ঢাকা::বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৩৮ চিকিৎসক চাকরি পাবেন কি না, সেই সিদ্ধান্ত জানা যাবে আগামী রোববার। ওই দিন এ বিষয়ে আদেশ দেবেন আপিল বিভাগ।
আজ বুধবার প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন ৫ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ বিষয়ে শুনানি শেষে আদেশের জন্য এই দিন ধার্য করেন।
আদালতে আবেদনকারী চিকিৎসকদের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ড. কামাল হোসেন, ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ, কামরুল হক সিদ্দিকী, এ এম আমিন উদ্দিন ও শরীফ ভূঁইয়া।
অপরদিকে বঙ্গবন্ধু মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।
গত বছরের ২৯ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৩৮ চিকিৎসকের মধ্যে যোগ্যদের কীভাবে চাকরিতে রাখা যায়, সে ব্যাপারে মতামত জানাতে নির্দেশ দেন আপিল বিভাগ। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেলকে বিষয়টি আদালতকে অবহিত করতে বলা হয়।
আইনজীবী শরীফ ভুঁইয়া জানান, আদালতের আদেশের ভিত্তিতে এসব চিকিৎসককে নিয়োগ দেওয়া হলেও হাইকোর্টের রায়ে তা প্রতিফলিত হয়নি। রায়ে বলা হয়েছে, নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর এসব পদ তৈরি করা হয়েছে। তাছাড়া এসব চিকিৎসককে নিয়োগের সময় রিটকারী সিন্ডিকেটে ছিল সেই বিষয়টিও বিবেচনায় নেওয়া হয়নি।
তিনি বলেন, ‘মূলত এসব কারণেই ১৩৮ জন চিকিৎসক লিভ টু আপিল খারিজাদেশের বিরুদ্ধে পৃথক ৫টি রিভিউ পিটিশন দায়ের করেন। সেই আবেদনগুলো একত্রে শুনানিকালে আদালত তাদেরকে চাকরিতে কীভাবে রাখা যায় তা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে জানাতে অ্যাটর্নি জেনারেলকে নির্দেশ দিয়েছেন।’
মামলার বিবরণীতে জানা যায়, ২০০৬ সালের ২৬ মে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০ তম সিন্ডিকেটে ২০০ জন মেডিক্যাল অফিসারের পদ সৃষ্টি করা হয়। সেই ধারাবাহিকতায় ১৮ অক্টোবর কিছু সংখ্যক চিকিৎসক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়। সেই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি চ্যালেঞ্জ করে স্বাচিপের তৎকালীন মহাসচিব ইকবাল আর্সালান হাইকোর্টে একটি রিট করেন। ২০০৭ সালের জানুয়ারিতে আদালত এই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি স্থগিত করেন। পরে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ স্থগিতাদেশ প্রত্যাহারের জন্য আবেদন করে। সেই আবেদনের ভিত্তিতে আদালত নিয়োগ সংশোধন সাপেক্ষে স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে নেন।
আদালতের আদেশে বলা হয়, নিয়োগকৃত চিকিৎসকের সংখ্যা যেন দুই শ’ এর বেশি না হয়। পরবর্তী সময়ে ২০০৭ সালের ১ মার্চ ১৯৪ শিক্ষককে নিয়োগ দেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ২০০৮ সালে সিন্ডিকেটে ১৭৪ জনকে চাকরিতে স্থায়ী করা হয়। ওই স্থায়ীকরণের সময় রিটকারী ইকবালও সিন্ডিকেট সদস্য ছিলেন বলে জানান আবেদনকারী চিকিৎসকরা।
তাদের চাকরি স্থায়ীকরণের পর চিকিৎসকদের অজান্তেই ২০১০ সালের ১৪ ডিসেম্বর এ সংক্রান্ত রিটের প্রেক্ষিতে জারি করা রুল শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। শুনানি শেষে হাইকোর্ট ওই চিকিৎসকদের নিয়োগ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি অবৈধ ঘোষণা করেন।
এই মামলায় পক্ষভুক্ত হয়ে ১৭০ জন চিকিৎসক চেম্বার জজ আদালতে হাইকোর্টের রায় স্থগিত চান। চেম্বার বিচারপতি হাইকোর্টের রায় স্থগিত করে লিভ টু আপিল করতে বলেন। পরে ২০১১ সালে লিভ টু আপিল করেন চিকিৎসকরা। সেই আপিল চলতি বছর ২২ ফেব্রুয়ারি খারিজ করে দেন আপিল বিভাগ।
গত ১২ জুলাই লিভ টু আপিল খারিজ করে দেয়া রায়ের অনুলিপি প্রকাশিত হয়। এরপর আপিলের খারিজাদেশের বিরুদ্ধে ১৩৮ চিকিৎসক রিভিউ আবেদন করেন।
from ঢাকা – দ্যা গ্লোবাল নিউজ ২৪ http://ift.tt/2qQBqHS
May 17, 2017 at 02:52PM
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন