ঢাকা::
বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে একটি হাসপাতালে হামলা ও ভাংচুরের প্রতিবাদে মঙ্গলবার সারাদিন প্রাইভেট প্র্যাকটিস বন্ধ রাখাসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছেন চিকিৎসকরা।
গ্রীন রোড এলাকায় অবস্থিত সেন্ট্রাল হাসপাতালে চিকিৎসকদের অবহেলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই ছাত্রীর মৃত্যু হয়েছে, এ অভিযোগ এনে একজন ডাক্তারসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর।
এরপর ডাক্তারদের সংগঠন বাংলাদেশ মেডিক্যাল এ্যাসোসিয়েশন বা বিএমএ একদিন প্রাইভেট প্র্যাকটিস বন্ধ রাখার এই কর্মসূচির ঘোষণা দেয়। কিন্তু বাংলাদেশে চিকিৎসকদের প্রাইভেট প্রাকটিসের প্রবণতার কারণ কী?
এ বিষয়ে প্রশ্ন রাখা হলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঔষধ প্রযুক্তি বিভাগের অধ্যাপক আ ব ম ফারুক বিবিসি বাংলাকে বলেন, “প্রাইভেট প্র্যাকটিসের কারণ হিসেবে কিছু অর্থকড়ির ব্যাপার আছে, যে সময়টা তারা অবসর থাকবেন তখন প্রাইভেট প্রাকটিস করবেন”।
তিনি বলেন, “এতে রোগীদেরও উপকার হয়। সরকারি হাসপাতালে অসম্ভব রকমের ভিড় থাকে। প্রয়োজনের তুলনায় হাসপাতাল কম, অনেকেই সেখানে ডাক্তার দেখাতে পারেন না। সেক্ষেত্রে তিনি যদি অবসর সময় রোগী দেখেন সেক্ষেত্রে সাধারণ রোগীরা মূল্য দিয়ে সেই সেবাটা নিলো । সেক্ষেত্রে আমার মনে হয় এটা দোষের কিছু না। তবে জিনিসটা একটা নিয়ম নীতির মধ্যে আসাটা ভাল”।
মিস্টার ফারুক বলেন, সরকারি চিকিৎসকরা প্রায় সবাই প্রাইভেট প্র্যাকটিস করেন। আবার অনেক ডাক্তার করেন না বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
তার মতে “এটা দরকার। কারণ চিকিৎসক স্বল্পতা বিশেষ করে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের একটা অভাব রয়ে গেছে”।
অধ্যাপক ফারুক বলেন, “স্বাস্থ্য-নীতিতে এ পয়েন্টটাকে ভালোভাবেই অ্যাড্রেস করা হয়েছিল। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে একটা উদ্যোগও নেয়া হয়েছিল। বলা হয়েছিল বিকেল বেলা অবসর সময়টাতে ডাক্তার সাহেবরা বসবেন এবং চেম্বারের চেয়ে কম বেতন নেবেন। এর একটা অংশ বিশ্ববিদ্যালয় পাবে এবং অংশ চিকিৎসকরা পাবেন”।
বিভিন্ন সময় গ্রামাঞ্চলে স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার জন্য চিকিৎসকদের ঢাকার বাইরে বিভিন্ন এলাকায় কাজের কথা বলা হলেও, অনেক চিকিৎসক শহরাঞ্চলেই থাকতে চান।
সে অভিযোগ কতটা সত্যি জানতে চাইলে বিবিসি বাংলার সাইয়েদা আক্তারতে অধ্যাপক ফারুক বলেন সেটা কিছুটা সত্যি। কিন্তু অনেকেই প্রত্যন্ত এলাকায় যান কিন্তু সেখানে বসবাসের সুবিধা সেরকম না থাকায় তারা নিকটবর্তী অন্য এলাকায় থাকতে বাধ্য হন বলে তিনি জানান।
ডাক্তারের যেহেতু স্বল্পতা আছে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন এবং সরকার যৌথভাবে একটা নীতিমালা করতে পারে। এরসাথে মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলকেও সম্পৃক্ত করা যেতে পারে, অভিমত ঔষধ প্রযুক্তি বিভাগের এ শিক্ষকের ।
from ঢাকা – দ্যা গ্লোবাল নিউজ ২৪ http://ift.tt/2qLpg1J
May 23, 2017 at 09:33PM
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন