শিবগঞ্জে মেয়েকে ফিরে পেতে সংবাদ সম্মেলন করেছে এক পিতা। রোববার সকালে শিবগঞ্জ পৌর এলাকার কেয়া শপিং সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত অভিযোগে মেয়ের পিতা মনাকষা ইউনিয়নের পারচৌকা গ্রামের শহীদ আবুল হোসেনের ছেলে আমান আলী জানান, গত ২০১৫ সালের ৭ এপ্রিল সকাল ৮টার সময় আমার মেয়ে মনাকষা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণির ছাত্রী মোসা. সীমা খাতুন বিদ্যালয় যাবার পথে পুঁঠির ঘাট এলাকার শ্মশানের নিকট হতে একই গ্রামের সাইদুর রহমানের ছেলে বারিকুল ইসলাম ও তার ভাই, দুলাভাইসহ ৬-৭ জনের একটি দল সীমাকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। এঘটনায় পরের দিন আমি বাদী হয়ে শিবগঞ্জ থানায় একটি অপহরণ মামলা দায়ের করি। মামলা নং ১৬ তারিখ ০৮-০৪-২০১৫।
মামলা দায়েরের পর থেকেই আসামী পক্ষ বিভিন্ন ভাবে আমাকে হত্যার হুমকি দিলে আমি থানায় জিডি করার আবেদন করেও ব্যর্থ হই। গত ৩০-০৬-২০১৫ তারিখে মামলাটির অভিযোগপত্র দাখিল করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মোয়াজ্জেম হোসেন। কিন্তু আসামী পক্ষ মামলা থেকে রক্ষা পেতে কৌশল হিসাবে আমার মেয়ের বয়স ১৯ বছর ও সাইদুর রহমানের ছেলে বারিকুল ইসলামের বয়স ২২ বছর বাড়িয়ে ৮৫ হাজার ১শ’ টাকা দেনমোহর করে গত ২০১৫ সালের ১৬ এপ্রিল এফিডেভিটের মাধ্যমে বিয়ে হয়েছে বলে প্রমাণ করার চেষ্টা করে। বিয়ে রেজিস্ট্রেশনের কোন ডকুমেন্ট দেখাতে পারেনি। কিন্তু বিদ্যালয় ও জন্মনিবন্ধন সনদ অনুযায়ী আমার মেয়ের জন্ম তারিখ ১০-০৮-২০০৩ এবং ছেলের জন্ম তারিখ ১১-১১-১৯৯৯। মামলা বিচারাধীন থাকা অবস্থায় আদালতের মাধ্যমে মেয়েকে আমার নিকট ফিরিয়ে পেলেও আসামী পক্ষ অত্যন্ত প্রভাবশালী হওয়ায় গত ০৮-১১-২০১৬ তারিখে আমার অনুপস্থিতির সুযোগে আমার বাড়ির পেছন হতে আবারো বারিকুল ইসলাম ও আত্মীয় স্বজনরা আমার মেয়ে সীমাকে তুলে নিয়ে যাওয়ার সময় আমার স্ত্রী মোসা: হাসিনা বেগম বাধা দিয়েও ব্যর্থ হয়। এখন পর্যন্ত তারা আমার মেয়েকে ফেরত দিচ্ছেনা। এব্যাপারে মামলার আসামী ও বারিকুলের পিতা সাইদুর রহমান জানান, সীমা খাতুনকে অপহরণ করা হয়নি। সে স্বেচ্ছায় আমার ছেলেকে বিয়ে করে আমার বাড়িতে বসবাস করছে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ নিউজ/ নিজস্ব প্রতিবেদ, শিবগঞ্জ/ ২৩-০৪-১৭
মামলা দায়েরের পর থেকেই আসামী পক্ষ বিভিন্ন ভাবে আমাকে হত্যার হুমকি দিলে আমি থানায় জিডি করার আবেদন করেও ব্যর্থ হই। গত ৩০-০৬-২০১৫ তারিখে মামলাটির অভিযোগপত্র দাখিল করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মোয়াজ্জেম হোসেন। কিন্তু আসামী পক্ষ মামলা থেকে রক্ষা পেতে কৌশল হিসাবে আমার মেয়ের বয়স ১৯ বছর ও সাইদুর রহমানের ছেলে বারিকুল ইসলামের বয়স ২২ বছর বাড়িয়ে ৮৫ হাজার ১শ’ টাকা দেনমোহর করে গত ২০১৫ সালের ১৬ এপ্রিল এফিডেভিটের মাধ্যমে বিয়ে হয়েছে বলে প্রমাণ করার চেষ্টা করে। বিয়ে রেজিস্ট্রেশনের কোন ডকুমেন্ট দেখাতে পারেনি। কিন্তু বিদ্যালয় ও জন্মনিবন্ধন সনদ অনুযায়ী আমার মেয়ের জন্ম তারিখ ১০-০৮-২০০৩ এবং ছেলের জন্ম তারিখ ১১-১১-১৯৯৯। মামলা বিচারাধীন থাকা অবস্থায় আদালতের মাধ্যমে মেয়েকে আমার নিকট ফিরিয়ে পেলেও আসামী পক্ষ অত্যন্ত প্রভাবশালী হওয়ায় গত ০৮-১১-২০১৬ তারিখে আমার অনুপস্থিতির সুযোগে আমার বাড়ির পেছন হতে আবারো বারিকুল ইসলাম ও আত্মীয় স্বজনরা আমার মেয়ে সীমাকে তুলে নিয়ে যাওয়ার সময় আমার স্ত্রী মোসা: হাসিনা বেগম বাধা দিয়েও ব্যর্থ হয়। এখন পর্যন্ত তারা আমার মেয়েকে ফেরত দিচ্ছেনা। এব্যাপারে মামলার আসামী ও বারিকুলের পিতা সাইদুর রহমান জানান, সীমা খাতুনকে অপহরণ করা হয়নি। সে স্বেচ্ছায় আমার ছেলেকে বিয়ে করে আমার বাড়িতে বসবাস করছে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ নিউজ/ নিজস্ব প্রতিবেদ, শিবগঞ্জ/ ২৩-০৪-১৭
from Chapainawabganjnews http://ift.tt/2p9Usax
April 23, 2017 at 01:52PM
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন