কুমিল্লার বার্তা ডেস্ক ● একযুগ পর মনোহরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের দুই সদস্যবিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। শুক্রবার দুপুরে মনোহরগঞ্জ স্কুল অ্যান্ড কলেজের একটি কক্ষে স্থানীয় সংসদ সদস্য ও কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মো. তাজুল ইসলাম এ কমিটি ঘোষণা করেন। কমিটির সভাপতি সংসদ সদস্যের মামাতো ভাই আবদুল কাইয়ুম চৌধুরী। আর সাধারণ সম্পাদক বাকরা গ্রামের কৃষক আবদুল বাতেন হত্যা মামলার আসামি মো. জাকির হোসেন।
কমিটি ঘোষণাকালে উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাসেম ভূঁইয়া উপস্থিত ছিলেন না। তিনি অভিযোগ করেন, সংসদ সদ্যদের ঘোষিত কমিটির সভাপতি আবদুল কাইয়ুম চৌধুরী শীর্ষ রাজাকারের সন্তান। এ ছাড়া তিনি দলের প্রাথমিক সদস্য ফরমও পূরণ করেননি। আর সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন একজন কৃষক হত্যা মামলার আসামি। এ ধরনের লোক আওয়ামী লীগের কমিটিতে কোনোভাবেই আসতে পারেন না।
আবুল কাসেম ভূঁইয়া বলেন, ‘সম্মেলনের বিষয়ে আমাদের সঙ্গে কোনো কথা হয়নি। আহ্বায়ক হিসেবে আমার নির্দেশেই সদস্য সচিব সম্মেলনের আয়োজন করবেন; কিন্তু এমপি তার ভাতিজা ছাত্রলীগ নেতা আমির হোসেন ও মামাতো ভাই কাইয়ুম চৌধুরীকে দিয়ে এ সম্মেলনের আয়োজন করিয়েছেন। আর আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী এমপি হলেও তিনি এভাবে সম্মেলনের নামে রাজাকারপুত্রকে সভাপতি ও হত্যা মামলার আসামিকে সম্পাদক বানিয়ে কমিটি ঘোষণা করতে পারেন না।’
অভিযোগ রয়েছে কাইয়ুম চৌধুরীর বাবা মনোহরগঞ্জ উপজেলার ফুলপুকুরিয়া গ্রামের মফিজুর রহমান একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধকালীন বাইশগাঁও ইউনিয়ন শান্তি কমিটির সেক্রেটারি ছিলেন। কাইয়ুম সারাজীবন বিএনপি করেছেন। তার পুরো পরিবারও বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত।
শুক্রবারের ওই সম্মেলনে উপস্থিত থাকা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, বেলা ১১টার দিকে অনুষ্ঠান শুরু হয়। আমাদের কোনো নেতাকর্মীকে বক্তব্য দিতে দেওয়া হয়নি। শুধু জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি জসিম উদ্দিন চৌধুরী, শাহাদাত হোসেন তসলিম, যুগ্ম-সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন স্বপন, এম এ করিমসহ জেলা কমিটির কয়েকজন নেতা বক্তব্য রাখেন। পরে দুপুর ১টার দিকে এমপি নিজে বক্তব্য দিয়ে সভাপতি পদে আবদুল কাইয়ুম ও সাধারণ সম্পাদক পদে জাকির হোসেনের নাম ঘোষণা করেন।
গত ১ এপ্রিল উপজেলার বাকরা গ্রামে আবদুল বাতেন নামে এক কৃষককে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে প্রকাশ্যে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে জাকিরের ভাই সহিদুল ইসলাম সহিদ। জাকির ওই হত্যা মামলার ২নং আসামি। আর সহিদ ১নং আসামি।
শুক্রবার বিকেলে কমিটি প্রসঙ্গে জানতে সংসদ সদস্য মো. তাজুল ইসলামের মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও সংযোগ পাওয়া যায়নি। তবে জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সম্পাদক মো. সাজ্জাদ হোসেন স্বপন কমিটি ঘোষণার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে অন্যান্য অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এসব বিষয় আমার জানা নেই।
২০০৫ সালে মনোহরগঞ্জ উপজেলা প্রতিষ্ঠার পর ওই বছরের ১৭ ফেব্রুয়ারি কাসেম ভূঁইয়াকে আহ্বায়ক করে ৬৫ সদস্যবিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি কমিটি গঠন করা হয়েছিল। সুত্রঃ সমকাল
The post সভাপতি রাজাকারপুত্র, হত্যা মামলার আসামি সম্পাদক! appeared first on Comillar Barta.
from Comillar Barta http://ift.tt/2qHIio5
May 20, 2017 at 03:57PM
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন