বিশ্বনাথে ২১ দিনেও উদঘাটন হয়নি হত্যার রহস্য

images

বিশ্বনাথ (সিলেট ) প্রতিনিধি :: সিলেটের বিশ্বনাথে উপজেলার রামপাশা ইউনিয়নের আশুগনজবাজার এলাকায় অজ্ঞাতনামা মহিলা হত্যা মামলার রহস্য দীর্ঘ ১৭দিন পর ও উদ্ধার করতে পারেনি থানা পুলিশ। গত ২২জুলাই পুলিশ এই মহিলার লাশ উদ্ধার করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। মহিলার ব্যানেটি ব্যাগে রক্ষীত ২জন যুবকের ছবি পেয়ে পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে। ঘটনার দিন প্রচুর বৃষ্টিপাত হলেও ছবি দুটি টিসু দিয়ে মুড়িয়ে পলিথিনের বেগে রেখে ব্যানেটি ব্যাগটি লাশের বুকের উপর রেখে যায়। সব কিছু ভিজে গেলেও ছবি দুটিতে বৃষ্টির পানি লাগেনি।

একটি ছবি দীর্ঘদিনের কম্পিউটারে রাখা ডাউনলোড করে রাখা হয়েছে বলে ধারনা করা হচ্ছে। পুলিশ এ ছবির সুত্র ধরে রামচন্দ্রপুর গ্রামের সাবেক ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মরহুম মুসলিম আলীর পুত্র যুবলীগ কর্মি ইমরান আহমদ (২৬) কে গ্রেপ্তার করে। পুলিশ ইমরানকে ২২ এপ্রিল গেপ্তার করলে ও ২দিন আদালতের অনুমতি ছাড়া থানা হেফাজতে রেখে আদালতে চালান দেয় বলে অভিযোগ রয়েছে। আদালতে যাওয়ার পর তার আত্বীয়-স্বজন তার শরীরে গুরুতর জখম দেখে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন।এদিন তদন্তকারী কর্মকর্তা কামাল আহমদ আাদলতে ইমরান ইমরানের ৭দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন।

এদিকে আইনজিবিদেন মাধ্যমে আদালতে ইমরান অভিযোগ করেন তাকে ২২এপ্রিল সন্ধা ৭টায় বিশ্বনাথ থানা সদরে থানার পাশেই আল-মক্কা রেষ্টুরেন্টে চা পান করার সময় যুবলীগের অনেক কর্মির সামন থেকে তাকে গেপ্তার করে নিয়ে যায়।

২৩এপ্রিল সকাল ৯ টায় তার বোনসহ আতœীয়-স্বজন থানায় গেলে তাকে মারাত্বক জখমি অবস্থায় দেখতে পায়। আদালতের অভিযোগে বলা হয় ইমরানকে ইলেক্ট্রিক শর্ট ও শারীরিক ভাবে নির্যাতন করে মুমুর্ষ অবস্থায় উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা করানো হয। কিন্তু ইমরানকে আদালতের পেরনের ফরয়াডিং-এ চিকিৎসার কথা উল্লেখ না থাবকায় পরবর্তীতে আরেকটি ফরয়াডিং পাঠানো হয়।

ইতিমধ্যে আদালতের নির্দেশনা মোতাবেক একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করে ইমরানের চিকিৎসা করানো হয়েছে। কয়েক দিনের মধ্যে আদালতে এনিয়ে শুনানী হতে পারে। এদিকে ইমরানের মা আচারুন বিবি বাংলাদেশ মানবাধীকার সংস্থা বরাবরে এক আবেদনে তার পুত্র ইমরানকে পুলিশ কর্মকর্তা দোষ স্বীকার করাতে অমানুষিক নির্যাতনের প্রতিকার চেয়ে এক আবেদন করেছেন। সংস্থাটি পুলিশের উর্ধতন কর্মকর্তাদের জানিয়েছেন বলে জানা গেছে।

স্থানীয়দের অভিযোগ অজ্ঞাতনামা এই মহিলার সাথে কেউ খারাপ কাজ করলে কিংবা হত্যার সাথে জড়িত থাকলে এভাবেব্যানেটি ব্যাগে ছবি রেখে যেতনা। বিষয়টি নিরপক্ষ তদন্ত না করলে নিরিহ মানুষ হয়রানির স্বীকার হয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।



from সিলেট – দ্যা গ্লোবাল নিউজ ২৪ http://ift.tt/2pJf4ml

May 13, 2017 at 09:37PM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top