কলকাতা,১১ এপ্রিল- ঝড়ে ক্ষতিপূরণের টাকা নেওয়ায় বিতর্কে জড়ালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধায়ের মামা অনিল মুখোপাধ্যায়। বিজেপির পক্ষ থেকে এ নিয়ে স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে কুসুম্বা গ্রাম পঞ্চায়েতে। পঞ্চায়েত প্রধান পম্পা সাহা জানিয়েছেন, তিনি বিষয়টি জানেন না। আর অনিলবাবুর ছেলে ওই পঞ্চায়েতেরই তৃণমূল কংগ্রেস সদস্য নীহার মুখোপাধ্যায়ের উত্তর, টাকা নিয়েছি বেশ করেছি। ২০১৫ সালের মে মাসে ঝড়ে রামপুরহাট ১ নম্বর ব্লকের কুসুম্বা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বেশ কয়েকটি গ্রাম ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে ক্ষতিপূরণের যে তালিকা তৈরি হয় তাতেই নাম রয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মামা অনিল মুখোপাধ্যায়ের। ফলে তাঁকে ব্লক থেকে দেওয়া হয়েছে ১৭ হাজার ৬০০ টাকা। এনিয়েই শুরু হয়েছে বিতর্ক। বিজেপি তথ্য জানার অধিকার আইনে ক্ষতিপূরণ প্রাপকের তালিকা বের করে আন্দোলনে নেমেছে। বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন করা হলে পঞ্চায়েত প্রধান পম্পা সাহা বলেন, তিনি বিষয়টি জানেন না। বিজেপির বীরভূম জেলার সাধারণ সম্পাদক শুভাশিস চৌধুরী বলেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মামা অনিল মুখোপাধ্যায়ের একটি দোতলা পাকা বাড়ি রয়েছে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে ওই বাড়িতে ঢুকতে গিয়েই ভ্রু কুঁচকেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। পাশেই একটি পরিত্যক্ত বাড়ি রয়েছে। ওই বাড়িতেই রয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর ছেবেলার স্মৃতি। সেই বাড়ির টিনের ছাউনি উড়ে গিয়েছে দেখিয়ে সম্পূর্ণ ক্ষতিপূরণের টাকা নিয়েছেন তিনি। অথচ যাঁদের ক্ষতিপূরণ পাওয়ার কথা তাঁদের কেউ পেয়েছেন ৩২০০ টাকা আবার অনেকে সেটাও পায়নি। মুখ্যমন্ত্রীর মামার ছেলে নীহার মুখোপাধ্যায় নিজে কুসুম্বা গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য। স্ত্রী পম্পা মুখোপাধ্যায় রামপুরহাট ১ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি। ফলে নিজেদের প্রভাব খাটিয়ে সমস্ত সুবিধা তাঁরা নিজেরাই ভোগ করছেন। বিজেপি প্রশ্ন তুলেছে অনিলবাবুর দোতলা বাড়ি থাকা সত্বেও কী ভাবে ক্ষতিপূরণ পান? এনিয়ে প্রশ্ন করতেই উত্তেজিত হয়ে পড়েন মুখ্যমন্ত্রীর মামাতো ভাই নীহার মুখোপাধ্যায় এবং তার স্ত্রী পম্পা মুখোপাধ্যায়। নীহারবাবু বলেন, টাকা নিয়েছি বেশ করেছি। গ্রামের পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামী আদিত্য দত্ত গ্রামের সবার নাম নিয়ে ক্ষতিপূরণের তালিকা তৈরি করেছিল। সেখানে আমার বাবার নাম লিখেছিল। তাই ক্ষতিপূরণের টাকা নিয়েছি। যারা অভিযোগ করছেন তারাও টাকা পেয়েছেন। ওই তালিকা তৈরির দায়িত্বে থাকা আদিত্যবাবু বলেন, অনিলবাবুর বাড়ির টিনের ছাউনি উড়ে গিয়েছিল। তাই তাঁকে ওই ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে। সবাইকে যেমন দেওয়া হয়েছে, তেমনই ওনাকে দেওয়া হয়েছে।



from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://ift.tt/2pnHxOQ
April 11, 2017 at 05:09PM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top