মুম্বাই, ১৮ মে- দক্ষিণের ছবি বাহুবলী ২: দ্য কনক্লুশন ভারতে ও এর বাইরে হইচই ফেলে দিয়েছে। দেশটিতে ছবিটিকে নিয়ে আলোচনার পরে মনে হতে পারে, ছবিটি দেখেননি এমন লোকজনের সংখ্যা বোধ হয় কম। দক্ষিণী সিনেমার মহাতারকা রজনীকান্ত, বলিউডের বিগ বি অমিতাভ বচ্চনসহ বলিউড ও দক্ষিণের অনেক তারকা বাহুবলী ২ নিয়ে মন্তব্য করেছেন। তবে বক্স অফিসের বেশ কয়েকটি রেকর্ড ভেঙে হইচই ফেলে দেওয়া প্রভাস অভিনীত এ ছবিটি এখনো দেখেননি বলিউড বাদশাহ শাহরুখ খান। তবে এস এস রাজমৌলি পরিচালিত এই ছবি না দেখলেও বাহুবলীর সাফল্যের মূলে কী, তা জানা আছে কিং খানের। আইএএনএসে প্রকাশিত শাহরুখ খানের সাক্ষাৎকারের বরাত দিয়ে এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে, ছবি না দেখলেও বাহুবলী ২-এর সাফল্যের চাবিকাঠি জানা আছে কিং খানের। বাহুবলী ২-এর সাফল্য নিয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে কিং খান সাফ জানালেন, কষ্ট ছাড়া কেষ্ট মেলে না। শাহরুখের মতে, এ ছবিতে প্রযুক্তি অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। যেকোনো সিনেমার রূপ বদলে দিতে পারে প্রযুক্তি, যার অন্যতম বড় উদাহরণ হলো বাহুবলী। এদিন বাহুবলীর পরিচালক রাজমৌলি সম্পর্কে কিং খান বলেন, তিনি এমন একজন পরিচালক যে যিনি যে সিনেমাই বানান, সেটা সবাইকে অনুপ্রেরণা জোগায়। শাহরুখ বলেন, ছবিটি প্রমাণ করেছে, কষ্ট ছাড়া কেষ্ট মেলে না। এটি অত্যন্ত অনুপ্রেরণামূলক একটি ছবি। শাহরুখ খান আরও বলেন, আমি বাহুবলীর প্রথম পার্ট দেখেছি। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত আমি বাহুবলী ২ দেখে উঠতে পারিনি। আমার মনে হয়, এটি একইভাবে অনুপ্রেরণা জোগাবে। সাফল্যের মাপকাঠি শুধু সংখ্যা দিয়ে বোঝানো যায় না, এর দর্শনদৃষ্টি চিন্তা ও মননের সঙ্গে জড়িয়ে। কষ্ট না করলে আসলে সাফল্য আসে না এবং বাহুবলী ২-এর যোগ্য প্রমাণ। ছবি না দেখলেও শাহরুখ খান বলেছেন, অবশ্যই প্রযুক্তি সব সময় ছবির একটি বিশাল অংশ। আমি এটা বিশ্বাস করি। অন্য ধরনের ছবিও তৈরি হতে পারে। সেগুলোও চমৎকার এবং সুন্দর। প্রযুক্তি আসার আগে, এখনো আমরা চমৎকার ছবি তৈরি করেছি। কিন্তু যদি আপনি বড় বড় সিনেমা তৈরি করতে চান, বেশিসংখ্যক মানুষের কাছে ওই ছবিকে পৌঁছাতে চান, তবে ওই ছবির গল্প বলার ধরন ভালো হতে হবে এবং নিখুঁত, সাহসী হতে হবে। বাহুবলীও তাই। ৫১ বছর বয়সী চেন্নাই এক্সপ্রেস তারকা শাহরুখ বলেন, রাজমৌলি সব সময়ই অনুপ্রেরণাদায়ী পরিচালক। তিনি যখন কোনো ছবি তৈরি করেন এবং অন্য পরিচালক, প্রযোজকও অন্য ছবি নির্মাণ করেন। কিন্তু তাঁর ছবি প্রত্যেক চলচ্চিত্র নির্মাতাকে উৎসাহ দেয়। আমাকেও উৎসাহ দেয়। বাহুবলী ২: দ্য কনক্লুশন মুক্তি পাওয়ার পর থেকে বক্স অফিসে একের পর এক রেকর্ড গড়ে চলেছে। প্রথম কোনো ভারতীয় ছবি হিসেবে আয়ে অনেক আগেই হাজার কোটির ক্লাব ছাড়িয়েছে। পরে দঙ্গল ও সে পথ পেরিয়েছে। এখন দেখার ব্যাপার হলো, বাহুবলী: দ্য কনক্লুশন কী কী রেকর্ড ভেঙে কোথায় গিয়ে থামে। সে জন্য অপেক্ষায় থাকতে হবে ভক্ত-দর্শকদের। কয়েকটি ভাষায় মুক্তি পাওয়া বড় বাজেটের বাহুবলীর সিক্যুয়েল ছবিটি রেকর্ড অঙ্কের ব্যবসা করে অনেককে তাক লাগিয়ে দিয়েছে। বাহুবলীর মতো বাহুবলী ২ সিনেমাটিকে ঘিরে দর্শকের উন্মাদনার শেষ নেই। রীতিমতো ধামাকা তুলেছে ভারতে। প্রভাস, আনুশকা শেঠি, তামান্না ভাটিয়া, দাগ্গুবতী, রামাইয়া কৃষ্ণান ও সত্যরাজ অভিনীত দক্ষিণের এই ছবি দেখতে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে টিকিট কিনেছেন দর্শকেরা। এ ছাড়া দর্শকের চাপ দেখে অতিরিক্ত শো প্রদর্শনের ব্যবস্থাও করতে হয়েছে বিভিন্ন এলাকার হল কর্তৃপক্ষকে। ২০১৫ সালে মুক্তি পেয়েছিল বাহুবলী সিরিজের প্রথম ছবি বাহুবলী: দ্য বিগিনিং। ছবিটি তখন বক্স অফিসে বেশ সাড়া ফেলেছিল। ৬৫০ কোটি রুপির বেশি অর্থ আয় করেছিল দক্ষিণের এই সিনেমা। ছবি মুক্তির আগেই বিভিন্ন স্বত্ব বিক্রি করে বাহুবলী ২ আয় করেছে প্রায় ৫০০ কোটি রুপি। বাহুবলী ছবি দুটির প্রিক্যুয়েল বের হচ্ছে বই আকারে। তিন খণ্ডের বইয়ের প্রথম পর্ব দ্য রাইজ অব শিবগামি বেরিয়ে গেছে এর মধ্যেই। ভারতের বিভিন্ন জায়গায় নির্মিত হবে বাহুবলী থিম পার্কএ ঘোষণাও এসে গেছে। এসব থেকেও আয় আসবে বাহুবলীর নির্মাতা-প্রযোজকদের পকেটে। তাই সব মিলিয়ে তাঁরা কত টাকা পকেটে ভরবেন, এখনই বলা যাচ্ছে না। আর/১২:১৪/১৮ মে
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://ift.tt/2qSulXk
May 18, 2017 at 06:53AM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন