নিজস্ব প্রতিবেদক ● সহসা জামিন চাইবেন কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের সদ্য নির্বাচিত মেয়র মনিরুল হক সাক্কু। ‘মামলাটি নিষ্পত্তি’ না হওয়া পর্যন্ত জামিনে থাকা সাক্কু এ নিয়ে আইনজীবীদের সাথে পরামর্শ করে ঢাকার সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতে জামিন চাইবেন বলে জানা গেছে।
এ দিকে মনিরুল হক সাক্কুর বিরুদ্ধে জারি করা গ্রেপ্তারি পরোয়ানা এসেছে কুমিল্লা কোতয়ালী মডেল থানায়। কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের নির্বাচনের সময় জমা দেয়া হলফনামায় তথ্য গোপনের অভিযোগ সঠিক নয় বলে জানিয়েছেন সাক্কুর ভাই অ্যাডভোকেট কাইমুল হক রিংকু।
জানা গেছে, কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের সদ্য নির্বাচিত মেয়র মনিরুল হক সাক্কুর বিরুদ্ধে জারি করা গ্রেপ্তারি পরোয়ানা এসেছে কুমিল্লা কোতয়ালী মডেল থানায়। বুধবার এটি এসেছে বলে নিশ্চিত করেছেন কোতয়ালী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ আবু ছালাম মিয়া। তিনি জানান, আমাদের কাছে একটি ‘ওয়ারেন্ট’ এসেছে। তবে আদালতের যে সব প্রক্রিয়ায় ‘ওয়ারেন্ট’ আসে সেভাবে এখনো আসেনি। আদালত যেভাবে নির্দেশ দিয়েছেন আমরা সেভাবেই কাজ করবো।
এদিকে সদ্য নির্বাচিত মেয়র মনিরুল হক সাক্কুকে অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় ঢাকার সিনিয়র বিশেষ জজ আদালত থেকেই জামিন নিতে হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা জেলা জজ আদালতের অতিরিক্ত পিপি তাপস কুমার পাল। তিনি জানান, হাইকোর্ট থেকে মনিরুল হক সাক্কু যে জামিন নিয়েছেন তার একটি ফটোকপি মামলার নথিতে আছে। কিন্তু যে প্রক্রিয়ায় থাকার কথা সেভাবে নেই। তাছাড়া জামিন পেলে আদালতে আর আসতে হবে না এমনটা বোধ হয় নির্দেশনায় নেই। মনিরুল হক সাক্কু জামিনের ‘মিস ইউজ’ করেছেন।
তিনি জানান, জামিন ‘মিস ইউজের’ কারণে জামিন-বাতিলের এখতিয়ারও আদালতের রয়েছে।
অ্যাডভোকেট তাপস কুমার পাল জানান, মেয়র মনিরুল হক সাক্কুকে এখন ঢাকার সিনিয়র বিশেষ জজ আদালত থেকেই জামিন নিতে হবে। বিজ্ঞ আদালত যদি জামিন না প্রদান করেন তাহলে উচ্চ আদালতে যাওয়ার সুযোগ থাকবে।
এ সব বিষয়ে মনিরুল হক সাক্কুর ভাই এডভোকেট কাইমুল হক রিংকু জানান, ২০১২ সালের দিকে উচ্চ আদালত বড় ভাই (মনিরুল হক সাক্কু) ও ভাবীকে ‘মামলাটি নিষ্পত্তি’ না হওয়া পর্যন্ত জামিন দিয়েছেন। সেই জামিন আদেশের কপি আদালতে জমা দেয়া আছে। ‘বেইলবন্ড’ও জমা দেয়া আছে। মামলার নথিতে আদেশের পাতায় তা উল্লেখও আছে। এতো কিছুর পর সেখানে কেন এই ভুল হলো তা বোধগম্য নয়।
তিনি জানান, ভাই যে কোন একদিন ঐসব কাগজপত্র আদালতে উপস্থাপন করে জামিন চাইবেন।
এ ছাড়া কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনের সময় জমা দেয়া হলফনামায় তথ্য গোপন করেছেন বলে সরকারি অতিরিক্ত পিপি তাপস কুমার পাল যে অভিযোগ করেছেন সে প্রসঙ্গে সাক্কুর ভাই আইনজীবী কাইমুল হক রিংকু জানান, হলফনামায় ঐ মামলার তথ্য ও ফলাফল দেয়া আছে। হলফনামা নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে দেয়া আছে। যে কেউ চাইলে দেখতে পারবেন। এখানে তথ্য গোপনের অভিযোগ সঠিক নয়।
উল্লেখ্য, অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০০৮ সালের ৭ জানুয়ারি ঢাকার রমনা থানায় দুর্নীতি দমন কমিশন কুমিল্লার সহকারি পরিচালক শাহীন আরা মমতাজ বাদি হয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের ২০০৪ সালের ২৬(২) ও ২৭ (১) আইনে এবং দন্ড বিধির ১০৯ জরুরি বিধিমালার ২০০৭ এর ১৫ (ঘ) ৫ ধারায় তার বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন। সে মামলায় অভিযোগপত্র গ্রহণ করে মঙ্গলবার সাক্কুর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ও সম্পদ জব্দের আদেশ দিয়েছেন ঢাকার সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতের বিজ্ঞ বিচারক কামরুল হোসেন মোল্লা।
from ComillarBarta.com http://ift.tt/2pU4ObG
April 20, 2017 at 01:47PM
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Click to see the code!
To insert emoticon you must added at least one space before the code.