রমজানে নগরীতে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা..

সুরমা টাইমস:
এবার পবিত্র রমজান মাসে সিলেটে মহানগরীতে বিশেষ নিরাপত্তা দেবে নগর পুলিশ। ঈদের আগ পর্যন্ত তিন ধাপে নিরাপত্তা দিতে ইতোমধ্যে সকল প্রস্তুতি শেষ করা হয়েছে। চিহ্নিত অপরাধীদের গ্রেপ্তারি বাড়ানো হয়েছে প্রযুক্তির ব্যবহার। পুলিশ বলছে, মাহে রমাজানে সর্বস্তরের মানুষের নিরাপত্তার স্বার্থে পুলিশ কমিশনার গোলাম কিবরিয়া নিজে থেকে এমন উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। নিরাপত্তার বিষয়টি পুলিশ কমিশনার সরাসরি নিজে তদারকি করবেন বলে জানান অতিরিক্ত উপকমিশনার (গণমাধ্যম) জেদান আল মূসা।
মহানগর পুলিশ হেডকোয়াটার সূত্র জানায়, রমজান উপলক্ষ্যে আজ থেকে পুলিশের একাধিক ইউনিট মাঠে কাজ শুরু করবে। এর মধ্যে পুলিশের নির্ধারিত টিমের সাথে ১ থেকে ৫ রমজান পর্যন্ত আরো ৫শ পুলিশ সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন। ১১ থেকে ২০ রমজান পর্যন্ত এক হাজার পুলিশ এবং ২০ রমজান থেকে ৩০ রমজান পর্যন্ত দুই সহস্রাধিক পুলিশ মাঠে থাকবেন। তবে এক রমজান থেকেই গোয়েন্দা নজরদারি বাড়িয়ে দেওয়া হবে। একই সাথে চিহ্নিত অপরাধীদের গ্রেপ্তার করতে পুলিশের একটি বিশেষ ইউনিট মাঠে নামানো হয়েছে। চিহ্নিত অপরাধীদের গ্রেপ্তারে বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে প্রযুক্তির ব্যবহারও। সার্বিক নিরাপত্তার বিষয় নজরদারি করবেন নগর পুলিশের ডিসি, এডিসিসহ সিনিয়র কর্মকর্তারা।
পুলিশ জানায়, শান্ত সিলেটকে যাতে অপরাধীরা অশান্ত করতে না পারে, সেজন্য এমন ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। পুরো রমজান মাসই নিরাপত্তার বেষ্টনীতে থাকবে সিলেট মহানগর। এজন্য ৬ থানা এলাকায় একাধিক চেকপোস্ট থাকবে। এর মধ্যে কোতোয়ালি থানা এলাকায় ১০টি এবং বাকি পাঁচটি থানায় ৪টি করে চেকপোস্ট বসানো হবে। একাধিক টহল দল ৬টি থানার বিভিন্ন এলাকায় টহল দেবে। রাতে নিরাপত্তা দিতে একাধিক টিম পৃথকভাবে দায়িত্ব পালন করবে। অসামাজিক কার্যকলাপের আস্তানা, মাদক স্পট, জুয়ার আস্তানা, শিলং তির জুয়ার আস্তানায় অভিযান চালানো হবে। গ্রেপ্তার করা হবে চিহ্নিত ছিনতাইকারী ও ডাকাতদেরকে। এ ব্যাপরে পুলিশ জানায়, আসন্ন রমজানে সিলেটে ‘মানি এসকর্ট’ সেবা দেবে নগর পুলিশ। যে-কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান আবেদন করলেই মিলবে এ সেবা। রমজানে ব্যাংক এলাকায়ও বিশেষ নজরদারি থাকবে। এছাড়া নিরাপত্তার ক্ষেত্রে ছিনতাই প্রতিরোধকেই তাঁরা মূল চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিচ্ছেন।
অতিরিক্ত উপকমিশনার (গণমাধ্যম) জেদান আল মূসা জানান, ‘পবিত্র রমজান মাসে কোনোভাবেই অপরাধীদের ছাড় দেয়া হবে না। গ্রেপ্তার অভিযান অব্যাহত থাকবে। একই সাথে বিশেষ নিরাপত্তা পাবেন নগরবাসী। তিনি বলেন, যেখানেই অপরাধ সেখানেই পুলিশি সহায়তা দেওয়া হবে। সেক্ষেত্রে সর্বস্তরের নাগরিককে পুলিশকে তথ্য দিয়ে সহায়তা করতে হবে। তিনি বলেন, জনগণের নিরাপত্তা দেওয়াই পুলিশের কাজ। তাই সবার সহযোগিতা পুলিশের বেশি প্রয়োজন। জেদান আল মূসা জানান, অপরাধীদের তালিকা করে চিরুনি অভিযান পরিচালনা করা হবে। রমজানে যে-কেউ পুলিশের কাছে আবেদন করলে মানি এসকর্ট সেবা পাবেন। এক্ষেত্রে মহানগর পুলিশের কন্ট্রোলরুমে যোগাযোগ করতে হবে।



from Sylhet News | সুরমা টাইমস http://ift.tt/2ra01EN

May 28, 2017 at 10:07PM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top