নিজস্ব প্রতিবেদক ● মনোহরগঞ্জে কৃষক মো.আবদুল বাতেন হত্যা মামলায় আওয়ামী লীগ নেতা জাকির হোসেনকে আসামী করায় বিস্ময় ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছে এলাকাবাসী।
রবিবার কুমিল্লা আদালতে মামলা দায়ের করা পর থেকে এ নিয়ে স্থানীয় এলাকাবাসী বিস্ময় প্রকাশ করেন। এছাড়া সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকে এটিকে মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক মামলা উল্লেখ করে এর নিন্দা জানাচ্ছেন অনেকে।
রোববার নিহতের মেয়ে নারগিস আক্তার বাদী হয়ে সহিদুর রহমান, জাকির হোসেন, নুরজাহান বেগম, সফিকুল ইসলাম, নুরে আলমকে আসামি করে এ মামলাটি দায়ের করেন। অথচ এ হত্যাকান্ডের সাথে আওয়ামী লীগ নেতা জাকির হোসেনের কোন সম্পৃক্ততা নেই বলে দাবি এলাকাবাসীর।
এদিকে সোমবার দুপুরে তার বিরুদ্ধে এই ষড়যন্ত্র মামলার প্রেক্ষিতে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন আওয়ামী লীগ নেতা জাকির হোসেন। তিনি তার ব্যাক্তিগত প্রোফাইলে করার স্ট্যাটাসটি নিচে হুবহু দেওয়া হল;
“আসসালামুওয়ালাইকুম।আশা করি সবাই ভালো আছেন।আপনারা যারা গত ২ দিন ফেইসবুকে আমাকে নিয়ে যেই ধরণের মিথ্যা স্ট্যাটাস দিচ্ছেন তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।আপনারা সবাই জানেন যে আমি সব সময় ন্যায় এর পথে চলি।কখনো অন্যায়কে প্রশ্রয় দেই নাই।যতটুকু সম্ভব দল মত না দেখে অন্যায়কারীর বিরুদ্ধে রুখে দাড়িয়েছিলাম হোক সে আমার আপনজন।স্বজনপৃতি আমার কখনোই ছিল না।কখনো কারো কাছে কিছুই আশা করি করিনি।সবসময় জনগণের পাশে থেকে যতদূর সম্ভব হাত বাড়িয়ে দিয়েছি।
বাতেন এর মৃত্যুতে আপনারা যেমন শোকাহত আমিও কোনদিক থেকে কম নয়।আমি নিজেই চেয়েছি অন্যায়কারীর শাস্তি হোক এবং তার জানাযায় ও সবার সামনে আমি কথা দিয়েছি যে অন্যায়কারীকে আইনের প্রক্রিয়ায় শাস্তি প্রদান করা হবে।খুনি যেই হোক না কেন তার শাস্তি তাকে ভোগ করতেই হবে আজ হোক আর কাল হোক।কিন্তু আমাকে এই মামলায় জড়ানোর মানে আমি এখনো বুঝতে পারিনি।কি কারণে আমার বিরুদ্ধে এই ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে?আমার অপরাধ আমি সবাই কে আপন করে নেই এটাই?আমি আওয়ামীলীগ করি এটাই? সবার বিপদে ছুটে যাই এটাই?সকলকে ন্যায় বিচার পেতে সাহায্য করি এটাই?কাদের ইন্দনে আপনারা এইসব করছেন?ভুলে যাবেন না আমি নির্দোষ।আর নির্দোষের কোন শাস্তি হবে না এটা আমার বিশ্বাস।ইন্দোনদাতা যেই হোক তারা বেশি দিন থাকবে না আপনাদের পাশে কিন্তু আমি আপনাদের পাশে সারাজীবন থাকব।আমার উপর অনেকেরই দোয়া আছে আমি তা জানি।তাদের দোয়ায় আমার বিন্দু পরিমাণ ক্ষতি ও হবে না ইনশাআল্লাহ ।সময় থাকতে বুঝার চেষ্টা করুন।
যারা ফেইজবুকে সত্য ঘটনা তুলে ধরছেন এবং সত্য কথা বলছেন তাদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ।আমি জানি আপনারা আমাকে অনেক ভালোবাসেন।আপনাদের ভালোবাসার কারণে আমি আবার ফিরে আসবো আপনাদের মাঝে।ভালো থাকবেন সবাই”
উল্লেখ্য, গত শনিবার মনোহরগঞ্জ উপজেলার বিপুলাসার ইউনিয়নের বাকরা গ্রামে স্থানীয় যুবলীগ নেতা সহিদুর রহমান নিহত আবদুল বাতেনকে ফোন করে ডেকে এনে তার হাতে থাকা হাতে থাকা ধারালো ছুরি দিয়ে আবদুল বাতেনের পেটে উপর্যপুরি ছুরিকাঘাতে হত্যা করে। এতে নিহতের পেট থেকে নাড়িভুঁড়ি বেরিয়ে যায়। এ সময় শোর চিৎকারে আশ-পাশের লোকজন ছুঁটে এসে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
from Comillar Barta™ http://ift.tt/2nz3zOf
April 03, 2017 at 01:18PM
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন