ডাব্লিন, ১৮ মে- আয়ারল্যান্ডের অনুষ্ঠিত ত্রিদেশীয় সিরিজে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে নিউজিল্যান্ডে ২৫৮ রানের লক্ষ্য দিয়েছে বাংলাদেশ। জবাবে ব্যাট করতে নেমে দারুণ শুরু করে। ২৫৮ তারা করতে ৬ উইকেট হারিয়ে ২৫৮ রানের লক্ষে পৌছে যায় তারা ৪ উইকেট হাতে রেখে জয় লাভ করে নিউজিল্যান্ড। শেষ পর্যন্ত মোস্তাফিকে উইকেট দিতে হয় কিউই ওপেনার রনকিকে। ২৭ রান করে মোস্তাফিজের বলে মাহমুদউল্লার তালু বন্ধি হন এ ওপেনার। টাইগারদের পক্ষে কিউইদের দ্বিতীয় উইকেট তুলেদেন সাব্বির। মোসাদ্দেক হোসেনের বল অফ সাইডে ঠেলে প্রান্ত বদলের জন্য দৌড়ালেন লাথাম ও জর্জ ওয়ার্কার। পয়েন্টে থাকা সাব্বির দৌড়ে এসে ডাইভ দিয়ে ডানহাতে বল থ্রো করেন। মুশফিক স্ট্যাম্পিং করতে একটুও ভুল করেননি। জর্জ ওয়ার্কার ১৭ রানে রান আউট হয়ে সাজঘরে ফিরেন। আর তৃতীয় উইকেট শিকার করেন রুবেল। এক ডেলিভারিতে তাকে ফিরিয়ে বাংলাদেশ শিবিরে স্বস্তি ফেরান রুবেল হোসেন। ডানহাতি পেসারের গুড লেংথ বল বুঝতেই পারেননি কিউই ওপেনার। ইনসাইড-এজ হয়ে বল জমা হয় মুশফিকুর রহিমের গ্লাভসে। ৬৪ বলে ৩ চার ও এক ছক্কায় ৫৪ করেন ল্যাথাম। রুবেলের পর আবারও মোস্তাফিজ। এবার তার শিকার অভিজ্ঞ রস টেলর। ৪০ বলে ২৫ রান করে মোস্তাফিজের বলে এলবিডাব্লিউ হন টেলর। এর আগে টস জিতে টাইগারদের ব্যাটিংয়ে পাঠায় কিউই দলপতি টম লাথাম। টেস হেরে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ২৫৭ রান করে টাইগাররা। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে সতর্ক ভাবে শুরু করে দুই টাইগার ওপেনার। সতর্ক ভাবে শুরু করেও ইনিংসের ১৫তম ওভারের ২ বলে জেমস নিশামের অফস্ট্যাম্পের বাইরের বল কভারের উপর দিয়ে বাউন্ডারি মারতে গিয়ে কলিন মানরোর হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফিরেন তামিম ইকবাল। ৪২ বলে ৩ বাউন্ডারিতে ২৩ রান করেন তিনি। তামিমের পর সৌম্যের সাথে জুটি বাঁধেন সাব্বির। কিন্তু এ ম্যাচেও ব্যার্থ তিনি। বাঁহাতি স্পিনার মিচেল স্ট্যান্টনারের বলে বোল্ড হয়ে সাজঘরে সাব্বির রহমান। ৪ বলে সাব্বিরের ব্যাট থেকে আসে মাত্র ১ রান। পর পর দুই উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে টাইগাররা। তবে সে সময় সৌমের সাথে দলের হাল ধরেন মুশফিক। সৌম্যর ব্যাট থেকে আসে হাফ-সেঞ্চুরির ইনিংস। কিন্তু ইনিংসটিকে বড় করতে পারেননি বাঁহাতি ওপেনার। ৬১ রানে সৌম্য আউট হন ইশ শোধীর বলে। সুইপ করতে গিয়ে শর্ট মিড উইকেটে ক্যাচ দেন সৌম্য। ৬৭ বলে ৫ বাউন্ডারিতে নিজের ইনিংসটি সাজান তিনি। সৌমের পর বেশি সময় টিকতে পারলেন না সাকিব। মাত্র ৬ রান আসে সাকিবের ব্যাট থেকে। লেগ স্পিনার শোধীর বলে মিড অফের উপর দিয়ে খেলতে গিয়ে ক্যাচ দেন সাকিব। ১৫ রানের ব্যবধানে সৌম্য আর সাকিবের বিদায়ে চাপে পড়ে বাংলাদেশ। দলীয় ১৩২ রানে বিদায় নেন সাকিব। সেখান থেকে মাহমুদউল্লাহকে সঙ্গে নিয়ে প্রতিরোধ গড়েন মুশফিক। ৪৯ রান যোগ করেন দুই ডানহাতি ব্যাটসম্যান। নিজের ২৪তম হাফ-সেঞ্চুরি তুলে নিলেও ইনিংসটিকে বড় করতে পারেননি মুশফিকুর রহিম। ৩৮তম ওভারের প্রথম বলে খোঁচা মারতে গিয়ে উইকেটের পিছকে রনকির হাতে ক্যাচ দেন মুশফিক। ৬৬ বলে ৪ চার ও ১ ছক্কায় ৫৫ রান করেন মুশফিক। বাংলাদেশ সময় বিকাল পৌনে চারটায় শুরু হয় ম্যাচটি। খেলাটি সরাসরি সম্প্রচার করছে বিটিভি, মাছরাঙ্গা টিভি ও গাজী টিভি। আর/১২:১৪/১৮ মে
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://ift.tt/2pLZDPc
May 18, 2017 at 06:58AM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন