ঢাকা: উত্তর কোরিয়া হুমকি মোকাবিলায় থাড ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা মোতায়েনের ব্যবস্থা আমেরিকাকে বহন করতে হবে। রোববার দক্ষিণ কোরিয়া এ কথা জানিয়েছে। এর কয়েকদিন আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছিলেন, থাড মোতায়েনের খরচ দক্ষিণ কোরিয়াকে দিতে হবে।
দক্ষিণ কোরীয় কর্মকর্তারা জানান, দ্বিপক্ষীয় চুক্তির আওতায় আমেরিকা এ খরচ বহন করবে। দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্টের কার্যালয় ব্লু হাউসের এক বিবৃতিতে এ দাবি করা হয়েছে।
উত্তর কোরিয়ার ব্যর্থ ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার পর এই ফোনালাপ অনুষ্ঠিত হয়। ম্যাকমাস্টার কথা বলেন দক্ষিণ কোরিয়ার জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা কিম কোয়ান-জিন-এর সঙ্গে।
আলাপকালে ম্যাকমাস্টার জানান, দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে জোট এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।
এদিকে, উত্তর কোরিয়ার সর্বশেষ ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার পর আমেরিকার প্রতিক্রিয়া কী জানতে চাইলে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, অপেক্ষা করুন, নিজেরাই জানতে পারবেন। মার্কিন প্রতিক্রিয়ার বিস্তারিত কিছু জানাননি তিনি।
হোয়াইট হাউসের চিফ অব স্টাফ রেইন্স প্রেইবাস জানিয়েছেন, রোববার ট্রাম্প উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক হুমকির বিষয়ে থাইল্যান্ড ও সিঙ্গাপুরের নেতাদের সঙ্গে কথা বলবেন।
এর আগে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে দক্ষিণ কোরিয়ার কাছে অর্থ দাবি করেন ট্রাম্প। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘আমি দক্ষিণ কোরিয়াকে বলেছি, ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা থাড মোতায়েনের খরচ তাদেরই দেওয়া উচিত। এর খরচ প্রায় ১ বিলিয়ন ডলার। এটা অসাধারণ, আকাশ থেকে ক্ষেপণাস্ত্র ফেলে দেয়।’
আমেরিকার সঙ্গে দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক সহযোগিতা দীর্ঘদিনের। ১৯৫০-১৯৫৩ সাল পর্যন্ত কোরিয়া যুদ্ধ চলাকালে নিরাপত্তা ইস্যুতে ওয়াশিংটনের সঙ্গে জোটবদ্ধ হয় সিউল। দক্ষিণ কোরিয়ায় বর্তমানে ২৮ হাজারের বেশি মার্কিন সেনা মোতায়েন রয়েছে। দুই দেশের মধ্যকার সমঝোতা অনুযায়ী, দক্ষিণ কোরিয়ায় মোতায়েন মার্কিন সেনাদের ওপর সিউলের কর্তৃত্ব থাকবে।
from যুক্তরাজ্য ও ইউরোপ – দ্যা গ্লোবাল নিউজ ২৪ http://ift.tt/2qkhbBF
May 01, 2017 at 02:38PM
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Click to see the code!
To insert emoticon you must added at least one space before the code.