ঢাকা, ০৫ মে- ঢাকাই ছবিতে যুগে যুগে সম্ভাবনাময় অনেক নায়কই এসেছেন। নিজ প্রতিভাগুণে এগিয়েও গিয়েছিলেন অনেক পথ। কিন্তু মাঝপথে থমকে যেতে হয়েছে অনেককে। নানা চক্রান্তের শিকার হয়ে আড়াল হয়েছেন কেউ কেউ। আবারও অনেককে প্রাণও দিতে হয়েছে। এ ফিল্মী রাজনীতি চলছে এখনও। হয়তো চলবে আজীবন। সফল মানুষের সাফল্যের পেছনে থাকে হাজারো টুকরো টুকরো গল্প। এ গল্প কখনও হয় সুখকর, আবার কখনও কষ্টের। কারণ সিঁড়ি বেড়ে ওপরে উঠার পথে অনেকেই তাদের টেনে ধরে থাকেন। নানা ফাঁদও পেতে রাখেন, সাফল্য ঠেকিয়ে রাখতে। যারা বিষয়টিকে বুঝে সঠিক পথে স্থির থাকতে পারেন, সফল হন তারাই। আর যারা আত্মসমর্পণ করেন, সাফল্য তাদের ঝুলিতে আর ফিরে না। ইতিহাস থেকে তারা হারিয়ে যান আড়ালে। তাদের খবরও রাখেন না কেউ। মূলত নানা চক্রান্তের কারণেই কোণঠাসা হয়ে পড়েন সাফল্যের পথে এগিয়ে যাওয়া মানুষগুলো। এ চক্রান্ত পরিবার থেকে স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় এবং কর্মজীবনের নানা পেশায়ই বিদ্যমান। নিজেদের স্বার্থের কারণেই চক্রান্ত করে মানুষ। তবে এতে চক্রান্তকারীদের লাভ যে হয় তা কিন্তু নয়। ইতিহাসের দিকে তাকালে যুগে যুগে তাদের পাল্লায় ক্ষতির পরিমাণটাই বেশি লক্ষ্যণীয়। তবুও তারা এ পথেই এগোবেন। অন্যের সাফল্যে ঈর্ষান্বিত হয়ে নিজের সাফল্যের আশায় কারও না কারও ক্ষতি করে যাবেন। বিষটি রাজনীতির মাঠে বেশি দেখা গেলেও প্রায় প্রতিটি সেক্টরেই রয়েছে চক্রান্তের জাল। আছে আমাদের ঢাকাই ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতেও। যে চক্রান্তের কারণেই ঢাকাই ছবির অনেক নায়কের শুধু ক্যারিয়ারই ধ্বংস হয়ে যায়নি, কাউকে কাউকে অকালে প্রাণও দিতে হয়েছে। মূলত নিজ স্বার্থ বাস্তবায়নের জন্যই এমন দুষ্টু চক্রান্তে নেমে থাকেন চারাপাশের লোকেরা। ফলাফল চলচ্চিত্র হারায় প্রতিভাবান নায়ককে। আর দর্শকরা হারায় তাদের প্রিয় তারকাকে। ঢাকাই ছবিতে এরকম চক্রান্তের শিকার হতে দেখা গেছে সোহেল চৌধুরী, সালমান শাহ, রিয়াজ, শাকিল খান। সর্বশেষ হাল আমলের জনপ্রিয় চিত্রনায়ক শাকিব খানও চক্রান্তের শিকার বলে দাবি করছেন। আজ সালমান শাহ হত্যার নেপথ্যের কাহিনী এই প্রতিবেদনে তুলে ধরা হল- ৯০ দশকের বাংলা চলচ্চিত্রের এক ধূমকেতুর নাম ছিল সালমান শাহ। যিনি হুট করে এসে বাংলা চলচ্চিত্রের দর্শকদের মন জয় করেন। এ হুট করে এসে নিজ প্রতিভাগুণে শীর্ষ নায়কের তকমা দখল করে নেয়াটা মেনে নিতে পারেননি অনেকেই। তাই লেগে পড়েছিলেন তার পেছনে। জীবিত থাকাকালীন নানা ষড়যন্ত্রের জাল থেকে বের হতে পারেননি এ নায়ক। বিভিন্ন সময় কতিপয় পরিচালক ও প্রযোজক মিলে তাকে কোণঠাসা করার চেষ্টা চালিয়েছেন। বেশ কয়েকবার তাকে নিষিদ্ধের তালিকায়ও পড়তে হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে সংবাদ সম্মেলনও করেছেন এ নায়ক। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। চিরতরে চলে যেতে হয়েছে তাকে। যে খুনের রহস্য মেলেনি এখনও। তবে অনেকেই তার খুনের ব্যাপারে নিজের স্ত্রীর জড়িত থাকার ব্যাপারেও সন্দেহ করেন। সালমান শাহর মৃত্যুর পর তার বাবা কমর উদ্দিন চৌধুরী রমনা থানায় অপমৃত্যু মামলা করেন। পরবর্তী সময়ে মা নীলা চৌধুরী সালমানের স্ত্রী, শ্বশুর, শাশুড়িসহ কয়েকজনকে আসামি করে আদালতে হত্যা মামলা করেন। তখন গুজব রটে, সালমান শাহর স্ত্রী সামিরার সঙ্গে বিতর্কিত ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাইয়ের অবৈধ সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল এবং এ দুজন মিলে সালমানকে হত্যা করেছে। এ ছাড়া সামিরা পুরো ঘটনার জন্য সালমান-শাবনুরের প্রেমকেও দায়ী করে। সালমান শাহের মৃত্যু নিয়ে তার মা নীলা চৌধুরী গণমাধ্যমকে বলেছিলেন, ফাঁসিতে ঝুলন্ত অবস্থায় সালমান শাহের লাশ পাওয়া গেলেও তার মৃত্যু কোনো আত্মহত্যা ছিল না সেটা পুরো স্পষ্ট। এটি ছিল একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড যা নিয়ে আমার কোনো সন্দেহ নেই এবং এ হত্যার পেছনে সালমানের খুব কাছের মানুষ জড়িত এবং আগে থেকে কেউ কেউ কিছুটা টেরও পেয়েছিল। কিন্তু কোনো এক অজানা রহস্য সেই হত্যাটা আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেয়া হল! এই হত্যার বিচার আজও হয়নি এবং হয়তো আগামীতেও হবে না সে ব্যাপারে আমি নিশ্চিত। আর/১৭:১৪/০৫ মে
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://ift.tt/2pNARwT
May 05, 2017 at 11:16PM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন