ঢাকা:
রাষ্ট্রপতি থাকাকালে উপহার সামগ্রীর অর্থ রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা না দেয়ার অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা মামলায় জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদকে খালাস প্রদান করেছেন হাইকোর্ট।
পাশাপাশি ওই বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে সাজা বৃদ্ধি চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের করা আপিল খারিজ করে দেয়া হয়েছে। মামলায় এক সাক্ষীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে রাষ্ট্রপক্ষের করা আরেকটি আপিলও খারিজ করে দেয়া হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দুস ও বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন। বেলা ১১টা ২৫ মিনিট থেকে শুরু করে এক ঘণ্টা বিরতি দিয়ে পৌনে চারটা পর্যন্ত রায় ঘোষণা চলে।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ১৯৯১ সালের ৮ জানুয়ারি তৎকালীন দুর্নীতি দমন ব্যুরো এরশাদের বিরুদ্ধে এই দুর্নীতির মামলাটি করে। মামলায় অভিযোগ করা হয়, ১৯৮৩ থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত এরশাদ রাষ্ট্রপতি থাকাকালে পাওয়া বিভিন্ন উপহার রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দেননি। মামলায় আয়–বহির্ভূতভাবে ১ কোটি ৯০ লাখ ৮১ হাজার ৫৬৫ টাকা অর্জনসহ ২ কোটি ৯৪ লাখ ৮৬ হাজার ৭৬৫ টাকা আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ আনা হয়। এই মামলার রায়ে ১৯৯২ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি এরশাদের তিন বছরের সাজা হয়। সাজার রায়ের বিরুদ্ধে ১৯৯২ সালে হাইকোর্টে আপিল করেন এরশাদ। আর তাঁর সাজা বৃদ্ধি চেয়ে ওই বছরই আপিল করে সরকার। একই মামলায় এরশাদের পক্ষে দেওয়া এক সাক্ষীর বিষয়ে সরকার আরেকটি আপিল করে।
তিনটির মধ্যে এরশাদের করা আপিলের ওপর গত ৩০ নভেম্বর শুনানি শুরু হয়ে ৯ মার্চ শেষ হয়। এর ওপর ২৩ মার্চ রায়ের দিন রেখেছিলেন আদালত। সেদিন নথি পর্যালোচনা করে সরকারের অনিষ্পন্ন থাকা দুই আপিল ও এসবের একসঙ্গে শুনানির জন্য ইতিপূর্বের আদেশ থাকায় এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় আদেশের জন্য প্রধান বিচারপতির কাছে তিন আপিলের নথি পাঠিয়ে দেন হাইকোর্টের একক বেঞ্চ।
from ঢাকা – দ্যা গ্লোবাল নিউজ ২৪ http://ift.tt/2qmer7j
May 09, 2017 at 05:36PM
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন