লেবাননে উৎসবমুখর পরিবেশে বৈশাখ উদযাপন

রাষ্ট্রদূত আব্দুল মোতালেব সরকার স্বাগত বক্তব্য দিচ্ছেন।

রাষ্ট্রদূত আব্দুল মোতালেব সরকার স্বাগত বক্তব্য দিচ্ছেন।

বাবু সাহা, বৈরুতঃ‘মুছে যাক গ্লানি, ঘুচে যাক জরা/ অগ্নিস্নানে শুচি হোক ধরা। এসো, এসো, এসো, হে বৈশাখ।’ সব না পাওয়ার বেদনাকে ধুয়ে মুছে, আকাশ-বাতাস ও প্রকৃতিকে অগ্নিস্নানে শুচি করে তুলতেই আসে বৈশাখ। প্রিয় বৈশাখ, শুভ নববর্ষ এখন আর বাংলাদেশেই সীমাবব্ধ নেই, ছড়িয়ে পড়েছে দেশ থেকে দেশান্তরে প্রবাসের শহরে শহরে। বারো মাসে তেরো পার্বণের দেশের প্রাণের অন্যতম ঐতিহ্যবাহী উৎসব বাংলা নববর্ষকে নতুন স্বপ্ন, উদ্যম ও প্রত্যাশার আলোয় রাঙানো নতুন বাংলা বছরকে বরণ করে নিলো লেবাননের প্রবাসী বাংলাদেশীরা।

লেবাননের রাজধানী বৈরুতের ইউনেস্কো সেন্টারে ২২শে এপ্রিল শনিবার স্থানীয় সময় বিকাল ৩.০০ ঘটিকায় বাংলাদেশ দূতাবাস প্রবাসী বাংলাদেশীদের নিয়ে  আবহমান বাংলার অসাম্প্রদায়িক চেতনার সার্বজনীন উৎসব পহেলা বৈশাখ উদযাপন করেছে।

বাংলাদেশ থেকে আগত শিল্পীদের সাথে স্থানীয় শিল্পীবৃন্দ সংগীত পরিবেশন করছেন।

বাংলাদেশ থেকে আগত শিল্পীদের সাথে স্থানীয় শিল্পীবৃন্দ সংগীত পরিবেশন করছেন।

শুভ বাংলা নববর্ষ ১৪২৪ উদযাপনের এ উৎসবে বিপুল সংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশী, লেবাননে নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের হাইকমিশনার পরিবারবর্গ সহ এবং লেবাননের বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক নেতৃবৃন্দ সহ বিভিন্ন পেশার বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ যোগদান করে।বৈরুতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আব্দুল মোতালেব সরকারের স্বাগত বক্তব্যের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়। আগত অতিথিদের নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়ে রাষ্ট্রদূত বলেন,  বাংলা নববর্ষ-১৪২৪ উদযাপনের অন্যতম প্রধান অনুষঙ্গ মঙ্গল শোভাযাত্রা ইউনেস্কো বিশ্বমানবতার সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের অংশ হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করায় এ বছরের বাংলা নববর্ষ উদযাপন একটি নতুন মাত্রা লাভ করেছে।তিনি এই শুভক্ষণে সমস্ত বাঙালির সুখ সমৃব্ধি কামনা করেন।

বাঙালির আবহমানকালের ঐতিহ্যের ধারক ও বাহক  বাংলা নববর্ষ-১৪২৪ উদযাপনকে ঘিরে গান, নাচ সহ একটি  মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন  করা হয় । সূচনা সঙ্গীত হিসেবে শুরুতেই  বাংলাদেশ থেকে আগত শিল্পীদের সাথে প্রবাসী বাংলাদেশীদের সম্মিলিত কণ্ঠে গাওয়া হয় ”এসো, হে বৈশাখ, এসো, এসো” গানটি, যা উৎসবের আমেজকে প্রাণবন্ত করে তোলে।পরে ক্ষুদে নৃত্যশিল্পী সামিহা সরকার নৃত্য পরিবেশন করে।

বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত দর্শকদের একাংশ।

বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত দর্শকদের একাংশ।

 

সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শেষে আমন্ত্রিত অতিথিদেরকে দূতাবাস পরিবারবর্গ কর্তৃক পরিবেশিত ঐতিহ্যবাহী বাংলাদেশের খাবার পিঠা, মিষ্টি সহ হরেক রকমের দেশীয় খাবার পরিবেশন করা হয়।

পহেলা বৈশাখে প্রবাসীরা রঙ-বেরঙের শাড়ি, পাঞ্জাবি, সালোয়ার-কামিজ পরে সবাই আনন্দে মেতে উঠেছিল বৈশাখী অনুষ্ঠানে।



from প্রবাস – দ্যা গ্লোবাল নিউজ ২৪ http://ift.tt/2oguD9k

April 23, 2017 at 03:54AM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top