ঘূর্ণিঝড় মোরার আঘাতে কক্সবাজারে দুই শতাধিক বাড়িঘর বিধ্বস্ত।।

সুরমা টাইমস ডেস্ক

:ঘূর্ণিঝড় মোরা উপকূলে আঘাত করায় দুই শতাধিক বাড়িঘর বিধ্বস্ত হওয়ার পাশাপাশি বেশ কিছু গাছপালা উপড়ে গেছে। ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটারের বেশি গতির বাতাস নিয়ে মঙ্গলবার ভোর ৬টার দিকে কুতুবদিয়ার কাছ দিয়ে কক্সবাজার-চট্টগ্রাম উপকূল অতিক্রম শুরু করে ঘূর্ণিঝড় মোরা।
সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নূর আহম্মদ বলেন, ‘এ ইউনিয়নে দেড়শতাধিক বাড়িঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। অনেক জায়গায় গাছপালা উপড়ে গেছে। আশপাশে যতদূর দেখেছি তাতে কমপক্ষে ৭০ ভাগ কাঁচা ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে বলে আমার মনে হচ্ছে। অনেক গাছপালা ভেঙে গেছে। আমার নিজের সেমিপাকা বাড়িটিরও আংশিক ভেঙে গেছে। ‘
ভোর ৬টার দিকে ঘূর্ণিঝড়টি সেন্টমার্টিনে আঘাত হানে জানিয়ে তিনি সকাল ৮টায় বলেন, এখানে এখন প্রচণ্ড ঝোড়ো বাতাসের সঙ্গে মাঝারি বৃষ্টিপাত হচ্ছে। তবে ঝড়ের আগেই সবাই আশ্রয়কেন্দ্রসহ উঁচু ভবনগুলোয় আশ্রয় নিয়েছে বলে তিনি জানান। সকাল ৮টা পর্যন্ত তিনি কোনো হতাহতের খবর পাননি বলেও জানান।
টেকনাফের সাবরাং ইউনিয়ন এলাকায়ও বেশ কিছু বাড়িঘর বিধ্বস্ত হয়েছে, উপড়ে গেছে কিছু গাছপালা। এ ছাড়া কিছু লোক আহত হয়েছে বলে শুনেছেন সাবরাং ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নূর হোসেন। তবে তিনি আহতদের সম্পর্কে নির্দিষ্ট কোনো তথ্য দিতে পারেননি।
কক্সবাজার আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ এ কে এম নাজমুল হক বলেন, ভোর ৬টার দিকে কক্সবাজার উপকূলে আঘাত হানে মোরা। তার আগে থেকেই হালকা বৃষ্টিপাত হচ্ছে। এখানে বেশ কিছু গাছপালা উপড়ে গেছে।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম জয় জানান, এ জেলায় ৫৩৮টি আশ্রয়কেন্দ্রে দুই লাখের অধিক মানুষ আশ্রয় নিয়েছে। তাদের পর্যাপ্ত খাবার সরবরাহ করা হয়েছে। মোরা কক্সবাজারের টেকনাফ ও সেন্টমার্টিনে আঘাত হেনেছে। এতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে ঘরবাড়ি ও গাছপালার। তবে কোনো ধরনের হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, উপকূলীয় এলাকার দুই লক্ষাধিক মানুষকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। খুলে দেওয়া হয়েছে জেলার ৫৩৮টি আশ্রয়কেন্দ্র। গঠন করা হয়েছে ৮৮টি মেডিক্যাল টিম। প্রস্তুত রাখা হয়েছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্মসূচির আওতায় ৪১৪টি ইউনিটের ছয় হাজার স্বেচ্ছাসেবক ও রেড ক্রিসেন্টের ১৫ হাজার স্বেচ্ছাসেবক। আশ্রয়কেন্দ্রে আসা লোকজনের নিরাপত্তার পাশাপাশি নেওয়া হয়েছে খাদ্য



from Sylhet News | সুরমা টাইমস http://ift.tt/2rjOwgj

May 30, 2017 at 08:59PM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top