ঢাকা, ০৩ মে- চার বলে ৯২ রান দিয়ে সুজন মাহমুদ ও ১.১ ওভারে ৬৯ তাসনিম হাসান ১০ বছরের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছেন। একই ঘটনায় লালমাটিয়া ক্লাব ও ফিয়ার ফাইটার্সকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে আজীবনের জন্য। সবমিলিয়ে দেশের ক্রিকেটের ইতিহাসে দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে এই শাস্তি। কিন্তু এই শাস্তিকেও লঘু মনে করছেন ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে ঘটিত তদন্ত কমিটির প্রধান শেখ সোহেল। আম্পায়ার্স কমিটির প্রধান ও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) এই পরিচালক জানিয়েছেন, এর চাইতেও বড় কোনো শাস্তি থাকলে সংশ্লিষ্টদের দেওয়া হতো। মঙ্গলবার মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সবার সাথে কথা বলে বুঝতে পেরেছি ইচ্ছাকৃতভাবে বাংলাদেশ ক্রিকেটের সম্মান ক্ষুন্ন করার জন্য এমনটা করা হয়েছে। এই খেলায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে উপরে উঠবে এমন কোনো ব্যাপার ছিলো না। বা হেরে গেলে রেলিগেশনে চলে যাবে এমন কোনো ব্যাপারও ছিল না। ইচ্চাকৃতভাবেই এই কাজটি করা করেছে। শুধু ক্রিকেটার বা সংশ্লিষ্ট ক্লাব নয়, ম্যাচ পরিচালনার দায়িত্বে থাকা আম্পায়ারদের ছয় মাস, দুই ক্লাবের অধিনায়ক ও কোচদেরকে পাঁচ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করেছে বিসিবি। এখানেই শেষ নয়, লালমাটিয়া ক্লাবের সেক্রেটারি আদনান রহমান দিপনকে পাঁচ বছরের জন্য ক্রিকেটীয় কর্মকাণ্ড থেকেও নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এমন দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির পরও শেখ সোহেল বলেন, আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশ ক্রিকেট অনেক উপরে অবস্থান করছে। কোনোভাবেই আমাদের ক্রিকেটকে আমরা নিচের দিকে নিয়ে যেতে চাই না। তদন্ত শুরুর পর আমি একাধিকবার বলেছি এমন ঘটনায় আমরা কাউকে কোনো কোনোরকম ছাড় দেব না। এটি একটি মারাত্নক ঘৃণ্য অপরাধ। এর চাইতেও বড় শাস্তি থাকলে আমরা দিতাম। ম্যাচ শেষে অবশ্য সুজন ও তাসনিম জানিয়েছিলেন, আম্পায়ারদের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদেই তারা এমন অভিনব বোলিং করেছিলেন। তবে বিসিবি পরিচালক শেখ সোহেলের ধারণা, অন্য কারও প্ররোচনায় তারা এমন কাজ করার সাহস দেখিয়েছেন। তিনি বলেন, যদি টিম ম্যানেজমেন্ট আদেশ না দেয় কোনো বোলার এ জাতীয় কাজ করার সাহস পাবে না। দুই ম্যাচের কোনোটিতেই ফিক্সিংয়ের কোনো ব্যাপার ছিল না। বোলার টাকা পেয়েছে এ জাতীয় কিছুও ছিলো না। কিংবা এই দুই দল হেরে গেলে রেলিগেশনে যাবে কিংবা জিততে পারলে সেমি ফাইনালে উঠবে এমন কোনো ব্যাপারও ছিল না। তদন্ত করে আমরা বুঝেছি, আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশ ক্রিকেটের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার জন্যই এটা করা হয়েছে। শেখ সোহেলের নেতৃত্বে গঠিত তিন সদস্য বিশিষ্ট এই তদন্ত কমিটিতে আরও ছিলেন দুই বোর্ড পরিচালক জালাল ইউনুস ও আকরাম খান। তদন্ত কমিটি ছাড়াও বিষয়টি খতিয়ে দেখতে মাঠে নেমেছিলো আইসিসির দুর্নীতি দমন ও নিরাপত্তা ইউনিটও (আকসু)। সুষ্ঠুভাবে তদন্ত প্রক্রিয়াটি শেষ করতে আকসুর কাছ থেকেও রিপোর্ট নেওয়া হয়েছে জানিয়ে শেখ সোহেল বলেন, আকসু আমাদেরকে একই প্রতিবেদন দিয়েছে। আমরা প্রতিটি খেলোয়াড় ও মাঠে যারা উপস্থিত ছিলেন এমন অনেকের সাথে কথা বলেছি। আর/১৭:১৪/০৩ মে
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://ift.tt/2p6TkBD
May 03, 2017 at 01:56PM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন