮ হাজার ৯৪৮ ভোট পান। আওয়ামী লীগের প্রার্থী নৌকা প্রতীক নিয়ে আঞ্জুম সুলতানা সীমা পান ৫৭ হাজার ৮৬৩ ভোট।
জামানত বাজেয়াপ্ত হওয়া দুই প্রার্থীর মধ্যে জেএসডির প্রার্থী শিরিন আক্তার পান ২৮৩ ভোট এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. মামুনূর রশীদ পান ৭৬৬ ভোট।
সিটি করপোরেশন নির্বাচনী আইন অনুযায়ী, নির্বাচনে যতসংখ্যক ভোটার ভোট দিয়েছেন, কোনো প্রার্থী এর আট ভাগের এক ভাগ ভোট না পেলে তার জামানত বাজেয়াপ্ত হয়। কুসিক নির্বাচনে মোট ভোটার ছিল দুই লাখ সাত হাজার ৫৬৬ জন। এর মধ্যে ভোট দিয়েছেন এক লাখ ২৭ হাজার ৮৬০ জন ভোটার। অর্থাৎ ১৫ হাজার ৯৮৩ ভোটের কম পাওয়ায় মামুনূর রশীদ ও শিরিন আক্তারের জামানত বাতিল হয়েছে।
নির্বাচন বিধি অনুযায়ী, কোনো সিটি করপোরেশনে ভোটার সংখ্যা ২০ লাখের কম হলে একজন মেয়র প্রার্থীকে ৫০ হাজার টাকা এবং ২০ লাখের বেশি হলে এক লাখ টাকা জামানত দিতে হয়।
from Comillar Barta™ http://ift.tt/2oxIKXC
April 04, 2017 at 08:40PM
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন