ডাব্লিন, ১০ মে- আইসিসির পূর্ণ সদস্য দেশ হিসেবে ২০০৩ থেকে গত চারটি বিশ্বকাপে সরাসরি খেলেছে বাংলাদেশ। কোনো বাছাই পর্ব খেলতে হয়নি। টেস্ট খেলুড়ে দেশ হিসেবে অটোমেটিক বিশ্বকাপে খেলার যোগ্য- এ হিসেবে বাংলাদেশকে বাছাই পর্বের মতো কোনো পরীক্ষা দিতে হয়নি এতদিন। তবে ২০১৯ বিশ্বকাপ থেকে নিয়ম পাল্টে গেছে। অন্তত দুটি টেস্ট প্লেইং দেশকে খেলতে হবে বাছাই পর্ব। যেখানে প্রতিপক্ষ হবে আইসিসির নন টেস্ট প্লেইং দেশ। যেমন আফগানিস্তান, আয়ারল্যান্ড, নেদারল্যান্ডস, হংকং কিংবা আরব আমিরাতের মতো দেশগুলো। তবে কী ২০১৯ বিশ্বকাপে খেলতে হলে বাংলাদেশকে বাছাই পর্ব উৎরাতে হবে? আইসিসি র্যাংকিংয়ে এখন যে অবস্থান বাংলাদেশের, এ অবস্থায় টাইগারদের বিশ্বকাপে সুযোগ থাকছে সরাসরি খেলার। কারণ, বাংলাদেশের অবস্থান এখন সপ্তম। আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী চলতি বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত স্বাগতিক ইংল্যান্ডসহ সেরা আটটি স্থানে যদি বাংলাদেশ থাকতে পারে, তাহলে বাছাই পর্ব খেলতে হবে না আর। সেই সেরা আটটি দলের মধ্যে বাংলাদেশের থাকা নিশ্চিত হয়ে যেতে পারে ১২ মে থেকে শুরু হতে যাওয়া ত্রি-দেশীয় সিরিজেই। আয়ারল্যান্ডে অনুষ্ঠিতব্য স্বাগতিকদের সঙ্গে বাংলাদেশের বাকি প্রতিপক্ষ নিউজিল্যান্ড। এই সিরিজেই মাশরাফিদের সামনে সমূহ সুযোগ ২০১৯ বিশ্বকাপ নিশ্চিত করা। কীভাবে সম্ভব? হিসাব জানিয়ে দিয়েছে খোদ আইসিসিই। ক্রিকেটের অভিভাবক সংস্থাটির পক্ষ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ জানানো হয়েছে, আগামী বিশ্বকাপে সরাসরি খেলার দারুণ সুযোগ বাংলাদেশের সামনে। হিসাব দিয়ে তারা বলছে, আয়ারল্যান্ডে অনুষ্ঠিতব্য ত্রি-দেশীয় সিরিজে দুই প্রতিপক্ষের বিপক্ষে দুটি করে মোট চারটি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। এর মধ্যে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে একটি এবং আয়ারল্যান্ডকে দুই ম্যাচে হারাতে পারলেই বাংলাদেশের রেটিং পয়েন্ট বেড়ে যাবে। এতে বাংলাদেশ উঠে যাবে আইসিসি র্যাংকিংয়ের ষষ্ঠ অবস্থানে। পেছনে ফেলে দেবে শ্রীলঙ্কাকেও। বাংলাদেশের বর্তমান রেটিং পয়েন্ট ৯১। ৯৩ পয়েন্ট নিয়ে ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে শ্রীলঙ্কা। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে একটি এবং আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে যদি দুটি ম্যাচ জিততে পারে মাশরাফিরা, তাহলে বাংলাদেশের পয়েন্ট হয়ে যাবে ৯৪। সে ক্ষেত্রে শ্রীলঙ্কাকে পেছনে ফেলে বাংলাদেশ উঠে আসবে ষষ্ঠ স্থানে। আর যদি চার ম্যাচের সবগুলোই জিততে পারে, তাহলে টাইগারদের রেটিং পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়াবে ৯৭। ত্রিদেশীয় সিরিজে কী হলে বাংলাদেশের কী হবে ১। বাংলাদেশ যদি চার ম্যাচের সবগুলোই জেতে তাহলে রেটিং পয়েন্ট দাঁড়াবে ৯৭। ২। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে দুটি এবং নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ১টি ম্যাচ জিতলে পয়েন্ট দাঁড়াবে ৯৪। ৩। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে দুই ম্যাচেই জয় এবং নিউজিল্যান্ডের কাছে দুই ম্যাচেই হারলে পয়েন্ট দাঁড়াবে ৯০। ৪। আয়ারল্যান্ডের কাছে ১টিতে হারলে এবং নিউজিল্যান্ডের কাছে দুটিতেই যদি হেরে যায় তাহলে পয়েন্ট দাঁড়াবে ৮৭। ৫। যদি ত্রিদেশীয় সিরিজের সবগুলো ম্যাচেই হেরে যায়, তাহলে বাংলাদেশের পয়েন্ট দাঁড়াবে ৮৩। বাংলাদেশ যদি আয়ারল্যান্ডকে দুই ম্যাচেই এবং নিউজিল্যান্ডকে একটিতে হারাতে পারে, তখন বিশ্বকাপে সরাসরি খেলার জন্য লড়াই করতে হবে অষ্টম ও নবম স্থানে থাকা পাকিস্তান এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজকে। পাকিস্তানের রেটিং পয়েন্ট এখন ৮৮। ওয়েস্ট ইন্ডিজের জেয়ে ৯ পয়েন্ট এগিয়ে রয়েছে তারা। নিউজিল্যান্ড যদি এই সিরিজে বাংলাদেশের কাছে দুই ম্যাচেও হেরে যায়, তাহলেও তাদের চতুর্থ অবস্থানের পরিবর্তন হবে না। রেটিং পয়েন্ট কমে যাবে শুধু। ১১৫ থেকে নেমে আসবে ১১২তে। তবে যদি আয়ারল্যান্ডের কাছে একটি ম্যাচে হেরে যায়, তাহলে রেটিং পয়েন্ট কমে দাঁড়াবে ১০৯-এ এবং নেমে যাবে ইংল্যান্ডের নিচে, থাকবে পঞ্চম স্থানে। আর/১০:১৪/১০ মে
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://ift.tt/2q3CTt8
May 11, 2017 at 05:36AM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন