সিলেট-ঢাকা মহাসড়কে সিএনজি অটোরিক্সা পরিবহনে নিষেধাজ্ঞার মাঝেও বন্ধ হচ্ছে না পরিবহন, আর মৃত্যুর মিছিলে এবার যোগ হলো ৪ বছরের এক শিশু ও ১৯ বছরের যুবক।
মঙ্গলবার (২৩ মে) সকালে সিলেটের দক্ষিণ সুরমা উপজেলার তেতলি ইউনিয়নের তেলিবাজার এলাকায় মহাসড়কের উপরেই মাইক্রোবাস চাপায় আহত হন ৫ জন। পরে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায়ই মৃত্যু হয় দুজনের।
নিহতরা হলেন দক্ষিণ সুরমার মুমিনখলা গ্রামের সুফিয়ান মিয়ার ছেলে আদিল (৪) ও জগন্নাথপুর উপজেলার সৈয়দপুর গ্রামের আনোয়ারুল হকের ছেলে মারজান (১৯)।
দক্ষিণ সুরমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হারুন-অর-রশীদ জানান, সকালে বিশ্বনাথ থেকে সিলেটে আসার সময় দায়িত্বরত ট্রাফিক সার্জেন্ট একটি সিএনজি অটোরিক্সাকে তেলিবাজারের কাছে থামার সিগনাল দিলে সিএনজি চালক তা অমান্য করে দ্রুত পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে।
এ সময় পেছন থেকে একটি মাইক্রোবাস সিএনজিকে ধাক্কা দিলে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে গেলে গুরুতর আহত হন ৫ জন। পরে তাদেরকে স্থানীয়রা সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসেন।
দুর্ঘটনায় আহতরা হলেন দক্ষিণ সুরমার মিনিখলা গ্রামের সুফিয়ান মিয়ার স্ত্রী জুহেনা বেগম (২৮), জগন্নাথপুর উপজেলার নারিকেলতলা গ্রামের হাফছা বেগম (৫০) ও একই উপজেলার গৌরিগাঁও গ্রামের রুমন আহমদ (২৫)।
এদিকে দুর্ঘটনার পরপরই দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে ট্রাফিক সার্জেন্টকে দায়ী তার মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ করে বিক্ষোভ করেন স্থানীয়রা। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
উল্লেখ্য, গত ২০১৫ সালের ১ আগস্ট থেকে সিলেট-ঢাকা মহাসড়কসহ দেশের সবকটি মহাসড়কে সিএনজি অটোরিক্সা চলাচলের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়।
from Sylhet News | সুরমা টাইমস http://ift.tt/2qTJB5l
May 24, 2017 at 08:43AM
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন