আলবার্টা, ০২ মে- প্রবাসে বিপুল উৎসাহ ও উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে বাংলা নববর্ষ উদযাপিত হয়েছে। উদযাপিত হয়েছে আলবার্টা সহ কানাডার প্রায় প্রতিটি প্রদেশে। বর্ণাঢ্য আয়োজনে নববর্ষ উদযাপনকারীদের উষ্ণ শুভেচ্ছা জানিয়েছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাষ্টিন ট্রুডু। এখনো নানা আয়োজনে পরিবার থেকে সম্প্রদায়ে চলছে বৈশাখী আড্ডা ও দেশীয় আমেজের আনন্দ উল্লাস এবং ঐতির্হ্যবাহী আপ্যায়ন। কানাডায় প্রধানমন্ত্রী বাংলা নববর্ষকে পরিবার ও বন্ধুদের সাথে মিলিত হবার অপূর্ব এক সুযোগ হিসেবে আখ্যা দিয়ে একে কানাডীয় সংস্কৃতিরই অবিচ্ছেদ্য অংশ বলে উল্লেখ করেছেন। এর অর্থ দাড়ালো বাঙ্গালী সংস্কৃতির এ বহমান নদী হাজরো মাইল পাড়ি দিয়ে আটলান্টিকের এ মোহনায় এসে দাড়িয়েছে। আমাদের ভাষা, আমাদের সংস্কৃতিই আমাদের গৌরব, ও আমাদের গর্ব এবং ঐতির্হ্য. প্রধানমন্ত্রীর বার্তায় বাঙ্গালীদের পরিবার প্রীতি ও বন্ধু-বাৎসল্য খুবই নিপুনভাবে প্রতিফলিত হয়েছে। এডমন্টন প্রবাসী বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কানাডা ইউনিট নির্বাহী ও বাংলাদেশ প্রেসক্লাব সেন্টার অব আলবার্টার সভাপতি, দেলোয়ার জাহিদ ছিলেন এ বৈশাখী আড্ডার মধ্যমনি। অন্যান্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন মেজবাউল ইসলাম, কাউসার খন্দকার, মির্জা বাসিত, ম. জাহিদুর রহমান, মু জহির, রকি, সাইফ, তানভীর প্রমুখ। হায়দারজান চৌধুরী ও এলমা জাহিদের আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয় এ বৈশাখী আড্ডা ও দেশীয় খাবারে আপ্যায়ন। আলোচনায় উঠে আসে বিসিএই আয়োজিত এডমন্টনে বৈশাখী মেলা ১৪২৪ যা প্রবাসীদের এক মিলনমেলায় পরিণত হয়েছিল। শিশু-কিশোর, ও নারী-পুরুষের পদভারে মুখরিত হয়ে উঠেছিল এডমন্টনের বনিডন কমিউনিটি সেন্টার। উঠে আসে প্রেসক্লাব ও বেসার ৩১শে চৈত্রের রাতে এডমন্টন ইষ্ট পাবলিক লাইব্রেরী চত্তরে মঙ্গল শোভাযাত্রার সাহসী আয়োজন। চিরাচরিত আড্ডায় বুঁদ হয়েও সবাই খুঁজছিলেন আগামীতে বাঙালির সেই ঐতিহ্যকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাবার যত পরিকল্পনা ও কর্মকৌশল। সম্প্রীতির এমনি বন্ধনকে সুদৃঢ় করতে এবং নতুন প্রজন্মকে খেলাধুলায় আগ্রহী করে তুলতে করনেশান পার্কে আগামী ৩০শে জুলাই এমজেএমএফ বাংলাদেশ স্পোর্টস ক্লাব এর ক্রিকেট টুর্নাম্যান্ট এবং এডমন্টনে বাংলাদেশ কমিউনিটিকে সর্বোচ্চ সন্মান দেয়ার জন্য এমএলএদের সম্বোর্ধনার এক কর্মসুচি ঘোষনা করেন সংগঠনের সভাপতি আহসান উল্লাহ। এর পাশাপাশি মহিলা ও শিশু-কিশোরদের জন্য দিনব্যাপী আনন্দমেলার আরো একটি কর্মসুচি ঘোষনা করা হয় এবং এ বিষয়ে মহিলাদের মধ্য থেকে সহায়ক কমিটি করে দেয়া হয়। তারা হলেন: শিরীন সুলতানা, সোনিয়া ইসলাম, নাসিমা মির্জা, এলমা জাহিদ, গুলসান জাবিন, রায়হানা রাসমিন, সাজিয়া, সোহা ইসলাম, মিসেস রবিন, মিসেস জহির, খাদিজা ইসলাম ও ইসরাত জাহান প্রমুখ। বাংলাদেশ প্রেসক্লাব সেন্টার অব আলবার্টার সভাপতি, দেলোয়ার জাহিদ কমিউনিটির সদস্যদের আগ্রহ উদ্দিপক প্রশ্নের জবাবে জানান গত ৪ঠা এপ্রিল আলবার্টা পার্লামেন্টে নিউ ডেমোক্র্যাট ককাস এর সহযোগিতায় বাংলা নববর্ষকে স্বীকৃতি দিয়ে প্রাদেশিক পরিষদে একটি বিবৃতি উত্থাপিত হয়েছে। সম্মানিত ডেনিস ওলার্ড, এমএলএ তা সংসদে উত্থাপন করেছেন। বিপুল করতালির মাধ্যমে একে স্বাগত জানিয়েছেন সন্মানিত আইন প্রণেতাগণ। মাননীয় স্পিকার রবার্ট ই ওয়ানার বাংলা নববর্ষকে নিয়ে হাউজে তার গভীর আগ্রহের কথা অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে উল্লেখ করেছেন। এ অর্জন, এ সন্মান বাংলাদেশের প্রতিটি প্রবাসীরতিনি বাংলাদেশ কানাডা এসোসিয়েশন অব এডমন্টন ও বাংলাদেশ হেরিটেজ সোসাইটির ভবিষ্যত সমন্বিত প্রয়াসে একটি শক্তিশালী ও ঐক্যবদ্ধ কমিউনিটি গড়ে তোলার বিষয়ে তার গভীর আশাবাদের কথা ব্যক্ত করেন এবং সকলকে এ বিষয়ে এগিয়ে আসার আহবান জানান। আর/১৭:১৪/০২ মে
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://ift.tt/2qtQLuD
May 03, 2017 at 12:56AM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন