বিশেষ প্রতিনিধি: মাদারীপুর জেলা বিএনপির যৌথ কর্মিসভা পুলিশের লাঠিচার্জে পণ্ড হয়ে গেছে। আজ শনিবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে সদর উপজেলার চরমুগরিয়া বন্দর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এতে ৩০ জন আহত হয়েছে। পুলিশ ২০ জনকে আটক করেছে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী ব্যক্তিদের কাছ থেকে জানা যায়, কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে জেলা, উপজেলা ও পৌরসভা বিএনপির সব অঙ্গসংগঠন নিয়ে এক যৌথ কর্মিসভার আয়োজন করে জেলা বিএনপি। সেই অনুযায়ী গত মঙ্গলবার জেলা পুলিশের কাছে বিএনপির পক্ষ থেকে অনুমতি চাওয়া হলে তা মেলেনি। তাই সকালে কর্মিসভার জন্য দলীয় লোকজন চরমুগয়িরা বন্দর এলাকায় জড়ো হলে পুলিশ লাঠিচার্জ করে তা পণ্ড করে দেয়। এ সময় দলের ৩০ কর্মী আহত হয়েছেন। তাঁদের স্থানীয় ক্লিনিকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এ সময় ২০ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
আহত ব্যক্তিদের মধ্যে কয়েকজনের নাম জানা গেছে। তাঁরা হলেন, স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক হাজী রাসেল খান (৪২), এনামুল মজুমদার (২৮), কামাল খান (৩০) ও টিপু মুনশি (৩৫), থানা ছাত্রদলের সভাপতি ওহিদুর জামান আব্দুর হাই (৩২), থানা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক শিকদার রহমান মামুন (৩৫), ছাত্র নেতা রিমন (২৬), শাহিনসহ (২৮) প্রায় ৩০ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। অন্যদের নাম এখনো জানা যায়নি।
এই কর্মিসভা উপলক্ষে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মহাসচিব মাহাবুব উদ্দিন খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সেলিমুজ্জামান সেলিম, কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ-সম্পাদক আনিসুর রহমান খোকন তালুকদার, জেলা বিএনপির সভাপতি আবু বকর সিদ্দিক আবু মুনশি, বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জাহান্দার আলী জাহান, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক সাদিকুর রহমান সাদিকসহ বিএনপির সিনিয়র নেতারা উপস্থিত উপস্থিত ছিলেন।
মাদারীপুর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সুমন কুমার দেব বলেন, চরমুগরিয়া এলাকায় বিএনপির দুই গ্রুপ পুলিশের কোনো অনুমতি ছাড়াই মিটিং-মিছিল করছিল। এ ছাড়া তারা চরমুগরিয়া এলাকার ব্যস্ত সড়কটি অবরোধ করে সমাগম করার চেষ্টা চালাচ্ছিল। তাই তাদের লাঠিচার্জ করে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ সময় কেউ কেউ ভাঙচুর ও ইট ছুড়লে তাদের মধ্যে কয়েকজনকে আটক করে পুলিশ।
মাদারীপুর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জাহান্দার আলী জাহান বলেন, ‘পরিকল্পিতভাবে পুলিশ আমাদের যৌথ কর্মিসভা লাঠিচার্জ করে পণ্ড করে দিয়েছে।
কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ-সম্পাদক আনিসুর রহমান খোকন তালুকদার বলেন, ‘আমরা সুষ্ঠু ভাবে কেন্দ্রীয় কর্মসূচি অংশ হিসাবে জেলা পর্যায়ে কর্মী সভার আয়োজন করেছি। এতে কার্মীদের একত্রিত হওয়াই ছিলো মূল লক্ষ। কিন্তু পুলিশ এসে লাঠিচার্জ করে সব আয়োজন লন্ডভন্ড করে দিলো। আমরা এর সুষ্ঠু বিচারের দাবী জানাচ্ছি এবং এই রকম জঘর্ন্য আচরণ পুলিশ নেতাকর্মীদের সাথে কেন করলো তার একটি সঠিক তদন্তের দাবী জানাই।’ তিনি আরো বলেন, ‘আমরা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা পোষন করি। যেসব নেতা-কর্মীকে পুলিশ আটক করেছে, তাদের মুক্তিরও দাবি জানাই।’
মাহাবুব উদ্দিন খোকন পুলিশের এই কর্মকাণ্ডের ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, পুলিশ আওয়ামী লীগের সঙ্গে জোট বেঁধে এই কর্মিসভায় ব্যাঘাত ঘটিয়েছে। তাদের কারণে আজ এই সভা স্থগিত করে নেওয়া হয়েছে। আওয়ামী লীগ জানে জনগণ তাদের সঙ্গে নেই। তাই তারা পুলিশ প্রশাসনকে হাতে রেখে ক্ষমতায় টিকে আছে। আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ যতই যা করুক, তাদের নৌকাকে বঙ্গোপসাগরে ডুবিয়ে দেওয়া হবে।
from ঢাকা – দ্যা গ্লোবাল নিউজ ২৪ http://ift.tt/2qMhNxp
May 06, 2017 at 09:48PM
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন