চান্দিনায় অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ; অত:পর বিয়ে…

চান্দিনা প্রতিনিধি ● চান্দিনায় বান্ধবীর বাড়িতে বেড়াতে এসে অষ্টম শ্রেণীর মাদ্রাসা ছাত্রী ধর্ষনের শিকার হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে স্থানীয় মাতাব্বরদের সহযোগিতায় বখাটে ধর্ষকের সাথে বিয়ে দেওয়া হয় ওই শিশুটিকে!

শুক্রবার রাতে চান্দিনা উপজেলার কেরনখাল ইউনিয়নের ছয়ঘড়িয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ভিকটিম ওই শিশুটি একই ইউনিয়নের রামেশ্বর গ্রামের সফিকুর রহমান এর মেয়ে। সে বাগমারা দাখিল মাদ্রাসার অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী।

স্থানীয় সূত্রে জানাযায়, শুক্রবার বিকেলে বান্ধবীর বাড়ি বেড়াতে আসে ওই ছাত্রী। পাশ্ববর্তী দেবিদ্বার উপজেলার বরকামতা ইউনিয়নের জাফরাবাদ গ্রামের আব্দুর রহমান এর ছেলে আলিম নামে জনৈক এক প্রেমিকের সাথে ফোনে যোগাযোগ থাকে তার।

ওই রাতে প্রেমিক আরও ২ বন্ধুসহ প্রেমিকার সাথে দেখা করতে আসলে অবুঝ মেয়েটিকে ফুসলিয়ে বাড়ির একটি বাড়ির ছাদে নিয়ে যায়। এসময় বখাটে ওই প্রেমিক স্কুল ছাত্রীর সাথে একান্ত মুহুর্ত মোবাইলে ধারণ করে রাখে তার অপর দুই বন্ধু।

এদিকে বিষয়টি টের পেয়ে এলাকার লোকজন ধাওয়া করে আপত্তিকর অবস্থায় প্রেমিক আলিম ও শিশু মেয়েটিকে আটক করে। পরদিন শনিবার স্থানীয় ইউপি মেম্বার, এলাকার কতিপয় মাতাব্বর ওই বখাটে ছেলের সাথে বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন। দুপুরে স্থানীয় বিবাহ কাজীর মাধ্যমে তাদের বিয়ে সম্পন্ন করে ছেলে ও মেয়েকে পৃথক ভাবে তাদের বাড়িতে পাঠানো হয়।

ওই ছাত্রীর পিতার সফিকুর রহমান জানান, স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও মেম্বারের সহযোগিতায় এলাকার কয়েকজন মাতাব্বর বিষয়টি সমাধানে বিয়ের আয়োজন করেন।

এব্যাপারে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব হারুন অর রশিদ এর মোবাইল ফোনে একাধিক বার ফোন করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

এব্যাপারে চান্দিনা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) এসএম জাকারিয়া কুমিল্লার বার্তা ডটকমকে  জানান, বিষয়টি আমি খতিয়ে দেখছি। প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।



from ComillarBarta.com http://ift.tt/2pecjtz

April 08, 2017 at 09:36PM
08 Apr 2017

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

:) :)) ;(( :-) =)) ;( ;-( :d :-d @-) :p :o :>) (o) [-( :-? (p) :-s (m) 8-) :-t :-b b-( :-# =p~ $-) (b) (f) x-) (k) (h) (c) cheer
Click to see the code!
To insert emoticon you must added at least one space before the code.

 
Top