একচ্ছত্র ক্ষমতা অর্জনের পথে এরদোগান

182c3_এরদোগান_long
ঢাকা: একচ্ছত্র ক্ষমতা বৃদ্ধি প্রশ্নে অনুষ্ঠিত ঐতিহাসিক গণভোটে এগিয়ে রয়েছেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ৯৮ দশমিক ২০ শতাংশ ভোট গণনা শেষে এরদোগানের ক্ষমতা বৃদ্ধির পক্ষে অর্থাৎ ‘হ্যাঁ’ ভোট দিয়েছেন ৫১ দশমিক ৩১ শতাংশ তুর্কি। অন্যদিকে ‘না’ ভোট পড়েছে ৪৮ দশমিক ৬৯ শতাংশ।

প্রবাসী ভোটারদের ৫৮ দশমিক ৯২ শতাংশ ‘হ্যাঁ’ ভোট দিয়েছেন। অন্যদিকে ‘না’ ভোট দিয়েছেন ৪১ দশমিক ০৮ শতাংশ।

রোববার স্থানীয় সময় বিকেল পাঁচটায় (বাংলাদেশ সময় রাত আটটা) ভোট গ্রহণ শেষ হয়। এছাড়া পূর্বাঞ্চলীয় ৩২টি প্রদেশে এক ঘণ্টা আগে ভোটগ্রহণ শুরু ও শেষ করা হয়। ভোট শুরু হয় স্থানীয় সময় সকাল ৮টা থেকে।

রোববারের এই গণভোটে ‘হ্যাঁ’ ভোট জয়ী হলে অগাধ নির্বাহী ক্ষমতার অধিকারী হবেন প্রেসিডেন্ট এরদোগান। সংসদীয় গণতন্ত্র থেকে দেশটি প্রেসিডেন্ট শাসিত গণতান্ত্রিক দেশে পরিণত হবে। সেই সঙ্গে এ নতুন ব্যবস্থায় আগামী ১২ বছরের জন্য এরদোগানই থাকবেন প্রেসিডেন্টের পদে। তাকে ২০২৯ সাল পর্যন্ত দেশটির ক্ষমতায় দেখা যেতে পারে বলে ধারণা করছেন পর্যবেক্ষকরা।

দেশজুড়ে এক লাখ ৬৭ হাজার ১৪০টি ভোট কেন্দ্রে পাঁচ কোটি ৫০ লাখ ভোটার নিজেদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করার সুযোগ পেয়েছেন। এর মধ্যে সদ্য ১৮ বছরে পদার্পণ করা ১০ লাখের ওপরে নতুন ভোটার রয়েছেন।

‘হ্যাঁ’ ভোট দেওয়ার মাধ্যমে এরদোগানের হাত ধরে তার প্রস্তাবিত ‘নতুন তুরস্ক’ গড়ার পক্ষে মত দিবেন দেশটির জনগণ। মুখ ফিরিয়ে নেবেন মোস্তফা কামাল আতাতুর্কের প্রতিষ্ঠিত ‘ধর্মনিরপেক্ষ আধুনিক তুরস্ক’ থেকে।

এছাড়া ‘হ্যাঁ’ জয়ী হলে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সঙ্গে তুরস্কের সম্পর্ক আরো ক্ষতিগ্রস্ত হবে। ইইউয়ের সঙ্গে এক চুক্তির পর তুরস্ক সিরিয়া ও ইরাক থেকে ইউরোপ অভিমুখি অভিবাসন প্রত্যাশীদের স্রোতের লাগাম টেনে ধরে।

প্রেসিডেন্টের বিচারের জন্য দুই-তৃতীয়াংশ পার্লামেন্ট সদস্যের সমর্থন লাগবে। পার্লামেন্ট সদস্যের সংখ্যা ৫৫০ থেকে বাড়িয়ে ৬০০ করা হবে। প্রেসিডেন্ট ও পার্লামেন্ট নির্বাচন একই দিনে হবে। প্রেসিডেন্ট দুই মেয়াদের বেশি ক্ষমতায় থাকতে পারবেন না।

নিজের দল একেপি ছাড়াও এই গণভোট ডাকার ক্ষেত্রে এরদোগান সমর্থন পাচ্ছেন অন্যতম বৃহৎ দল ন্যাশনালিস্ট অ্যাকশন পার্টির (এমএইচপি)। গণভোটে এমএইচপির অবস্থানই বড় নীতি-নির্ধারণ করে দেবে বলে মনে করা হচ্ছে।

কিন্তু মাঠে সক্রিয় এরদোগান বিরোধীরাও। তারা বলছেন, এই ভোটে ‘হ্যাঁ’ জিতে গেলে কোনো এক ব্যক্তি নজিরবিহীন ক্ষমতা পাবেন, সরকারের মধ্যে ক্ষমতার কোনো ভারসাম্য থাকবে না। বিরোধী শিবিরের নেতৃত্বে রয়েছে প্রধান বিরোধী দল ধর্মনিরপেক্ষতাবাদের পতাকাবাহী রিপাবলিকান পিপলস পার্টি (সিএইচপি) ও কুর্দি-সমর্থক পিপলস ডেমোক্রেটিক পার্টি (এইচডিপি)।



from মধ্যপ্রাচ্য ও দূরপ্রাচ্য – দ্যা গ্লোবাল নিউজ ২৪ http://ift.tt/2pnXhFe

April 17, 2017 at 08:59AM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top